somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ট্রান্স সমাচার

২৪ শে জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ১২:২১
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



(হিজড়া, ট্রান্স, শরিফা নিয়া তথা বর্তমান ইস্যু নিয়া আপনার মনে যা যা প্রশ্ন আছে তার সব এই লেখায় পেয়ে যাবেন আশাকরি, না পাইলে প্রশ্ন করতে পারেন, জানা থাকলে উত্তর দিবো। এই লেখা বুঝার সুবিধার্থে অনেক যৌনতা রিলেটেড একাডেমিক ভাষার বদলে কথ্যভাষা বা স্লাং ব্যবহার করা হইছে, এইগুলা ভালো না লাগলে লেখা এড়িয়ে যাবেন, অনেক লম্বা লেখা সময় নিয়া পড়বেন তাড়াহুড়ো থাকলে পড়ার দরকার নাই)

১।
অভিনন্দন আপনার ছেলে হইছে, বা স্বাগতম আপনার মেয়ে হইছে, এইরকম অনেক শুনছেন। কিন্তু মাঝেমধ্যে এমন বাচ্চা জন্ম নেয় যে ছেলে না মেয়ে সেটা নির্ধারণ করা যায় না, গড়ে প্রতি দুই হাজার বাচ্চার মধ্যে একজন বাচ্চা জন্ম নেয় যার জেন্ডার আইডেন্টিফাই করা যায় না, অর্থাৎ তার একইসাথে ছেলে ও মেয়ে উভয়ের যৌনাঙ্গ থাকে। যাকে (intersex) বলে। কারো ক্ষেত্রে পুরুষাঙ্গ বেশি দৃশ্যমান থাকে, যোনী কম দৃশ্যমান। কারো ক্ষেত্রে উল্টোটা, যাদের দৃশ্যমান থাকে তারা প্রকৃত উভয়লিঙ্গ যাদের লোকানো থাকে তারা অপ্রকৃত উভয়লিঙ্গ । তো এসব সন্তান জন্ম নেওয়ার পরে ডাক্তাররাই সুপারিশ করে সাথে সাথে অপারেশন করে নিতে, যেটা বেশি দৃশ্যমান সেটা রেখে বাকিটা কেটে বাদ দিয়ে দিতে। অনেকে সাথে সাথে করে, কেউ ছেলে বানিয়ে নেয় কেউ মেয়ে। কেউ এসব ঝামেলা আর লজ্জার মনে করে ফলে বাচ্চা হিজড়া কমিউনিটিকে দিয়ে দেয়, তারা বাচ্চা লালন পালন করে বাচ্চা সেই কমিনিটিতে বড় হয়, সে হিজরা হয়।

এমন অনেক কেস আছে বাচ্চা জন্মের সময় উভয় সেক্সুয়াল অর্গান নিয়া জন্মায় ফলে মা বাবা সাথেসাথেই অপারেশন করে তাকে ছেলে বা মেয়ে বানিয়ে নেয়, কিন্তু বড় হয়ে দেখা যায় যাকে ছেলে বানাইছে আসলে তার মাঝে মেয়েদের স্বভাব বেশি আর যাকে মেয়ে বানাইছে তার মাঝে ছেলেদের স্বভাব বেশি, এজন্য ভালো হয় এইধরনের কোনো বাচ্চা জন্ম নিলে তাকে একটু বড় হওয়ার পর সে ছেলেদের মতো আচরণ করে না মেয়েদের মতো আচরণ করে সেটা দেখে তার অপারেশন করা, বা সে যদি এই দুইটা নিয়াই থাকতে চায় তাহলেও সে থাকুক। এই গেলো ইন্টারসেক্স বাচ্চাদের সাব্জেক্ট। যাদেরকে থার্ড জেন্ডার বলা হয় বা বলা যায়।

