somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ধ্বংসের স্বরলিপি

০৭ ই জুন, ২০২০ রাত ১১:৫০
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

বন্ধুগণ,
আমি একজন মানুষের অপেক্ষায় আছি -
যে এ রাষ্ট্র কাঠামো ধ্বংসের ইশতেহার দেবে।
যে বলবে: এখন সময় রাষ্ট্র ধ্বংসের, গড়বার নয়!
যে বলবে: অর্থের কাছে বিক্রিত রাষ্ট্র আবর্জনার স্তুপ।
যে বলবে: আবর্জনার পর্বতে কোনো মজবুত কাঠামো নয়।

যে ধ্বংস করবে শিক্ষা ব্যবস্থা! কারণ;
এ শিক্ষা ব্যবস্থায় কোনো মানুষ তৈরি হয় না,
এ শিক্ষা ব্যবস্থায় তৈরি করে তোষামোদি ভাঁড়।
এ শিক্ষা ব্যবস্থায় জন্মে না কোনো প্রেমিক।
এ শিক্ষা স্বাধীন মানুষকে বানায় কৃতদাস।
এ শিক্ষা ব্যবস্থা কেড়ে নেয় শিশুর শৈশব।
যে এই মেরুদণ্ডহীন শিক্ষার শিকড় উপড়ে
এখানে শিশুর শৈশব চাষ করবে; আমি তার কথা বলছি।

যে ধ্বংস করবে চিকিৎসা ব্যবস্থা! কারণ;
এ চিকিৎসা ব্যবস্থায় নেই মানবসেবা,
এ চিকিৎসা ব্যবস্থা বাণিজ্যিক।
এ চিকিৎসা ব্যবস্থা বণিকের।
এ চিকিৎসা ব্যবস্থায় জীবন-মৃত্যু-লাশ, সবই পণ্য।
এ চিকিৎসা ব্যবস্থা মানুষের জন্য নয়।
এখানে কারো চিকিৎসা হয় হাসপাতালের মেঝে, কারো এলিজাবেথের বেডে।
যে এই বাণিজ্যিক চিকিৎসার শিকড় উপড়ে
এখানে মানবসেবা চাষ করবে; আমি তার কথা বলছি।

যে ধ্বংস করবে রাজনীতি! কারণ;
এ রাজনীতি মানুষের নীতি নয়,
এ রাজনীতি ক্ষমতা লোভী নষ্ট রাজার নীতি।
এ রাজনীতি রাজপথে ভন্ড শ্লোগানের নীতি।
এ রাজনীতিতে নেই রাজনীতিবিদ, নেই কর্মী।
কিছু ক্ষমতা লোভী রাক্ষস কামানের নলের মতো
জিভ তাক করে থাকে রাষ্ট্রের দিকে।
যে এই ক্ষমতার রাজনীতির শেকড় উপড়ে
এখানে আদর্শের চাষ করবে; আমি তার কথা বলছি।

যে ধ্বংস করবে খাকি পেশাকের হিংস্রতা! কারণ;
এ পোশাকে ভালোবাসা থাকে না,
এ পোশাকে থাকে হায়নার প্রতিবিম্ব।
এ পোশাকে লেপ্টে আছে আসাদের রক্ত।
এ পোশাক অস্র হাতে রক্তাক্ত করেছে একুশের সূর্য্য।
এ পোশাক মানুষের ক্ষুধার নিরাপত্তা দেয় না,
এ পোশাক পুঁজিবাদের নিরাপত্তা দেয়।
এ পোশাক অস্র হাতে পুঁজিবাদকে টার্গেট করে না।
এ পোশাক অস্রের নলে টার্গেট করে মানুষের মাথার খুলি।
এ পোশাক অস্রের নলে টার্গেট করে শ্রমিকে বুকের পাঁজর।
যে এই পোশাকের হিংস্রতার শেকড় উপড়ে
এখানে মমতার চাষ করবে; আমি তার কথা বলছি।

যে ধ্বংস করবে বিচার ব্যবস্থা! কারণ;
এ বিচার ব্যবস্থায় বিচার হয় না,
এ বিচার ব্যবস্থায় হয় প্রতিশোধ।
এ বিচার ব্যবস্থায় জননী পায় না সন্তান হত্যার বিচার।
এ বিচার ব্যবস্থায় ভাই পায় না বোন ধর্ষণের বিচার।
এ বিচার ব্যবস্থায় বিচারের জন্য স্লোগান হয় রাজপথে।
এ বিচার ব্যবস্থায় ন্যায়ের বাণী কাঁদে।
যে এই বিচারালয়ের ভিত উপড়ে
এখানে সত্যের চাষ করবে; আমি তার কথা বলছি।

