somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

আপনার কাছে যেটা যুদ্ধ, তাদের কাছে সেটা সবচেয়ে লাভজনক বিজনেস

১৮ ই আগস্ট, ২০২১ রাত ১১:১৮
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



দুই দশকের আফগান যুদ্ধে আমেরিকার ব্যয় হয়েছে ২ ট্রিলিয়ন ডলারের বেশি। অর্থাৎ বিগত ২০ বছরের প্রতিদিন তাদের গড়ে ৩০০ মিলিয়ন ডলার খরচ হয়েছে। যা আফগানিস্তানের ৪০ মিলিয়ন মানুষের মাঝে ভাগ করে দেওয়া হলে প্রত্যেকে ৫০ হাজার ডলার করে পাবেন।
যুক্তরাষ্ট্র এই যুদ্ধে কত ব্যয় করেছে তা বোঝার জন্য আরেকটি উদাহরণ দিয়েছে ফোর্বস। জেফ বেজোস, ইলন মাস্ক, বিল গেটস সহ যুক্তরাষ্ট্রের আরো শীর্ষ ৩০ জন বিলিয়নিয়ারের মোট অর্থ একসাথে করলে যা হবে, তার চেয়েও বেশি ব্যয় হয়েছে এই যুদ্ধে।
এর মধ্যে ৮০০ বিলিয়ন ডলার সরাসরি যুদ্ধে ব্যয় হয়েছে। আর ৮৫ বিলিয়ন ডলার ব্যয় হয়েছে আফগান নিরাপত্তা বাহিনীর প্রশিক্ষণের পেছনে, যারা কিনা মাত্র এক মাসের মধ্যেই ৭৫ হাজারের এক মিলিশিয়া বাহিনীর কাছে আত্মসমর্পণ করেছে। এই অযোগ্য সেনাবাহিনীর বেতন বাবদ যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি বছর ব্যয় হয়েছে ৭৫০ মিলিয়ন ডলার।
তবে যুদ্ধ শেষ হয়ে গেলেও যুক্তরাষ্ট্রের ব্যয় কিন্তু থেমে থাকবে না। আফগান যুদ্ধে আহত ২০ হাজার মার্কিন সেনা ও নাগরিকের চিকিৎসা বাবদ ইতিমধ্যে ৩০০ বিলিয়ন ডলার ব্যয় হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে এই খাতে যুক্তরাষ্ট্রের আরো ৫০০ বিলিয়ন ডলার ব্যয় হবে।
যুক্তরাষ্ট্র সরকার যুদ্ধে যে অর্থ ব্যয় করেছে তার সিংহভাগই ঋণ হিসেবে নেওয়া। ইতিমধ্যে এর সুদ বাবদ ৫০০ বিলিয়ন ডলার পরিশোধ করা হয়েছে। বিশেষজ্ঞদের হিসাব বলছে ২০৫০ সাল নাগাদ শুধুমাত্র আফগান যুদ্ধের ব্যয় দাঁড়াবে ৬.৫ ট্রিলিয়ন ডলারে। অর্থাৎ এই যুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের প্রত্যেক নাগরিক মাথাপিছু ২০ হাজার ডলার ঋণ বহন করবেন। ইরাক যুদ্ধের হিসাব তো রয়েই গেছে।
.
আর যদি জীবনহানির বিষয়টি বিবেচনা করা হয় তাহলে এই যুদ্ধের ব্যয় অপরিমেয়। বিগত দুই দশকে আফগানিস্তানে যুদ্ধের কারণে প্রতি ঘণ্টায় গড়ে ১ জন করে জীবন হারিয়েছেন। মোট জীবনহানির হিসাব নিম্নরূপ:
আফগান বেসামরিক নাগরিক: ৪৭,২৪৫
আফগান নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্য: ৬৬,০০০ (ফোর্বস: ৬৯০০০)
মার্কিন সেনা: ২,৪৮৮
ইউএস কন্ট্রাক্টর: ৩,৮৪৬
মার্কিন জোটভুক্ত অন্যান্য দেশের সেনা: ১,১৪৪
তা*লে*বা*ন ও অন্যান্য বিদ্রোহী দলের সদস্য: ৫১,১৯১
এইড ওয়ার্কার: ৪৪৪
সাংবাদিক: ৭২
.
বিপুল পরিমাণ অর্থ ও অসংখ্য মানুষের জীবনহানির বিনিময়ে আফগান যুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের তাহলে অর্জন কী? যাদের হটানোর জন্য ওয়ার অন টেরর শুরু করেছিল তারা দোর্দন্ড প্রতাপের সাথে ক্ষমতায় ফিরে এসেছে। মাঝখান থেকে বিপর্যস্ত হয়েছে আফগানদের জীবন, শরণার্থী হয়েছে লাখ লাখ মানুষ, সীমাহীন অভাব আর দুঃসহ স্মৃতি নিয়ে বড় হয়েছেন লাখ লাখ আফগান শিশু।
