সময়টা ছিলো শীতের, তখন জামালপুর থাকতাম।
হঠাৎ একদিন কুয়াশা নিমগ্ন ভোরে জানালায় ঠক ঠক কড়ানাড়ার শব্দ শুনে ঘুম ভেঙ্গে গেলো। আমার ফ্লাটটা চারতলার উপরে সুতারং কোন মানুষের পক্ষে এখানে জানালার বাহির হতে কড়া নাড়া সম্ভব না। সমগ্র ফ্লাটে আমি একাই, সুতারং ভেতর থেকে অন্য কারো পক্ষে কড়া নাড়ারও সুযোগ নেই। বেশ উৎকন্ঠার সাথে বেড থেকে উঠে জানালায় গিয়ে দেখি একজোড়া পাখি ঠোট দিয়ে জানালার সচ্ছ গ্লাসের উপর টোকা দিয়ে যাচ্ছে। সেদিন প্রথম ছিলো তবে শেষ নয়।
এর পর আরো প্রায় দুইমাস জামালপুর ছিলাম। এই পাখি জোড়া প্রতিদিন ভোরে এভাবেই আমাকে ডেকে তুলত। ওরা যেন আমাকে কিছু বলতে চাইতো। আমিও কনকনে শীতকে অবজ্ঞা করে ওদের ডাকে সারা দিয়ে বিছানা ছেরে উঠে পরতাম, চাদর মুরি দিয়ে এসে জানালায় দাড়াতাম। কান পেতে শোনার চেষ্টা করতাম, বোঝার চেষ্টা করতাম ওদের ভাষা। আবার কখনো জানালাদিয়ে বাহিরে তাকিয়ে কুয়াশামগ্ন ভোরের অপরূপ সৌন্দর্য্যে তলিয়ে যেতাম।
আহ্ এই মধুর স্মৃতি গুলোই আমার সঞ্চয়।