"ডাক্তার সাহেব, আমার পায়খানার রাস্তায় একটা ফুড়ার মতো হয়েছে। পায়খানা করতে খুবই কষ্ট হয়।"
.
এমন রোগী মাসে এক- দুজন এসেই থাকে। কিন্তু এই রোগীটাকে আমার ব্যতিক্রম মনে হলো। বয়স কমবেশি ৫০ বছর। চোখে মুখে আতংকের চাপ।
.
হুমিওপ্যাথি মতে তার রোগ লক্ষন বের করার জন্য কিছু প্রশ্ন করতে গিয়ে জানতে পারলাম, দীর্ঘদীন যাবত তার কুষ্টকাটিন্য আছে। ইতিমধ্যে একবার অপারেশনও করেছে। কিছুদিন ভালো থাকার পর আবার পায়ুপথের এই রোগটা(পাইলস) হয়েছে। পায়খানার রাস্তাটা ফুলে গেছে। দুইপাড়ে একাধিক রসুনের কড়ার মতো 'বলী' হয়েছে। মল খুবই কঠিন। মল বেরুতে চায় না, বহুকষ্টে কাঠের মতো শক্ত মল বের হয়, সাথে সাথে ঢলঢলিয়ে তাজা রক্ত পরতে থাকে।
.
তথ্যমতে পায়ুপথে এই রোগটা শতকরা প্রায় ৮০ জনেরই হয়ে থাকে। কারো কম কারো বেশি। যাদের চরম আকার ধারন করে, তারাই ডাক্তারের স্বরনাপন্ন হয়। আত্বীয়দের সাথে বলাবলি করে।
.
এটা হয় সাধারনত বহুদিন যাবত আমাশয়ে ভোগার ফলে, গুড়াকৃমির প্রভাবে, কুষ্টকাটিন্যের কারনে। যারা অতিরিক্ত সাইকেল চালনা করে বা ঘোড়ায় চড়ে বেড়ায় তাদেরও এই রোগটা হয়ে থাকে।
.
এই নিরাময় করতে হলে অবশ্যই তার কারন দূর করতে হবে। গুড়াকৃমি থাকলে তা সমূলে বিনাশ করুন, আমাশার সঠিক চিকিত্সা করুন, আর যাদের কুষ্টকাটিন্য আছে তাদের অবশ্যই কুষ্ট পরিস্কার রাখতে হবে। শুধু ঔষধই নয়, লক্ষ্য রাখুন, যেটা খেলে আপনার মল নরম থাকে তাহাই খান। আর প্রচুর পানি পান করুন। এমনিতেই তো একজন পূর্ন বয়স্ক লোকের তিন-চার লিটার পানি পান করা দরকার। আপনি একটু বেশি পান করুন। সকাল বেলা মল ত্যাগের পূর্বে অবশ্যই পেট ভর্তি জল পান করুন। জেনে রাখুন, অপারেশনই করুন বা আর যাই করুন রোগের কারন দূর না করলে তা আবার হবে।
.
আর হোমিওপ্যাথির কোন নির্দিষ্ট ঔষধ নেই। এতে রোগীর লক্ষন তার মনমানুষিকতা ইত্যাদি সার্বিক লক্ষন বিবেচনা করে ঔষধ নির্বাচান করতে হয়।
.
আবার বলছি, কুষ্ট পরিস্কার রাখুন, প্রচুর পানি পান করুন।
. . . . . .[বি.দ্র: এই লেখাটা Asgar Ahmed নামের FB একাউন্ট থেকে নেয়া। ভাবলাম লেখাটা উপকারি তাই সামুতে দেয়া]