প্রত্যেক যুদ্ধেই ক্ষতিগ্রস্ত হন সেনা আর সাধারণ মানুষ। সাথে সাধারণ মানুষের পকেট কাটা তো আছেই। ইংরেজিতে 'ওয়ারলর্ড' বলতে একটা শব্দ আছে। প্রতিটা যুদ্ধে লাভবান হন এই ওয়ারলর্ডরা, যারা একটি অঞ্চলের রাজনীতি, অর্থনীতি ও সেনাবাহিনীকে নিয়ন্ত্রণ করেন।
আমরা বিভিন্ন সময়ে যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া, ফ্রান্স বা অন্যান্য দেশকে অস্ত্র বিক্রি করতে দেখি। অস্ত্র বাণিজ্য আসলে একটি দেশের অর্থনীতিতে অনেক বড় অবদান রাখে না, যতটা রাখে কৃষি বা অন্য শিল্প। বিশ্বের যে কয়টি খাতে সর্বোচ্চ দুর্নীতি, অস্ত্র বাণিজ্য তার মধ্যে অন্যতম এবং তালিকার উপরের দিকেই অবস্থান।
প্রতিটা অস্ত্র চুক্তির সময় বিভিন্ন জনের পকেটে টাকা চলে যায়। যদি মনে করেন যুক্তরাষ্ট্রে এটা হয় না, তাহলে ভুল। এই দুর্নীতি সব দেশে হয়। যারা অস্ত্র কেনে, সেই দেশের এমপি-মন্ত্রী ও সামরিক কর্মকর্তাদের পকেটে টাকা যায়। আবার যারা বিক্রি করে সেই দেশেরও বড় বড় কর্মকর্তা থেকে শুরু করে রাজনীতিবিদ সবার পকেটেই টাকা যায়।
একটা যুদ্ধ কীভাবে কতটা লাভজনক ব্যবসা হতে পারে তা আপনাকে বুঝিয়ে দিচ্ছি। ২০০১ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর, প্রেসিডেন্ট জর্জ ডব্লিউ বুশ যখন ৯/১১ এর প্রতিশোধ নেওয়ার জন্য আফগানিস্তানে হামলার সিদ্ধান্ত নেন, তখন যারা যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষ পাঁচটি ডিফেন্স কন্ট্রাক্টর কোম্পানিতে ১০ হাজার ডলার বিনিয়োগ করেছিলেন এবং বিশ্বাসের সাথে প্রাপ্ত লভ্যাংশ পুনরায় বিনিয়োগ করেছিলেন তারা আজ ১ লাখ ডলারের মালিক।
অর্থাৎ সেই সময় যিনি এই পাঁচটি কোম্পানির ১০ হাজার ডলারের স্টক কিনেছিলেন, আজ তার স্টকের মূল্য ১ লাখ ডলার। একই সময়ে যারা অন্য খাতে সমপরিমাণ বিনিয়োগ করেছেন তারা কিন্তু এত বেশি লাভবান হতে পারেননি। আফগান যুদ্ধ চলাকালীন সময়ে ডিফেন্স স্টক অন্যান্য স্টক মার্কেটের চেয়ে ৫৮ শতাংশ ভালো করেছে।
এই বিষয়টি আরো ভালোভাবে বোঝার জন্য 'Why We Fight' শিরোনামে একটি ডকুমেন্টারি আছে, সেটি দেখতে পারেন।
এর অনেক আগেই মিলিটারি-ইন্ডাস্ট্রিয়ালদের বিষয়ে সতর্ক করেছিলেন প্রেসিডেন্ট ডোয়াইট আইসেনআওয়ার।
সাবেক সিআইএ কন্ট্রাক্টর ও একাডেমিক ক্যালমার্স জনসন বলেছেন, "আমি আপনাকে গ্যারান্টি দিচ্ছি, যুদ্ধ যখন লাভজনক হবে, তখন আপনি ঘন ঘন যুদ্ধ হতে দেখবেন।"
ইউএস এয়ারফোর্সের একজন অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট বলেছেন, "যে সকল আমেরিকান নাগরিকের ছেলে বা মেয়েকে যুদ্ধে পাঠানো হচ্ছে, তারা যদি যুদ্ধের লাভ-ক্ষতির দিকে তাকান তখন তারা বলবেন, আমি এই যুদ্ধে কোনো লাভ দেখছি না। কিন্তু যখন কোনো রাজনীতিবিদ, যিনি বর্তমান ও ভবিষ্যতের চুক্তি সম্পর্কে ভালো বোঝেন তিনি যখন যুদ্ধের দিকে তাকান, তখন তার কাছে লাভ-ক্ষতির হিসেব অন্যরকম।"