২। হিজড়া আসলে কোনো যৌন বা লিংগ পরিচয় না, হিজরা একটা কালচার যা একটি বিশেষ জেন্ডারের (ইন্টারসেক্স) উপর বেইজ করে তৈরি হইছে, যদিও সেখানে ইন্টারসেক্স ছাড়াও অন্যান্য জেন্ডারের মানুষ আছে। আমরা সাধারণত ইন্টারসেক্স বুঝাতে হিজরা বলে থাকি। ভারতীয় উপমহাদেশে এই কমিউনিটি হিজড়া নামে পরিচিত, ন্যাটিভ আমেরিকানদের আছে "Two spirit", থাইল্যান্ডের "Lady boy" ম্যাক্সিকোর "muxe" সহ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে এই থার্ড জেন্ডার কমিউনিটি আছে।

তো হিজড়াদের নিজস্ব বিচারব্যবস্থা আছে, গুরুমা বিচার করেন, হিজড়ারা তাদের দলভারী করার জন্য নতুন হিজড়াকে খুঁজে বের করে, তারা সন্তান জন্ম দিতে পারে না কিন্তু ভবিষ্যৎ নিরাপত্তার জন্য তো একটা জেনারেশন তৈরি করা দরকার তাই তারা দল ভারী করার চেষ্টা করে। নতুন হিজড়া খোঁজার একটি পদ্ধতির কথা প্রচলিত আছে। কথিত আছে যখন কারো হিজড়া সন্তান থাকে তখন হিজড়ারা এটা জানতে পারলে তারা গিয়ে বাচ্চাকে চায়। যদি তারা দলে ভেড়াতে না পারে তখন তারা দলবদ্ধ ভাবে ওই বাড়িতে গিয়ে তাদের স্বভাবসুলভ ভাবে হাতে তালি দিতে থাকে। হাতেতালির অমোঘ আকর্ষন সহ্য করতে না পেরে ওই বাড়ীর হিজড়াটি নাকি তাদের সাথে যোগ দিয়ে হাতেতালি দিতে থাকে। যদিও এর কোনো বৈজ্ঞানিক ভিত্তি নেই।

৩। তো ইন্টারসেক্স বা যাদের আমরা হিজরা বলে জানি তাদের জন্য ধর্মীয় বিধান হচ্ছে তাদের মাঝে যে জেন্ডারের প্রভাব বেশি দৃশ্যমান তারা সেই জেন্ডারের ধর্মীয় নীতিমালা পালন করবে, যেমন কোনো হিজড়ার মাঝে মেয়েদের শারীরিক বৈশিষ্ট্য বেশি হলে সে মেয়েদের উপর যে ধর্মীয় বিধিনিষেধ আছে সেগুলো মানবে, ভাইস ভারসা। এমনকি ফতোয়া আছে যে তারা চাইলে অপারেশন করে ইন্ট্ররসেক্স থেকে পুরুষ বা মহিলা হতে পারবে।

