কিছুদিন যাবত সিরিয়া সংকট নিয়ে আমেরিকা ও রাশিয়ার মধ্যে মুখোমুখি অবস্থান লক্ষনীয়। মনে হচ্ছে
মধ্যপ্রাচ্যে আধিপত্যের লড়ায়ে কেউ কাউকে ছাড় দিতে রাজি নয়। বিগত দিনগুলিতে দৈনিক সমকালের
আন্তর্জাতিক পাতার কয়েকটি শিরোনাম নিম্নরূপ :
31/10/15 : 'রাশিয়া পরাশক্তি নয়'। হোয়াইট হাউজের মন্তব্য ।
01/11/15 : 'মধ্যপ্রাচ্যে ছায়া যুদ্ধে জড়াতে পারে যুক্তরাষ্ট্র।' রাশিয়ার সতর্কবানী।
. . . আমেরিকা, রাশিয়ার এই পাল্টাপাল্টি হুঙ্কারে জাতিসংঘ মহাসচিব 'বান কি মুন' ও রেড ক্রসের প্রসিডেন্ট 'পিটার মুরার' একটু গা ঝাড়া দিয়া উঠলেন। সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় সংবাদ সম্মেলনে বিশ্বে চলমান যুদ্ধ-বিগ্রহ নিরসনে বিশ্ব নেতাদের 'ধীরে চলো' নীতির তীব্র নিন্দা জানালেন এবং এসবের আশু সমাধানের জুরদার পদক্ষেপ গ্রহনের আহবান জানালেন।
.
কিন্তু হায়, অসারের গর্জনে কি'ই বা আসে যায়। যেখানে
বাহাদুরদের আধিপত্যের প্রশ্ন, অসার জাতিসংঘের কিইবা করার আছে। জাতিসংঘ হলো, দ্ধিতীয় বিশ্ব যুদ্ধে জয়ী মিত্র শক্তির- ক্ষমতাধর রাষ্ট্র, আমেরিকা, রাশিয়া, ব্রিটেন, ফ্রান্স ও চীনের যৌথ শাসন ব্যবস্থার মাধ্যম।
.
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর এই পর্যন্ত, জাতিতে-জাতিতে, রাষ্ট্রে-রাষ্ট্রে, যুদ্ধ বিগ্রহসহ অন্যান্য সকল সমস্যার মধ্যে শত-শত সমস্যা জাতিসংঘের মাধ্যমে সীমাংসা করা হয়েছে বলে যে তথ্য আছে, তার প্রতিটা
মীমাংসার পিছনে উল্লেখিত পাচটি দেশের প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ সম্মতি ছিলো। এই পাচটি দেশের সমন্বিত সম্মতি নেই , কিন্তু পৃথিবীর বাকী(১৮৯টি) সব দেশের সম্মতি আছে, এমন কোনো মীমাংসা জাতিসংঘের আমলে হয়নায়। তাহা যত সংগতই হওক বা যত মানবিকই হওক না কেন।
.
এখানে সার্বানদের মর্যাদার ব্যাপার আছে, আধিপত্যের ব্যাপার আছে, আছে স্বার্থের ব্যাপারও । কাজেই IS বা জঙ্গিবাদ কোন বিবাদেরই সমাধান হবে না, যতক্ষন না জাতি, ধর্ম, বর্ণ, গোত্র, ভাষা, লিঙ্গ ও অঞ্চল নির্বিশেষে বিশ্ব মানবঐক্য প্রতিষ্টা হবে এবং এই ঐক্যের ভিত্তিতে উদার গনতান্ত্রিক বিশ্ব যুক্তরাষ্ট্রীয় ব্যবস্থা প্রতিষ্টিত হবে। তাই আজকের স্লোগান হওক : -
এক কেন্দ্রিক পৃথিবী চাই, বিকেন্দ্রি উন্নয়ন চাই।
[বি.দ্র: এই লেখাটা Asgar Ahmed এর ফেবু থেকে নেয়া। উনি দীর্ঘদিন যাবত এক বিশ্ব গড়ার স্বপ্ন নিয়ে লেখালেখি করছেন। আমি উনাকে স্যালুট জানাচ্ছি।] এক বিশ্ব গড়ার স্বপ্ন আমিও দেখি।