বিংশ শতাব্দীর অত্যন্ত প্রতিভাবান ও জনপ্রিয় একজন ইংলিশ গায়ক এবং গিটারিস্ট জর্জ হ্যারিসন। তবে তাঁর প্রতিভা কেবলমাত্র এ দু’য়ে সীমাবদ্ধ থাকেনি। তাঁর বিচরণের ক্ষেত্র ব্যাপ্ত ছিল সঙ্গীত পরিচালনা, রেকর্ড প্রযোজনা এবং চলচ্চিত্র প্রযোজনা অব্দি। বিখ্যাত ব্যান্ড সঙ্গীত দল ‘দ্য বিটল্স’ এর চার সদস্যের একজন হিসেবেই তিনি বিখ্যাত হয়ে ওঠেন।
বিখ্যাত এ পপস্টারের প্রয়াণ দিবস আজ। ১৯৯৭ সালে হ্যারিসনের গলায় ক্যান্সার ধরা পড়ে। তখন তাকে রেডিওথেরাপি দেয়া হয়, যা সফল হিসেবে মনে করা হয়েছিল। ২০০১ সালে তাঁর ফুসফুস থেকে ক্যানসার টিউমার অপসারণ করা হয়। এর পর ২০০১ সালে ২৯ নভেম্বর হ্যরিসন ৫৮ বছর বয়সে মেটাস্টাটিক নন-স্মল সেল লাং ক্যানসারে মারা যান। ১৯৪৩ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি হ্যারিসন যুক্তরাজ্যে জন্মগ্রহণ করেছিলেন।
হ্যারিসনের সঙ্গীত জীবন
মূলত: লিড গিটারিস্ট হলেও ‘দ্য বিটলস’ ব্যান্ডের প্রতিটি অ্যালবামেই জর্জ হ্যারিসনের নিজের লিখা ও সুর করা দু-একটি একক গান থাকতো। যা তাঁর প্রতিভার পরিচায়ক ছিল। ‘দ বিটলস’ ভেঙ্গে যাওয়ার পরও তাঁর জনপ্রিয়তা কমেনি। সত্তুরের পরবর্তী সময়ে তাঁর অনেক গান প্রচন্ড জনপ্রিয় হয়েছিল। তাঁর গাওয়া গানগুলোর মধ্যে ‘ইফ আই নিডেড সামওয়ান’, ‘গিভ মি পিচ অন আর্থ’, ‘অল দোজ ইয়ারস এগো’, ‘ট্যাক্সম্যান’, ‘গট মাই মাইন্ড সেট অন ইউ’ ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য।
যেভাবে তিনি বাংলাদেশের বন্ধু
১৯৭১ সালে যখন বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ চলছিল, তখন জর্জ হ্যারিসন তাঁর বন্ধু রবি শংকরের পরামর্শে নিউ ইয়র্কের ম্যাডিসন স্কোয়ার গার্ডেন প্রাঙ্গনে দুটি দাতব্য কনসার্টের আয়োজন করেন। অনুষ্ঠানটিতে জর্জ হ্যারিসন, রবি শংকর ছাড়াও গান পরিবেশন করেন বব ডিলান, এরিক ক্ল্যাপটন, অপ্র বিটল্ রিঙ্গো স্টারসহ আরো অনেকে।এই কনসার্ট হতে সংগৃহীত আড়াই লাখ ডলার তিনি বাংলাদেশের উদ্বাস্তুদের জন্য দিয়েছিলেন। এমন মানুষকে বন্ধু ছাড়া আর কী বলা যায়?
সর্বশেষ এডিট : ৩০ শে নভেম্বর, ২০১৭ সকাল ১১:৪৩