হিন্দু উত্তরাধিকার আইনে প্রধানত দুইটি আইন চালু আছে ঃ
১. দায় ভাগ পদ্ধতি
২. মিতাক্ষরা পদ্ধতি
১. দায় ভাগ পদ্ধতিঃ
দায়ভাগ আইন অনুযায়ী তিন শ্রেণীর লোক মৃত ব্যক্তির পরিত্যক্ত সম্পত্তিতে উত্তরাধীকারী হয়ে থাক।
ক. সপিন্ড ঃ সাপিন্ডের কেউ জীবিত থাকলে সাকুল্য ও সমােনোদকগণ কোন অংশ পাবে না। যে সকল ব্যক্তি মৃত ব্যক্তির আত্ত্বার কল্যাণের উদ্দেশ্যে তার শ্রাদ্ধে পিন্ডদান এবং মৃত ব্যক্তির জীবিতকালে যে সকল ব্যক্তির আত্ত্বার কল্যাণের উদ্দেশ্যে পিন্ডদান করতে বাধ্য, তারা সকলেই পরস্পরের সপিন্ড।
দায়ভগা আইনে সপিন্ডের সংখ্যা মোট ৫৩ জন। এর মধ্যে পুরুষ ৪৮ শ্রেণী মহিলা মাত্র ৫ শ্রেণী।
২. মিতাক্ষরা পদ্ধতি ঃ
এ পদ্ধতিতে মৃত ব্যক্তির পরিত্যক্ত সম্পত্তির উত্তরাধিকারী রক্তের নিকটতম সম্পর্কের ভিত্তিতে নির্ণীত হয়। এ আইনে তিন শ্রেণীর উত্তরাধিকারী আছে।
১. গোত্রজ সপিন্ড
২. সমানোদক
৩. বন্ধু
গোত্র সপিন্ডের উত্তরধিকারীগণের সংখ্যা মোট ৫৭ জন। এর মধ্যে পুরুষ ৫৪। মহিলা মাত্র ৩ জন। হিন্দু উত্তরাধিকার আইনের এ জরিপ থেকেই অনুমেয় হিন্দু ধর্মে মহিলারা কত বঞ্চিত।
অথচ মুসলিম উত্তরাধিকারী আইনে ৮ শ্রেণীর মহিলা সম্পত্তি পেয়ে থাকে। আর পুরুষের সংখ্যা মাত্র ৪ শ্রেণী।