কোটা সরকারে জন্য একটা কার্ড, এইটা মাইনা নেওয়া মানে কার্ড খেলে দেওয়া, সরকার এই কার্ড আস্তেধীরে খেলতে চাচ্ছে।
এই দাবি অন্যন্য দাবিদাওয়া যেগুলো কি না বেশি জরুরি সেগুলোকে অগুরুত্বপূর্ণ বানাইছে, এটা সরকারের জন্য লাভজনক। তাই তারা এই দাবিকে হাইলাইট করতেছে।
যেই সরকারকে আপনি অবৈধ বলছেন সেই সরকারের কাছে দাবি জানাচ্ছেন, এটা দাবি সরকারকে লেজিটিমেসি দেয়, এই লেজিটিমেসি সরকার উপভোগ করতেছে।
কাল যদি সরকার এই দাবি মেনে নেয় তাহলে সেটা হবে অনলাইনে যেসব পাচাটারা আন্দোলনকারীদের নিন্দা করছেন যুক্তি দিচ্ছেন তাদের যুক্তিতে সরকারের প্রসাব করার মতো।
খাইতে দিলে বসতে চায় আর বসতে দিলে শুইতে এই সুত্রে সরকার এখন খাওয়াদাওয়া নিয়ে নেগোসিয়েশন করতেছে, অল্প খাওয়ায় আবার না খাওয়ায়, পুরোপুরি খাওইয়া দিলে পরে বসতে চাওয়ার দাবি তুলা হবে, সরকার সেটা চাচ্ছে না।
আগের সকল আন্দোলনে আন্দোলনকারীরা সরকার প্রধানকে মাননীয় সম্বোধন করতো, এইবার স্বৈরাচার বলতেছে, এটা হাসিনার জন্য ডাউনফল।
শেখ হাসিনা উনার মেধা প্রজ্ঞা আর রাজনৈতিক কৌশলের জন্য বিরোধীদের কাছেও সমাদৃত ছিলেন সম্মানিত ছিলেন, সেই জায়গা উনি হারায়ে ফেলছেন।
বিএনপি জামাত যদি মনে করে এই কোটা আন্দোলন দিয়া লীগের পতন হবে তাইলে ভুল, সরকার থ্রেশহোল্ড পার হতে দেবে না, আগেই দাবি মেনে নেবে যদি না দমিয়ে রাখতে না পারে।
ছাত্রছাত্রীদের আন্দোলন, কৃষকদের আন্দোলন কোনোদিন ভুল হয় না, তাদেরকে ভুল বললে আপনি নিজেই ভুল।
ইতিহাসে বিজয়ী না বীজিত কোনদিকে থাকবেন কাপুরুষের মতো সেই চিন্তা না করে সত্যের পথে থাকুন, বি অন দ্য রাইট সাইড অফ হিস্ট্রি।
সর্বশেষ এডিট : ১৫ ই জুলাই, ২০২৪ রাত ১১:১৮