৪। এতক্ষণ গেলো ইন্টারসেক্স বা হিজড়াদের গল্প, এবার করি ট্রান্স তথা শরীফ মিয়াদের গল্প। একটা বাচ্চা যে নুনু নিয়া জন্ম নিছে, যার জন্মের পর তার আইডেন্টিটি নির্ধারিত করতে কারো কোনো সমস্যা হয়নাই, দাদা দাদি সবাই তার নুনু দেইখা বলছে যে বংশের বাত্তি জ্বলছে সেই ব্যাডা যখন বড় হইয়া (অনেকে তো বিয়া কইরা বাচ্চা জন্ম দেওয়ার পরে যেমন কেইলি জেনারের বাপ বুড়া বয়সে বলে যে সে ব্যাডা না, সে মাইয়া) বলে যে আমি তো পুরুষ না আমি একটা মহিলা তখন গিয়া সমস্যা ।
হরমোনের সমস্যার কারণে অনেক পুরুষের মাঝে মেয়েলি স্বভাব দেখা দেওয়া স্বাভাবিক, আমরা সবাইই এমন কাউকে চিনি যার আচরণ মেয়েলি, (আমাদের এলাকায় তাদেরকে মজা করে "আফাই" বলে ডাকা হয়) ছোটবেলায় মজার ছলে মায়ের বা বোনের শাড়ি পরে, অনেক ছেলে আছে যে ছেলেবন্ধুর সাথে আড্ডা না দিয়ে মেয়েদের সাথে আড্ডা দেয় তো এইগুলা হরমোনের কারণে হতে পারে সমস্যা নাই কিন্তু সমস্যা তখন যখন কেউ এইধরনের আচরণ করে বলে সে নিজেকে মেয়ে বলে দাবি করে, অর্থাৎ ট্রান্সজেন্ডার দাবি করবে।
আবার অনেক মেয়ে আছে বিড়ি খায়, গাছে উঠে, ছেলেদের সাথে ফুটবল খেলে আমাদের এলাকায় যাকে বলে "ব্যাটা মার্কা বেটি" মানে সে মেয়ে হলেও আচরণ ছেলেদের মতো, এতে অনেকে হাসাহাসি করলে বা অপছন্দ জানালেও এইধরনের আচরণ স্বাভাবিক বলেই ধরে নেয়। কেউ আপত্তি তুলে না, কারণ একটা সময় পরে এই আচরণ আর থাকে না। আপত্তি তখন যখন এই ব্যাটা মার্কা বেটি নিজেকে ছেলে দাবি করবে, অর্থাৎ ট্রান্সজেন্ডার দাবি করবে।

৫। শরীফ মিয়ার গল্প যিনি লিখছেন তিনি নিজেই ইন্টারসেক্স তথা হিজড়া আর ট্রান্সজেন্ডারের ভেতরে পার্থক্য জানেন না।

বাচ্চাদেরকে কি হিজড়া সম্পর্কে জানানো উচিত? হ্যা উচিত, কিন্তু হিজড়া সম্পর্কে জানাতে গিয়ে ট্রান্সজেন্ডার শেখানোর পেছনে দুরভিসন্ধি আছে। দুরভিসন্ধি হচ্ছে সমকামিতাকে স্বাভাবিক করা। এখন অনেকেই বলবেন এই গল্পে তো সমকামিতার কিছুই নাই, আমিও একমত আপাতদৃষ্টিতে এই গল্পে সমকামিতার কিছু নাই, যা আছে তা হচ্ছে LGBTQ এর T তথা ট্রান্সজেন্ডার । তো আপনি যখন ট্রান্সজেন্ডার নরমালাইজ করবেন তখন এই LGBTQ দের ফ্লাগ তথা প্রাইড ফ্লাগ নরমালাইজ হয়ে যাবে, ট্রান্সদের এক্সেপ্ট করলে পরে তারা যদি সভা সেমিনার করে আর সেখানে যদি প্রাইড ফ্লাগ নিয়ে যায় তখন তাদেরকে কোন যুক্তিতে ফ্লাগ ইউজ করতে বাধা দিবেন? তাদেরকে এক্সেপ্ট করবেন আর তাদের ফ্লাগ এক্সেপ্ট করবেন না তা কি করে হয়। তো প্রাইড ফ্লাগ আসলে তার ছায়াতলে আস্তে আস্তে বাকিরাও চলে আসবে। তারা একটা প্লাটফর্ম পাবে।

