'দেশে দেশে সতর্কতা। প্যারিসে সন্ত্রাসী হামলা। নিহত ১২৮।' বিশ্লেষকরা বলছেন- 'ইউরোপের হৃতপিন্ডে আঘাত।'
.
চিন্তাশীলদের বিনীত ভাবে অনুরোধ করছি- আবেগের বসে নয়, বাস্তফতার নিরিখে চিন্তাকরুন। এই আঘাত শুধু ইউরোপে নয় বরং কষ্টার্জিত সভ্যতার ভিত্তি মূলে। সভ্যতা মানুষকে নতুন নতুন আবিস্কার, নতুন নতুন প্রযুক্তির
মাধ্যমে ক্রমাগত সমৃদ্ধ করে চলছে। আর সন্ত্রাসীরা অর্জিত সভ্যতাকে ধ্বংশ করে এক গন্ডিবদ্য খানাকন্দে আবদ্ধ করতে চাইছে।
. . . কাজেই এই আঘাত অবশ্যই সভ্যতার ভিত্তি মূলেই করা হয়েছে।
.
আই.এস এই হামলার দায়িত্ব শিকার করেছে এবং এটাকে ক্রুশেডের বিরোধ্যে যুদ্ধ বলে আখ্যায়িত করেছে। কাজেই বিশ্ব নেতৃত্বকে এখনই সতর্ক হতে হবে।
.
এ ধরনের সভ্যতা বিনাসী আঘাতকে তুলনা করা যায় ১৯১৪ সাল হতে ১৯১৮ সালে সংঘটিত প্রথম বিশ্বযুদ্ধ ও ১৯৩৯ সাল হতে ১৯৪৫ সাল পর্যন্ত অনুষ্টিত
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সাথে। এই সকল যুদ্ধে ছিল- ব্যাপক
ধ্বংশযজ্ঞ। কারন ছিলো ব্যবসা-বানিজ্যের স্বার্থ, প্রভাব বিস্তারের স্বার্থ ইত্যাদি।
. . .আজকে সন্ত্রাসী তত্পরতায় সেই পরিমানে ধ্বংশযজ্ঞ সংগঠিত হচ্ছেনা সত্যি, কিন্তু এর আতঙ্ক ব্যাপক এবং দীর্ঘ সময়ের এবং প্রগতি বিরুধী।
.
সন্ত্রাসীরা সমস্ত বিশ্বব্যাপী ঐক্যবদ্ধ। অন্যদিকে বিশ্বের নিয়ন্ত্রক রাষ্ট্র সমূহ পরস্পর বহুমুখী দ্ধন্দে লিপ্ত। কোন কোন ক্ষেত্রে তারা নিজেরাই সন্ত্রাসী লালন করে। প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পর আয়েশি অবহেলায় 'লীগ অব নেশনস' কার্যকারীতা হারিয়েছিল। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর, অদ্যবদী জাতিসংঘের সকল স্বার্থকতা ৫টি ভেটো পাওয়ারওয়ালা দেশের সম্মিলিত সম্মতিরই ফসল।
. . . এখানে বিশ্ব বিবেক বা তাদের স্বার্থের তোয়াক্কাও করা হয় না।
.
কাজেই বিশ্ব নেতৃত্বের প্রতি আহবান, অন্তত সন্ত্রাস, চোরাচালান, মাদক সহ আন্তর্জাতিক সমস্যা সমূহ সমাধানে ভেটো পাওয়ার রহিত করে, জাতিসংঘকে সার্বভৌম ক্ষমতা দেওয়া হওক এবং প্রয়োজনীয় শক্তি যোগান দেওয়া হওক।