বিশেষ বিমানে গুজরাট থেকে ২০০’র বেশি ‘বাংলাদেশি’ সীমান্তে পাঠাল ভারত, সীমান্তবর্তী রাজ্যগুলোর মাধ্যমে ফেরত পাঠানোর প্রক্রিয়া শুরু, জড়িত গুজরাট এন্টি টেররিজম স্কোয়াড
ভারতের গুজরাট রাজ্য থেকে অন্তত ২০০ জনের বেশি ‘অবৈধ বাংলাদেশি অভিবাসী’কে বিমানবাহিনীর একটি বিশেষ ফ্লাইটে করে উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় সীমান্ত রাজ্যগুলোতে পাঠানো হয়েছে। সেখান থেকে তাদের বাংলাদেশে ফেরত পাঠানোর প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছেন দেশটির সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস জানায়, বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) গুজরাটের ভাদোদরা বিমানঘাঁটি থেকে একটি এয়ারবাস উড়োজাহাজে করে এসব অভিবাসী ও কিছু সন্দেহভাজন নাগরিককে সীমান্তে পাঠানো হয়। সীমান্তে বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্স (বিএসএফ)-এর কাছে হস্তান্তরের পর বাংলাদেশের অভিমুখে ফেরত পাঠানো হচ্ছে।
জানা গেছে, কাশ্মীরের পহেলগামে সাম্প্রতিক জঙ্গি হামলার পর ভারতের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে ‘অবৈধ অভিবাসী শনাক্তকরণ ও ফেরত প্রক্রিয়া’ ত্বরান্বিত করে গুজরাট পুলিশ। প্রায় দুই মাস ধরে চলে ব্যাপক তল্লাশি ও আটক অভিযান।
গুজরাট পুলিশের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানান, আটককৃতদের গুজরাটের বিভিন্ন অস্থায়ী হেফাজত কেন্দ্রে রাখা হয়েছিল। পরে কঠোর নিরাপত্তার মধ্যে তাদের ভাদোদরার বিমানঘাঁটিতে আনা হয়। এই পুরো প্রক্রিয়ার নিরাপত্তা তদারক করে গুজরাট অ্যান্টি টেররিজম স্কোয়াড (এটিএস)।
পুলিশ কর্মকর্তা আরও জানান, আটককৃতদের ফেরত পাঠানোর আগে বিদেশি নাগরিকদের নিবন্ধন দফতর (FRRO) এবং বিএসএফ-এর সঙ্গে যৌথভাবে সমন্বয় করা হয়েছে। এ প্রক্রিয়া কেন্দ্রীয় সরকারের সরাসরি নির্দেশনার আলোকে বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।
তবে গুজরাট পুলিশ এখনো এসব ব্যক্তির পূর্ণাঙ্গ তালিকা প্রকাশ করেনি। কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এদের বেশিরভাগকেই পশ্চিমবঙ্গ ও উত্তর-পূর্ব ভারতের বাংলাদেশ-সংলগ্ন রাজ্যগুলোতে পাঠানো হয়েছে, যেখান থেকে বিএসএফ তাদের বাংলাদেশের সীমান্তে হস্তান্তর করবে।
“বাংলাদেশি অভিবাসীদের চিহ্নিত করতে দুই মাস ধরে চলে গুজরাট পুলিশের তল্লাশি অভিযান”

সর্বশেষ এডিট : ০৮ ই জুলাই, ২০২৫ বিকাল ৩:৪০

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।