এই ট্রান্সজেন্ডার ইস্যু সমকামিতার চাইতেও ভয়ানক ।
আইনগত ভাবে পশ্চিমের অনেক দেশে LGBTQ বৈধতা পেলেও সামাজিক বৈধতা অনেক দূরে, আমি নিজে অনেক ফরাসিকে জিজ্ঞেস করছি এই নিয়া, তারা বলে কেউ গে হলে আমার সমস্যা নাই তবে আমি চাইবোনা আমার ছেলে গে হোক, মানে ট্রান্সফোবিক ট্যাগ না খাইতে গিয়া সমকামিদের পক্ষে সাফাই গাইলেও নিজের সাথে তা ঘটুক তা অনেকে চায় না। ট্রান্স ইস্যুতে আজই আমার দুইজন ফরাসি কলিগকে জিজ্ঞেস করলাম যে বিচিওয়ালা একজন যদি হঠাৎ একদিন বলে যে আমি একটা মেয়ে তাহলে এই নিয়া তোমার মতামত কি? দুইজনই একবার ডানেবায়ে চেয়ে বলে "ওর মাথায় সমস্যা আছে", তো একজন ফরাসি বলছে বলেই আমাকে এটা মানতে হবে এমন না, আমি এই উদাহরণ আনছি তাদের জন্য যারা মনে করে পশ্চিমই সভ্যতার বাটখারা ।

আমেরিকার মতো জায়গায় পাঠ্যক্রমে এই বিষয়গুলো এড করায় অভিভাবকেরা রাস্তায় নেমেছে, দুনিয়ার বড় বড় সেলেব্রিটি যারা সমকামিতার পক্ষে থাকলেও ট্রান্সজেন্ডার ইস্যুতে তারা একমত না, হ্যারি পটারের রাইটাফ জে কে রাউলিং, জর্ডান পিটারসন, পিয়েরস মর্গান এমনকি ডোনাল্ড ট্রাম্প পর্যন্ত এই ট্রান্সজেন্ডারের পক্ষে না।

শরিফা গল্পে থার্ড জেন্ডার বা হিজড়া বুঝাইতে গিয়া ট্রান্সজেন্ডার আনা হইছে। যেই গাধা এই গল্প লেখছে সে নিজেই এই দুইটার পার্থক্য জানে না আসছে বাচ্চাদের শিখাইতে।

এই গল্পের শরিফা চরিত্র যদি বিচিওয়ালা ছেলে না হইয়া ইন্টারসেক্স হইতো তাইলে আমি গল্পরে দশে দশ দিতাম। হিজড়াদের অধিকার আছে স্বাভাবিক জীবনযাপন করার, সেটা হিজড়া হিশেবে অথবা অপারেশন করে জেন্ডার চেঞ্জ করে পুরুষ বা নারী হিশেবে।

আসল থার্ডজেন্ডার না চিনাইয়া এই গল্প বাচ্চাদের পড়তে দিলে হিতে বিপরীত হবে। এই বয়স বিদ্রোহ করার বয়স, প্রশ্ন করার বয়স, এখন বাচ্চারা যদি এই আইডিয়া পায় যে আমার পুরুষাঙ্গ থাকা সত্ত্বেও আমি নারী হতে পারি তখন অনেকের মনে নারী হওয়ার আস্ফালন পাবে।

আমেরিকানদের মাঝে বোমার, এক্স বা মিলেনিয়ালদের চাইতে জেন জি জেনারেশনের বাচ্চাকাচ্চা নিজেকে LGBTQ হিশেবে আইডেন্টিফাই বেশি করে। কারণ তারা টিভি সিরিয়াল স্কুল কলেজ সবজায়গা এইগুলার অবাধ প্রচারণার ফলে এইগুলারে নরমালাইজ করে নিছে, এখন দেশের বাচ্চাদের কাছে এইগুলা নরমালাইজ করলে তাদের মধ্যেও LGBTQ এর সংখ্যা বাড়বে। যারা এই গল্পের পক্ষে কথা বলছেন তারা আগে পরিস্কার করুন আপনারা কি চান দেশে LGBTQ এর সংখ্যা বাড়ুক, যদি বলেন হ্যা তাহলে আপনাদের এই গল্পের পক্ষে কথা বলা মানায়, আর যদি বলেন না ট্রান্স ঠিক আছে গে না তাইলে আপনে একটা ভন্ড।

