আন্তর্জাতিক বাজারে গতকাল সোমবার সোনার দাম আউন্সপ্রতি ৪ শতাংশ কমে ১ হাজার ৮৮ মার্কিন ডলারে নেমেছে। গত পাঁচ বছরের মধ্যে এটি সোনার সর্বনিম্ন দাম।
এর আগে ২০১০ সালের ২৬ মার্চ আউন্সপ্রতি (৩১. ১০ গ্রাম) সোনার দাম ছিল ১ হাজার ১০০ ডলার। বিশ্লেষকদের মতে, চলতি বছরের শেষ দিকে পণ্যটির দাম আরও কমে আউন্সপ্রতি ১ হাজার ডলারে নেমে যেতে পারে।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে নীতিনির্ধারণী সুদহার বাড়ানোর বিষয়ে আলোচনা শুরু হওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে শঙ্কিত বিনিয়োগকারীরা এই দামি পণ্যটি ছেড়ে দিতে শুরু করেছেন। এতে বাজারে বিক্রির চাপ বেড়ে যাওয়ায় দাম কমেছে।
যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় ব্যাংক ফেডারেল রিজার্ভের চেয়ারম্যান জ্যানেট ইয়েলেন গত সপ্তাহে নীতিনির্ধারণী সুদের হার কমানোর ইঙ্গিত দেওয়ায় মুদ্রাবাজারে মার্কিন ডলারের বিনিময় হার জোরদার হতে থাকে। এতে সোনার দামে নেতিবাচক প্রভাব পড়ে।
এ ছাড়া যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করায় ফেডারেল রিজার্ভ সুদের হার বাড়াবে—এমন সম্ভাবনা জোরালো হয়ে উঠছে। সে জন্য বিনিয়োগকারীরা সোনা ছেড়ে ডলারে বিনিয়োগের দিকে নজর দিচ্ছেন। কারণ, বিনিয়োগকারীরা সাধারণত অনিশ্চয়তার পরিস্থিতিতেই সোনা কিনে থাকেন।
এদিকে সোনার পাশাপাশি আরেক দামি ধাতু প্লাটিনামের দামও ৫ শতাংশ কমে আউন্সপ্রতি ৯৪২ দশমিক ৪৯ ডলারে নেমে এসেছে। কয়েক বছর আগে বিশ্ব অর্থনৈতিক সংকট শুরু হওয়ার পর এটিই হলো প্লাটিনামের দামে সর্বোচ্চ পতন। এর আগে ২০০৯ সালের ফেব্রুয়ারিতে প্লাটিনামের আউন্সপ্রতি দাম ছিল ৯৭৪ দশমিক ২৪ ডলার। এ ছাড়া রৌপ্যের দামও গতকাল শূন্য দশমিক ৫ শতাংশ কমে আউন্সপ্রতি ১৪ দশমিক ৭৯ ডলারে নেমেছে।
বিশ্বে সোনার বৃহত্তম ভোক্তা চীন গত শুক্রবার জানিয়েছে, তাদের কাছে গত জুন শেষে সোনার রিজার্ভ বা মজুত বেড়ে ১ হাজার ৬৫৮ টনে দাঁড়িয়েছে; যা ছয় বছর আগের চেয়ে ৫৭ শতাংশ বেশি। তবে চীনে সোনা মজুতের এই প্রবৃদ্ধি বিশ্লেষকদের প্রত্যাশার চেয়ে কম। কারণ, চীনের মোট বৈদেশিক মুদ্রার মজুতে সোনা রয়েছে ১ দশমিক ৬৫ শতাংশ। অথচ ২০০৯ সালে ছিল ১ দশমিক ৮ শতাংশ। সূত্র: বিবিসি, রয়টার্স।
বিস্তারিত জানতে এই লিংকঃ http://www.kitco.com
সর্বশেষ এডিট : ২১ শে জুলাই, ২০১৫ দুপুর ১২:২৩