যেমন যুক্তরাষ্ট্র যখন আফগানিস্তান থেকে সৈন্য প্রত্যাহারের ঘোষণা দিলো তখন অনেকের দৃষ্টিতে তারা ব্যর্থতার গ্লানি নিয়ে দেশে ফিরছেন। এবং এটা সত্য। কিন্তু যেখানে এত অর্থের ছড়াছড়ি সেখানে কেউ না কেউ তো লাভবান হয়েছেন। তারা খোদ যুক্তরাষ্ট্রেরই কিছু প্রভাবশালী ব্যক্তি, যাদের দৃষ্টিতে এই যুদ্ধ ছিল তাদের জীবনের সবচেয়ে বড় সাফল্য।
এই ব্যক্তিরা কারা? বোয়িং, লকহিড মার্টিন কিংবা জেনারেল ডাইনামিকসের বোর্ডে যারা বসে আছেন তারাই হলেন এই সকল সফল ব্যক্তি। যাদের মধ্যে অনেকেই সাবেক সেনা কর্মকর্তা, যারা যুদ্ধকে সবচেয়ে ভালো বোঝেন। যুক্তরাষ্ট্র সরকার এই অভিজাত ব্যক্তি ও কোম্পানিদের স্বার্থ সুরক্ষা করে। আপনি যদি মনে করেন যুক্তরাষ্ট্রের মতো গণতান্ত্রিক সরকার আমার আপনার মতো মানুষদের স্বার্থকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেয় তাহলে আপনি ভুল। ভুলে গেলে চলবে না তারা পুঁজিবাদের ডিলার।
এবার একটু সরাসরি হিসেব তুলে ধরি। আমেরিকার শীর্ষ পাঁচ ডিফেন্স কন্ট্রাক্টর হচ্ছে বোয়িং, রেথিওন, লকহিড মার্টিন, নর্থ্রুপ গ্রুম্যান ও জেনারেল ডাইনামিকস। এই পাঁচটি কোম্পানি আবার যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষস্থানীয় স্টক মার্কেট ইনডেক্স কোম্পানি স্ট্যান্ডার্ড অ্যান্ড পুওর'স ৫০০ বা এস অ্যান্ড পি ৫০০ কোম্পানির কোর্স পার্ট। যুক্তরাষ্ট্রের অন্যান্য স্টক এক্সচেঞ্জ ফার্মের চেয়ে এস অ্যান্ড পি ৫০০ এর আয় অনেক বেশি।
২০০১ সালের সেপ্টেম্বরের পর থেকে যুক্তরাষ্ট্র সরকারের কাছে থেকে শীর্ষ পাঁচটি ডিফেন্স কন্ট্রাক্টর কত আয় করেছে দেখা যাক। সবার আগে এস অ্যান্ড পি ৫০০ এর হিসাবটা দেখি। তাদের ডিফেন্স স্টকে যারা ২০০১ সালে বিনিয়োগ করেছিলেন তারা ৫১৬.৬৭ শতাংশ বেশি ফেরত পেয়েছেন। অর্থাৎ সেই সময় যারা ১০ হাজার ডলার বিনিয়োগ করেছিলেন, তারা এখন ৬১ হাজার ৬১৩ ডলার পাবেন।
আর শীর্ষ পাঁচ ডিফেন্স কন্ট্রাক্টরের সম্মিলিত হিসাব যদি করা হয়, তাহলে এই মোটের উপর ৮৭২.৯৪ শতাংশ বেশি ফেরত পাচ্ছেন। যারা ২০০১ সালে ১০ হাজার ডলার বিনিয়োগ করেছিলেন, তারা এখন ৯৭ হাজার ২৯৪ ডলার পাবেন।
এবার আলাদা আলাদা হিসেব দেখা যাক।
বোয়িং
৯৭৪.৯৭ শতাংশ বেশি।
২০০১ সালের ১০ হাজার ডলারের স্টকের মূল্য এখন ১ লাখ ৭ হাজার ৫৮৮ ডলার।
রেথিওন
৩৩১.৪৯ শতাংশ
২০০১ সালের ১০ হাজার ডলারের স্টকের মূল্য এখন ৪৩ হাজার ১৬৬ ডলার।
লকহিড মার্টিন
১,২৩৫.৬০ শতাংশ বেশি
২০০১ সালের ১০ হাজার ডলারের স্টকের মূল্য এখন ১ লাখ ৩৩ হাজার ৫৫৯ ডলার।
জেনারেল ডাইনামিকস
৬২৫.৩৭ শতাংশ বেশি
২০০১ সালের ১০ হাজার ডলারের স্টকের মূল্য এখন ৭২ হাজার ৫১৫ ডলার।
নর্থ্রুপ গ্রুম্যান
১১৯৬.১৪ শতাংশ বেশি
২০০১ সালের ১০ ডলারের স্টকের মূল্য এখন ১ লাখ ২৯ হাজার ৬৪৪ ডলার।
এই হিসাবটি ২০০১ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর থেকে ২০২১ সালের ১৫ আগস্ট পর্যন্ত।
শেষ করছি নাম না জানা একজনের উক্তি দিয়ে, "যারা যুদ্ধে যায় তারা যুদ্ধ চায় না, আর যারা যুদ্ধ চায় তারা যুদ্ধে যায় না।"
পরবর্তী যুদ্ধ দেখার জন্য প্রস্তুতি নিন।