৬।
ট্রান্সজেন্ডারের কারণে বেশি সমস্যা নারীদের সেইস করতে হচ্ছে, অনেক ছেলে পার্ভাট নিজেকে নারী হিশেবে আইডেন্টিফাই করে মহিলা জীমে যায়, মহিলা টয়লেটে যায় , স্পোর্টসে মেয়েরা মেডেল হারাচ্ছে ট্রান্সদের কাছে। বক্সিংয়ে এক ট্রান্স পোলা একটা মেয়ের খুলি ফাটাইয়া দিছে। অনেক মেয়ে এথলেট ট্রান্সদের সাথে প্রতিযোগিতা করতে অনাগ্রহ দেখাইতেছে। কারণ স্বাভাবিকভাবেই ছেলেরা শারীরিকভাবে মেয়েদের চাইতে শক্তিশালী এখন একটা ছেলে মেয়ে সাইজা বক্সিংয়ে নামলে তো আসল মেয়ের অবস্থা খারাপ হবেই।

ট্রান্সদের এক্সেপ্ট করলে সোশ্যাল অর্ডার বদলে যাবে, আর বাংলাদেশের মতো দেশে তো এর পরিণাম ভয়াবহ হবে। মনে করেন একজন (ছেলে) ধর্ষক একটা মেয়েকে ধর্ষণ করার পর বললো আমি নিজেই তো মেয়ে আমি কিভাবে ধর্ষণ করবো? কিংবা অপরাধের সাজা কমাতে নিজেকে মেয়ে দাবি করা (মেয়েদের প্রতি আইন শীতিল) । নারী কোটায় চাকরি হাতিয়ে নেওয়া, ভর্তি পরিক্ষায় ফেভার পাওয়া ইত্যাদি ইত্যাদি নানান সমস্যা আছে।

৭।
ট্রান্স একচেপ্ট করলে পরে নন বাইনারি জেন্ডার একচেপ্ট করতে হবে। কেউ নিজেকে খরগোশ হিশেবে আইডেন্টিফাই করবে, কেউ কুত্তা যেমনটা পশ্চিমে করছে। এই যেমন ৪০ বছরের এক ব্যাডা নিজেকে ৯ বছরের মেয়ে হিশেবে আইডেন্টিফাই করছে, সে বাচ্চাদের পোশাক পরে, বাচ্চাদের খেলনা নিয়ে খেলে, এখন আমি কি আমার ৯ বছর বয়সের মেয়ে বা বোনকে সেই ট্রান্সের সাথে একা খেলতে দিবো? দিলে কেনো দিবো, না দিলেই বা কেনো দিবোনা?
আরেকজন কালো সে নিজেকে সাদা বলে আইডেন্টিফাই করেছে, সে বলে আই ফিল লাইক এ ওয়াইট ম্যান, এখন একটা ছেলে যদি ফিল লাইক মেয়ে হতে পারে তাইলে একটা কালো কেনো ফিল লাইক সাদা হতে পারবে না?

শাসকগোষ্ঠী চায় মানুষ তার নিজের আইডেন্টিটি ডিসকাভার করাতেই ব্যস্ত থাকুক, যাতে শাসনকার্য নিয়া প্রশ্ন তুলতে না পারে। তাই পশ্চিমারা এটাকে এক্সেপ্ট কর নিছে, মাসকুলিন ম্যান প্রশ্ন করে, বিদ্রোহ করে, এজন্য শাসকগোষ্ঠী চায় ফেমিনিন পুরুষ বাড়ুক, লিপিস্টিক পুরুষ বাড়ুক।



৮।
সেক্স হরমোন টেস্টোস্টেরণ আর এস্ট্রোজেনের প্রভাব আছে মানুষের আচরণে, এমনিতেই বর্তমানে পুরুষদের শরীরে টেস্টোস্টেররণের (পুরুষ হরমোন বলতে পারি) পরিমাণ কম হয়ে যাচ্ছে, এস্ট্রোজেন (মেয়ে হরমোন) বাড়ছে, আমাদের বাপ দাদাদের শরীরে যে পরিমাণ টেস্টোস্টেররণ ছিলো আমাদের শরীরে তার অর্ধেকও নাই। প্রসেসড ফুড, পর্ণ, পলিউশন, জিএমও ফুড সহজলভ্য করায় টেস্টোস্টেররণ কমতেছে। এমনিতেই মাসকুলিন ম্যানের সংখ্যা কমতেছে আশংকাজনক হারে, "আফাই" দিয়ে দুনিয়া ভরে যাচ্ছে তার উপর আসছে এই ট্রান্স ইস্যু।

