একজন শিক্ষক লাঞ্চিত হইলে অন্য শিক্ষকরা লাঞ্চিতবোধ করেননা | একজন ইমাম লাঞ্চিত হইলে অন্য ইমামরা লাঞ্চিতবোধ করেননা | একজন রিক্সাওয়ালা লাঞ্চিত হইলে অন্য রিক্সাওয়ালারা লাঞ্চিতবোধ করেননা | একজন সাংবাদিক লাঞ্চিত হইলে অন্য সাংবাদিকরা লাঞ্চিতবোধ করেননা |(সব পেশার মানুষ যাঁরা: সত্য ও ন্যায়ের পক্ষে কথা বলতে কিংবা লিখতে গিয়ে অপমানিত‚ লাঞ্চিত‚ মারধোরের স্বীকার হন!)
এইরকম একটা সমাজব্যবস্থা‚ রাষ্ট্রব্যবস্থায় আমরা প্রতিনিয়ত বড় হচ্ছি | সত্য ও ন্যায়ের পক্ষের এই মানুষগুলোর পাশে কেউ দাঁড়ায়না | অথচ অন্যায়কারী‚ কুচক্রীমহল কত্ত একতাবদ্ধ হয়ে কত সুন্দরকরে শোষণ করে যাচ্ছে সবাইকে |
যেই সমাজব্যবস্থায় এইভাবে নীতিবান লোকগুলো অপমান‚ অপদস্ত‚ লাঞ্চিত হওয়ার পরও অন্য নীতিবানদের গায়ে লাগেনা‚ কোনো প্রতিবাদ হয়না সেই সমাজের এইসব নীতিবানদের কোনো মূল্য আদৌ আছে কি? তাঁরা তো নিজেদের শ্রদ্ধার জায়গাটাও ধরে রাখছেননা তবে পরবর্তী প্রজন্ম কি শিখবে? কি জানবে?
শাহবাগের সাংবাদিককে পেটানো‚ রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় এবং রাজশাহী পলিটেকনিকের শিক্ষককে লাঞ্চনা‚ বরিশালে ইমামের মাথায় মল ঢেলে দেয়ার মতো ঘটনাগুলোর জন্য সত্যিই বড় ব্যথিত হই‚ বিমর্ষ হয়ে যাই; কেন প্রতিবাদ হয়না‚ কেন অপরাধীকে শাস্তির আওতায় আনা হয়না ভেবে!
২৩ বৈশাখ ১৪২৮ বঙ্গাব্দ | বৃহস্পতিবার | ০৬ মে ২০২১ ইং
সর্বশেষ এডিট : ০৯ ই মে, ২০২১ ভোর ৪:৫৬