somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

সমকামী জামাত -শিবির এবং ফারুকী হত্যার যোগসূত্র!!

২৯ শে আগস্ট, ২০১৪ রাত ১:০৯
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

আম্মা প্রতিদিন ভোর সকালে নিয়ম মাফিক ডেকে তুলত! আমার প্রতি প্রতিদিনের অবশ্যিক কাজের মধ্যে একটি! এই মফতবে যা এই মপতবে যা দেরী হয়ে যাচ্ছে! হাতে পাটির উপর কাজ করা (চাঁচ) ধরিয়ে দিত! নুরানী কায়দা পড়তাম তখন, হুজুর শিখিয়ে দিত (বাতায় দিত) আমরা মাথা নিচুকরে ঢুলিয়ে ঢুলিয়ে গড়গড় করে পড়তে থাকতাম! হঠাৎ একদিন চোখ পড়ল হুজুরের লুঙ্গির দিকে! হুজুরের সাথে বসে থাকা ছোট্ট বাচ্চাটি তার লুঙ্গির মধ্য হাত দিয়ে তার গোপন অঙ্গ নাড়ানাড়ি করছে! এইখানে বলে রাখা ভালো মপতবে একটু সুন্দর লাজুক যাদের দিয়ে হুজুর সব কাজ করাতে পারত তাদেরকে সে নিজের পাশে বসিয়ে পড়াত! তো প্রায় প্রতিদিনই দেখতাম ছোট্ট বাচ্চা গুলো খুব সুক্ষ ভাবে পান্জাবীর ভেতর দিয়ে লুঙ্গির মধ্য হাত দিয়ে তার গোপন অঙ্গ নাড়ছে! এই কাজ সে ছেলেদের দিয়েই করাইত মেয়েরা একটু রিস্কি ছিল বটে! অনেক সময় দেখেছি হুজুর কাউকে মারতে উঠলে তার গোপন অঙ্গ বরাবর ভিজা থাকত (নাফাকি) এই নাপাকি দিয়ে হুজুর প্রতিদিন দিব্য কুরআন সূরা পড়িয়ে যেত! এইভাবে যেতে যেতে লক্ষ্য করলাম প্রতিদিন হুজুর মসজিদ বারান্দা তার রুম ঝাড়ু দেওয়া জন্য একজনকে নিয়মিত ঝাড়ু ধরিয়ে দিত! একদিন রাস্তায় অন্য বন্ধুদের সাথে দুষ্টামি করছিলাম প্রায় অনেকক্ষণ, হঠাৎ মনে আসল কিরে বন্ধুটি এখনো কি করছে মসজিদে! কৌতুহল বসত মসজিদের পাশে যেতে শুনি ব্যথার আওয়াজ (অশ্লীল হয়ে যাবে তাই বলছিনা) মসজিদের সাথে এটেস্টেট করা কিন্তু হুজুরের রুম! এইভাবেই চলতে থাকে মাসের পর মাস একএক জনের সাথে! ছোট্ট অবুঝ তাই কেউ বলেনা ঘরে, না বলার জন্য হাতে চকলেট খাওয়ার জন্য কিছু টাকা ডুকিয়ে দিত! আমিও ভয়ে কাউকে কিছু বলতাম না আসলে কিছুই বুঝতাম না তখন! কিন্তু একদিন হুজুরের ভাগ্যই খারাপ নতুন ছেলে হওয়ায় ছেলেটি বাড়িতে গিয়ে সবাইকে সব বলে দেয়! এই নিয়ে জানাজানি হওয়ার সাথে সাথে এলাকায় তুমুল পরিস্থিতি শুরু হয়ে যায়! আসল কথা বলিনি গ্রামে প্রথম জামাত শিবির প্রতিষ্ঠার বীজবুনে এই হুজুর টা! গ্রামে সালিশ বসে এই নিয়ে! ওইদিকে হুজুরের অন্ধ সাঙ্গপাঙ্গরা গোপনে দা চুরি খুন্তি রট দিয়ে বসে আছে যদি সালিশের নির্বাচকরা হুজুরকে মসজিদ থেকে বাহির করে দেয় নির্বাচকদের হাত পা ভেঙ্গে কেটে পেলবে এইরকম হিংস্র প্রস্তুতি নিয়ে বসে আছে! অবস্থা বেগতিক দেখে নির্বাচকরা হুজুরের পক্ষে রায় দেয়! মনে মনে বললাম হুজুর জিতেগেছে হয়তো নিজের বিবেক আল্লাহর কাছে কি জওয়াব দিতে পারবে সে! আর সাঙ্গপাঙ্গরা যে অন্ধের মত যে অন্যায় প্রতিষ্ঠা করল তার বিচার সমাজ না করতে পারলেও আল্লায় দেখছে ঠিকই! ছোট্ট মাসুম বাচ্চা যে মিথ্যা বলবে তার কি সার্থ তা একবার তারা ভেবে দেখল না এইভাবে অন্ধের মত ক্ষমতা +নিজেদের মমওদুদী আদর্শ প্রতিষ্ঠার জন্য যারা তাদের বিরুদ্ধে কথা বলছে সে যদি আলেম ওলামা ও হয় তাদের হত্যা করতে তারা পিছপা হয় না! এরা এতো হিংস্র!