আফসোস লাগে যখন দেখি বিরোধিতার খাতিরে বিরোধিতা করা হচ্ছে,মোল্লারা ট্রান্সদের বিপক্ষে বলছে তো আমাকে এর পক্ষে বলতেই হবে। ব্যক্তিত্বহীন, নিজস্ব বুদ্ধি,চিন্তাহীন এইসব গর্দভরা একবার চিন্তা করেও দেখে না যে আমি কিসের পক্ষে কথা বলছি। ভাবে যে মোল্লাদের বিপক্ষে কথা বললেই আমি আধুনিক আর মুক্তমনা হতে পারবো, দুনিয়ার কত প্রফেসর সেলেব্রিটি সমকামী সাপোর্টার হওয়া সত্ত্বেও ট্রান্স ইস্যুতে দ্বিমত পোষণ করেন তুই কোন ক্ষেতের মুলা?
সর্বশেষ এডিট : ২৪ শে জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ১২:২১
২৫টি মন্তব্য ৮টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আমাদের কার কি করা উচিৎ আর কি করা উচিৎ না সেটাই আমারা জানি না।

লিখেছেন সেলিনা জাহান প্রিয়া, ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১:২৮




আমাদের কার কি করা উচিৎ আর কি করা উচিৎ না সেটাই আমারা জানি না। আমাদের দেশে মানুষ জন্ম নেয়ার সাথেই একটি গাছ লাগানো উচিৎ । আর... ...বাকিটুকু পড়ুন

মানবতার কাজে বিশ্বাসে বড় ধাক্কা মিল্টন সমাদ্দার

লিখেছেন আরেফিন৩৩৬, ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ২:১৭


মানুষ মানুষের জন্যে, যুগে যুগে মানুষ মাজুর হয়েছে, মানুষই পাশে দাঁড়িয়েছে। অনেকে কাজের ব্যস্ততায় এবং নিজের সময়ের সীমাবদ্ধতায় মানুষের পাশে দাঁড়াতে পারে না। তখন তারা সাহায্যের হাত বাড়ান আর্থিক ভাবে।... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। আমের খাট্টা

লিখেছেন শাহ আজিজ, ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৫৪



তাতানো গরমে কাল দুপুরে কাচা আমের খাট্টা দেখে ব্যাপারটা স্বর্গীয় মনে হল । আহা কি স্বাদ তার । অন্যান্য জিনিসের মত কাচা আমের দাম বাড়াতে ভুল করেনি... ...বাকিটুকু পড়ুন

ডাক্তার ডেথঃ হ্যারল্ড শিপম্যান

লিখেছেন অপু তানভীর, ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:০৪



উপরওয়ালার পরে আমরা আমাদের জীবনের ডাক্তারদের উপর ভরশা করি । যারা অবিশ্বাসী তারা তো এক নম্বরেই ডাক্তারের ভরশা করে । এটা ছাড়া অবশ্য আমাদের আর কোন উপায়ই থাকে না... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমার ইতং বিতং কিচ্ছার একটা দিন!!!

লিখেছেন ভুয়া মফিজ, ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৩:০৩



এলার্ম এর যন্ত্রণায় প্রতিদিন সকালে ঘুম ভাঙ্গে আমার। পুরাপুরি সজাগ হওয়ার আগেই আমার প্রথম কাজ হয় মোবাইলের এলার্ম বন্ধ করা, আর স্ক্রীণে এক ঝলক ব্লগের চেহারা দেখা। পরে কিছু মনে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×