‘ঘুম’ মানবজীবনের সাথে জড়িয়ে থাকা অত্যাবশকীয় একটি ঘটনা । আমরা প্রতি রাতেই ঘুমাই । কেউ টিনশেড ঘরে, কেউ দোচালা ঘরে, কেউ বিল্ডিংয়ে, কেউ ডাইনিংতে, কেউ ফুটপাতে, কেউ রাস্তার বিভাজে, কেউ নৌকায়, কেউ বাসে, কেউ লঞ্চে ।
রাত্রি এলেই আমাদের ঘুমের প্রয়োজনীয়তা বাড়ে । সারাদিনের ক্লান্তি শেষে বাড়ির কর্তা-কর্তীরা, স্কুল পড়ুয়া ছেলে-মেয়েরা সবাই ঘুমিয়ে পড়ে একটা সময়ে । কেউবা আবার জেগেও থাকে সারারাত । নৈশপ্রহরীরা বাঁশি বাজিয়ে বাসা-অফিস, দোকানপাট পাহাড়া দেয় । স্টেশনে, বন্দরে, বাসস্ট্যান্ডে কিছু মানুষ সারারাত ধরে ব্যবসা করে । জিনিসপত্র বিক্রি করে ।
একেকটি মানবজীবনের বেঁচে থাকার দিনক্ষণ আমাদের সৃষ্টিকর্তা নির্ধারণ করে দিয়েছেন । এই লিমিটেড সময়ের মধ্যেই আমাদের ফিরে যেতে হয়-হবে আরেক জগতে ।
একজন মানুষের গড় আয়ু ৭২ বছর হলে তাকে এই সময়টাতে বিভিন্ন স্থানে, বিভিন্ন পরিবেশে ঘুমাতে হয় । আমার পঁচিশ বছরের জীবনে বহু জায়গায় রাত কেটেছে । কত জায়গায় ঘুমিয়েছি তাঁর নির্দিষ্ট কোনো হিসেব নেই ।
অপরিহার্য এই ঘুম কত স্থানে কেটে গেছে-যাচ্ছে-যাবে তা আমরা কেউ-ই জানিনা । একেকটা ঘুমে কত স্বপ্ন থাকে, কত দুঃস্বপ্ন থাকে, কত গল্প থাকে । সেই স্বপ্ন, ঘুমকে কখনও আমরা আমাদের জীবনভর কেটে গেলেও তুলে ধরিনি বা ধরিনা ।
সন্ধ্যা পেরিয়ে রাত নামে । কৃষ্ণপক্ষ আসে, শুক্লপক্ষ আসে । আমাদের রাত্রি কেটে যায় । ঘুমে বিভোর হয়ে হারিয়ে যাই কোথায় থেকে কোথায়...
প্রিয়কবি জীবনানন্দ দাশ বলেছিলেন, “ঘুমাও । ঘুমের মধ্যেই আছে মৃত্যুর মতো শান্তি ।” আহা! কি সেই কথা...
সাব্বির আহমেদ সাকিল
২৫ শ্রাবণ ১৪২৯ বঙ্গাব্দ, বর্ষাকাল | মঙ্গলবার | ০৯ আগস্ট ২০২২ ইং | কলমাকান্দা, নেত্রকোনা