নাট্য অভিনেতা চঞ্চর চৌধুরী এক স্বাক্ষাৎকারে বলেছেন, একাত্তরে যারা পাকিস্তানের পক্ষে ছিল তারা এবং তাদের বংশধররাই এখন ভারতের পরাজয়ে খুশি হয়। তারাই ভারত বিরোধী। এবং যারা মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে ছিল তারা ভারতের পক্ষে। আমি বহু মুক্তিযুদ্ধাকে দেখেছি বাংলাদেশের প্রতি ভারতের কর্মকাণ্ডের কারণে ভারত বিরোধিতা করতে। তাদের কথা এখানে বলবো না, বরং যার কথা সবাই জানে সেই মেজর জলিলের কথা চঞ্চল চৌধুরীকে বলতে চাই। মিঃ চঞ্চল চৌধুরী, সেক্টর কমান্ডার মেজর জলিল কি তাহলে মুক্তিযুদ্ধের বিরুদ্ধে ছিল?
একজন অভিনেতা হিসেবে আপনি খুবই ভালো হলেও এই বক্তব্য শোনার পর আপনার দেশপ্রেম নিয়ে সন্দেহের উদয় হয়। ভারত যে বাংলাদেশে আধিপত্য বিস্তার করতে চায় সেটা তো আপনারা স্বীকার করতে চান না, তাই এটা না হয় বাদই দিলাম। কিন্তু ফেলানি হত্যা, সীমান্ত হত্যা, ফারাক্কা, তিস্তার পানি বন্টন এসব বিষয় কি আপনার মাথায় একবারও আসে না?? এসব কি আপনি অস্বীকার করতে পারবেন??
বাংলার মানুষ যে ভারত বিরোধিতা করে তার পেছনে এসব কারণই দায়ী। এই বিষয়গুলোকে পাশ কাটিয়ে ভারত বিরোধিতাকে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষ-বিপক্ষ গুলিয়ে ফেলার মাধ্যমে আপনারা মূলত বাংলাদেশের মানুষের উপর ভারত যে অবিচার করে চলছে সেটাকে গোপন করার চেষ্টাই করছে বৈকি। আপনারা বাংলাদেশের সার্বভৌমত্বের বিরোধী।
আমিও চাই বাংলাদেশের সাথে ভারতের ভালো সম্পর্ক, যার মাধ্যমে দ্বিপাক্ষিক স্বার্থ রক্ষা হবে। কিন্তু সেটা কি হচ্ছে? নাকি আধিপত্য বিস্তারের মাধ্যমে কেবল ব্যক্তিগত স্বার্থই আদায় করে নিচ্ছে? যার প্রেক্ষাপট তৈরিতে মেরুদণ্ডহীন সাংস্কৃতিক কর্মীরাও বেশ ভালো অবদান রেখেছে, এবং রেখে যাচ্ছে।
সর্বশেষ এডিট : ২৩ শে নভেম্বর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:৪৫