দিবালোকের মতন স্পষ্ট হয়ে যাবে এটি কার কাজ।
মনে আছে, জামায়াত নেতা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর ফাঁসির রায় ঘোষণাকে কেন্দ্র করে ২০১৩ সালের ৪ মার্চ সোমবার দুপুরে চট্টগ্রাম নগরীর ষোলশহর বিবির হাট শ্যামলী আবাসিক এলাকায় গিয়ে জামেয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া মাদ্রাসার মুহাদ্দিছ মাওলানা মুফতি ওবাঈদুল হক নঈমীর বাসার খোঁজ করতে থাকে স্থানীয় শিবির ক্যাডার ও সাউদার্ন ইউনিভার্সিটির ছাত্র আব্দুর রহমান। আবদুর রহমান স্থানীয়দের কাছ থেকে জামেয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া আলিয়া মাদ্রাসার অন্য আলেমদের বাসাবাড়ির ঠিকানাও সংগ্রহ করার চেষ্টা করে ওই ছাত্র। এ সময় সন্দেহ হওয়ায় স্থানীয় লোকজন আব্দুর রহমানকে আটক করে গণপিটুনি দেয় এবং জিজ্ঞাসাবাদ করলে এলোমেলো উত্তর দেয়। পরে খবর পেয়ে বায়েজিদ বোস্তামি ও পাঁচলাইশ থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে যায় ও তারা আব্দুর রহমানকে আটক করেন। এসময় তার দেহ তল্লাশি করে পকেট থেকে সুন্নি আলেম-ওলামাদের একটি তালিকাও উদ্ধার করা হয়।ওই তালিকায় ১০ শীর্ষ আলেমের নাম পাওয়া যায় তালিকাটির নাম দেয়া ছিল হিট লিস্ট।

সেই হিটলিস্টে চট্টগ্রামের জামেয়া-আহমদিয়া সুন্নিয়া আলিয়া মাদ্রাসার অধ্যক্ষ ও জমিয়তুল ফালাহ জাতীয় মসজিদের খতিব মাওলানা আল্লামা জালাল উদ্দিন আল কাদেরিসহ অন্তত ১০ সুন্নী আলেম-ওলামার নাম রয়েছে। এদের হত্যা ও সুন্নী প্রতিষ্ঠানে আক্রমণ করে তারা একদিকে মওদুদিবিরোধী প্রচারণার প্রতিশোধ নেয়া অন্যদিকে সুন্নী জনগোষ্ঠীকে সরকারের বিরুদ্ধে ক্ষেপিয়ে তোলায় ছিল মূল উদ্দেশ্য।

হিটলিস্টে যেসব সুন্নি আলেম-ওলামার নাম রয়েছে তারা হলেন----

*** জামেয়া আহমদিয়া সুন্নিয়ার অধ্যক্ষ ও চট্টগ্রামের জমিয়তুল ফালাহ জাতীয় মসজিদের খতিব আল্লামা জালাল উদ্দিন আলকাদেরী,
*** উপাধ্যক্ষ মাওলানা ছগরী ওসমানী,
*** আল্ল­ামা মুফতি ওবায়দুল হক নঈমী,
*** মাওলানা সৈয়দ অছির রহমান, মুফতি আবদুল ওয়াজেদ,
*** ওএসির উপদেষ্টা আল্লামা মুফতি ইদ্রিস রিজভী,
*** বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্টের চেয়ারম্যান আল্লামা এম এ মান্নান,
*** ইসলামিক ফ্রন্টের মহাসচিব মাওলানা জয়নুল আবেদীন জুবাইর,
*** অঞ্জুমান-এ-রেজভিয়া-নূরীয়ার চেয়ারম্যান মাওলানা আবুল কাশেম নুরী,
*** ওএসির সভাপতি হাফেজ মাওলানা সোলায়মান আনসারী,
*** সাধারণ সম্পাদক কাজী মঈনুদ্দীন আশরাফী,
*** গাউছিয়া কমিটির কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট মোছাহেব উদ্দিন বখতেয়ার,
*** অধ্যক্ষ বদিউল আলম রেজভি প্রমুখ।

এ ছাড়া তালিকায় চট্টগ্রামের বৃহৎ সুন্নী প্রতিষ্ঠান জামেয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া মাদ্রাসা, আলমগীর খানকাহ শরিফসহ বিভিন্ন সুন্নি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নামও রয়েছে তাদের হিটলিস্টে।