যে ধ্বংস করবে সামাজ ব্যাবস্থা! কারণ;
এ সমাজে কোনো ভালোবাসা নেই,
এ সমাজে প্রতিষ্টিত স্বার্থ আর ঘৃণা।
এ সমাজ মিথ্যাবাদী-লোভী- প্রতারকের।
এ সমাজে অর্থকে বলে ইশ্বর।
এ সমাজ অর্থের গোলাম, অর্থের সেজদাকারী।
যে এই সমাজের ভিত উপড়ে
এখানে ভালোবাসার চাষ করবে; আমি তার কথা বলছি।

আমি আবারো বলছি -
যে এই ব্যার্থ রাষ্ট্র কাঠামো নিশ্চিহ্ন করে দেবে; আমি তার অপেক্ষায় আছি।
সর্বশেষ এডিট : ০৮ ই জুন, ২০২০ বিকাল ৪:০৬
৭টি মন্তব্য ৬টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

শ্রমিক সংঘ অটুট থাকুক

লিখেছেন হীসান হক, ০১ লা মে, ২০২৪ সকাল ৯:৪৮

আপনারা যখন কাব্য চর্চায় ব্যস্ত
অধিক নিরস একটি বিষয় শান্তি ও যুদ্ধ নিয়ে
আমি তখন নিরেট অলস ব্যক্তি মেধাহীনতা নিয়ে
মে দিবসের কবিতা লিখি।

“শ্রমিকের জয় হোক, শ্রমিক ঐক্য অটুট থাকুক
দুনিয়ার মজদুর, এক হও,... ...বাকিটুকু পড়ুন

কিভাবে বুঝবেন ভুল নারীর পিছনে জীবন নষ্ট করছেন? - ফ্রি এটেনশন ও বেটা অরবিটাল এর আসল রহস্য

লিখেছেন সাজ্জাদ হোসেন বাংলাদেশ, ০১ লা মে, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৪

ফ্রি এটেনশন না দেয়া এবং বেটা অরবিটার


(ভার্সিটির দ্বিতীয়-চতুর্থ বর্ষের ছেলেরা যেসব প্রবলেম নিয়ে টেক্সট দেয়, তার মধ্যে এই সমস্যা খুব বেশী থাকে। গত বছর থেকে এখন পর্যন্ত কমসে কম... ...বাকিটুকু পড়ুন

প্রতিদিন একটি করে গল্প তৈরি হয়-৩৭

লিখেছেন মোঃ মাইদুল সরকার, ০১ লা মে, ২০২৪ দুপুর ১২:৫১




ছবি-মেয়ে ও পাশের জন আমার ভাই এর ছোট ছেলে। আমার মেয়ে যেখাবে যাবে যা করবে ভাইপোরও তাই করতে হবে।


এখন সবখানে শুধু গাছ নিয়ে আলোচনা। ট্রেনিং আসছি... ...বাকিটুকু পড়ুন

একাত্তরের এই দিনে

লিখেছেন প্রামানিক, ০১ লা মে, ২০২৪ বিকাল ৫:৩৬


শহীদুল ইসলাম প্রামানিক

আজ মে মাসের এক তারিখ অর্থাৎ মে দিবস। ১৯৭১ সালের মে মাসের এই দিনটির কথা মনে পড়লে এখনো গা শিউরে উঠে। এই দিনে আমার গ্রামের... ...বাকিটুকু পড়ুন

হুজুররা প্রেমিক হলে বাংলাদেশ বদলে যাবে

লিখেছেন মিশু মিলন, ০১ লা মে, ২০২৪ রাত ৯:২০



তখন প্রথম বর্ষের ছাত্র। আমরা কয়েকজন বন্ধু মিলে আমাদের আরেক বন্ধুর জন্মদিনের উপহার কিনতে গেছি মৌচাক মার্কেটের পিছনে, আনারকলি মার্কেটের সামনের ক্রাফটের দোকানগুলোতে। একটা নারীর ভাস্কর্য দেখে আমার... ...বাকিটুকু পড়ুন

×