পশ্চিমা মিডিয়াগুলো আসলেই কিউট। ইসরায়েল বিমান হামলা চালিয়ে ৫ বছরের শিশু কন্যা এবং ৩ জন নারী সহ ১০ জনকে খুন করলো। সেখানে বিবিসি এবং নিউইয়র্ক টাইমসের শিরোনাম, ইসরায়েলি বিমান হামলায় প্যলেস্টাইনি জঙ্গি নিহত ! রয়টার্স আবার এই শিরোনামকে সমর্থন করে বলছে, ইসলামিক জিহাদ স্বীকার করছে যে তাদের সিনিয়র নেতা মারা গেছে। আহা পশ্চিমা মিডিয়া!
স্বাধীনতাকামী এসব যোদ্ধাদের জঙ্গি বলার প্রেক্ষাপট তো আরো নাইস। যিশুখ্রিষ্টকে ক্রুশবিদ্ধ করার দায়ে যুগ ধরে ইউরোপীয়ানরা ইহুদিদের উপর নির্যাতন করে ইউরোপ হতে বিতাড়িত করেছে, এবং ফিলিস্তিনি মুসলমানরা মানবিকতা দেখিয়ে তাদের আশ্রয় দিয়েছে। নেমকহারাম ইহুদিরা সেই ফিলিস্তিনকেই দখল করে নিয়েছে! আজ যখন ফিলিস্তিনিরা তাদের দখল হয়ে যাওয়া ভূমি উদ্ধারের সংগ্রাম করছে, তখন তাদের বলা হচ্ছে জঙ্গি!!
যাইহোক, এ হামলার ব্যপারে ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য দেখলাম বেশ উন্নত মানের আজগুবি। লিঙ্ক। ইয়ার ল্যাপিডের আজগুবি বক্তব্য হতে দুটো পয়েন্ট একটু বলি।
১. তবে কি ইসলামিক জিহাদ হামলা করবে এবং নিরিহ ইসরাইলিদের হত্যা করবে, এ আশংকা থেকে ইসরাইল আগেভাগেই বিমান হামলা চালিয়ে ১০ জন নিরিহ ফিলিস্তিনি হত্যা করতে পারে? অথচ এ পর্যন্ত দেখে আসছি ইসরাইলই আগে ফিলিস্তিনিদের উপর নির্যাতন চালায়, তারপর শুরু হয় উত্তেজনা এবং হামলা পাল্টা হামলা
২. ইসলামি জিহাদ ইরানের প্রক্সি।
ইরানের সহায়তা গ্রহণের কারণে যদি ইসরায়েলের এ হামলা জায়েজ হয়। তাহলে আমেরিকান সহায়তা গ্রহণের জন্য চীন যদি তাইওয়ানের মূল ভূখণ্ডে হামলা করেই বসে সেটাও জায়েজ হওয়া উচিত, তাই না?
সর্বশেষ এডিট : ০৮ ই আগস্ট, ২০২২ সকাল ১১:১৪