তথ্যসূত্র: ফোর্বস, মার্কেট ওয়াচ ও ইন্টারসেপ্ট
লেখক: মোঃ জাহিদ হাসান
সর্বশেষ এডিট : ১৮ ই আগস্ট, ২০২১ রাত ১১:১৮
১০টি মন্তব্য ১০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

জামায়াত শিবির রাজাকারদের ফাসির প্রতিশোধ নিতে সামু ব্লগকে ব্লগার ও পাঠক শূন্য করার ষড়যন্ত্র করতে পারে।

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১১:৪৯


সামু ব্লগের সাথে রাজাকার এর সম্পর্ক বেজি আর সাপের মধ্যে। সামু ব্লগে রাজাকার জামায়াত শিবির নিষিদ্ধ। তাদের ছাগু নামকরণ করা হয় এই ব্লগ থেকেই। শুধু তাই নয় জারজ বেজন্মা... ...বাকিটুকু পড়ুন

হাওরের রাস্তার সেই আলপনা ক্ষতিকর

লিখেছেন সেলিনা জাহান প্রিয়া, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১১:৫৯

বাংলা বর্ষবরণ উদযাপন উপলক্ষে দেশের ইতিহাসে দীর্ঘতম আলপনা আঁকা হয়েছে কিশোরগঞ্জের অষ্টগ্রাম হাওরের ‘অলওয়েদার’ রাস্তায়। মিঠামইন জিরো পয়েন্ট থেকে অষ্টগ্রাম জিরো পয়েন্ট পর্যন্ত ১৪ কিলোমিটার দীর্ঘ এই আলপনার রং পানিতে... ...বাকিটুকু পড়ুন

ছবির গল্প, গল্পের ছবি

লিখেছেন আরেফিন৩৩৬, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৩:১৫



সজিনা বিক্রি করছে ছোট্ট বিক্রেতা। এতো ছোট বিক্রেতা ও আমাদের ক্যামেরা দেখে যখন আশেপাশের মানুষ জমা হয়েছিল তখন বাচ্চাটি খুবই লজ্জায় পড়ে যায়। পরে আমরা তাকে আর বিরক্ত না করে... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাঙ্গালির আরব হওয়ার প্রাণান্ত চেষ্টা!

লিখেছেন কাল্পনিক সত্ত্বা, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:১০



কিছুদিন আগে এক হুজুরকে বলতে শুনলাম ২০৪০ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে নাকি তারা আমূল বদলে ফেলবেন। প্রধানমন্ত্রী হতে হলে সূরা ফাতেহার তরজমা করতে জানতে হবে,থানার ওসি হতে হলে জানতে হবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

অবিশ্বাসের কি প্রমাণ আছে?

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩১



এক অবিশ্বাসী বলল, বিশ্বাসের প্রমাণ নাই, বিজ্ঞানের প্রমাণ আছে।কিন্তু অবিশ্বাসের প্রমাণ আছে কি? যদি অবিশ্বাসের প্রমাণ না থাকে তাহলে বিজ্ঞানের প্রমাণ থেকে অবিশ্বাসীর লাভ কি? এক স্যার... ...বাকিটুকু পড়ুন

×