হিটলিস্টে যা লিখা ছিলঃ

শীর্ষ ১০ আলেমের বাসস্থান ও যাতায়াত পথের বিস্তারিত বিবরণ ছিল শিবিরের ওই হিট লিস্টে। তালিকায় দেখা গেছে, এই শীর্ষ ১০ আলেমরা নগরীর কোথায় বসবাস করেন তার পূর্ণাঙ্গ বিবরণ রয়েছে। তারা ভবনের কোন তলায় থাকেন এমনকি ভবনের রঙ কি তাও বর্ণনা দেয়া হয়েছে এ তালিকায়।

শিবির ক্যাডারদের কাছে পাওয়া এ তালিকা থেকে শীর্ষ এক আলেমের বাসস্থানের বিবরণ ঠিক এইভাবে লিখা ছিল-----

"জালাল উদ্দীন আল কাদেরী: ঠিকানা: সুন্নিয়া মাদ্রাসার পশ্চিম দিকে রেসকো স্কুল ও কলেজ এর গলি দিয়ে প্রবেশ করে আনোয়ার ম্যানশনের দ্বিতীয় তলায়।"

গতকাল নিহত মাওলানা নুরুল ইসলাম ফারুকী ছিলেন সুন্নী মতবাদে বিশ্বাসী বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট ও আহলে সুন্নাত ওয়াল জামায়াত বাংলাদেশের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য এবং উনি ছিলেন ইসলাম বিরোধী ভ্রান্ত মওদুদি তত্বের অন্যতম সমালোচক।

এবার মিলিয়ে নেন কাহিনী। জামাত শিবির হলো ধর্মের লেবাস গায়ে দিয়ে চলা সবচাইতে বড় নৃশংশ একদল হায়েনার পাল যাদের হাতে একজন ইমাম ও মাওলানাও নিরাপদ নন
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

বিসিএস-পরীক্ষার হলে দেরিঃ পক্ষ বনাম বিপক্ষ

লিখেছেন BM Khalid Hasan, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:০৪



বর্তমানের হট টপিক হলো, “১ মিনিট দেরি করে বিসিএস পরীক্ষার হলে ঢুকতে না পেরে পরীক্ষার্থীর স্বপ্ন ভঙ্গ।” প্রচন্ড কান্নারত অবস্থায় তাদের ছবি ও ভিডিও দেখা যাচ্ছে। কারণ সারাজীবন ধরে... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমাদের কার কি করা উচিৎ আর কি করা উচিৎ না সেটাই আমারা জানি না।

লিখেছেন সেলিনা জাহান প্রিয়া, ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১:২৮




আমাদের কার কি করা উচিৎ আর কি করা উচিৎ না সেটাই আমারা জানি না। আমাদের দেশে মানুষ জন্ম নেয়ার সাথেই একটি গাছ লাগানো উচিৎ । আর... ...বাকিটুকু পড়ুন

মানবতার কাজে বিশ্বাসে বড় ধাক্কা মিল্টন সমাদ্দার

লিখেছেন আরেফিন৩৩৬, ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ২:১৭


মানুষ মানুষের জন্যে, যুগে যুগে মানুষ মাজুর হয়েছে, মানুষই পাশে দাঁড়িয়েছে। অনেকে কাজের ব্যস্ততায় এবং নিজের সময়ের সীমাবদ্ধতায় মানুষের পাশে দাঁড়াতে পারে না। তখন তারা সাহায্যের হাত বাড়ান আর্থিক ভাবে।... ...বাকিটুকু পড়ুন

জব্বারের বলীখেলা ও বৈশাখী মেলা-২০২৪

লিখেছেন মোঃ মাইদুল সরকার, ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:৩৭



ছবি সৌজন্য-https://www.tbsnews.net/bangla




ছবি- মঞ্চে তখন গান চলছে, মধু হই হই আরে বিষ খাওয়াইলা.......... চট্টগ্রামের ঐতিহ্যবাহী গান।

প্রতি বছরের মত এবার অনুষ্ঠিত হল জব্বারের বলীখেলা ও বৈশাখী মেলা-২০২৪। গত ২৪/০৪/২৪... ...বাকিটুকু পড়ুন

ডাক্তার ডেথঃ হ্যারল্ড শিপম্যান

লিখেছেন অপু তানভীর, ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:০৪



উপরওয়ালার পরে আমরা আমাদের জীবনের ডাক্তারদের উপর ভরশা করি । যারা অবিশ্বাসী তারা তো এক নম্বরেই ডাক্তারের ভরশা করে । এটা ছাড়া অবশ্য আমাদের আর কোন উপায়ই থাকে না... ...বাকিটুকু পড়ুন

×