আল্লাহরাব্বুল আলামিন- যিনি বিশ্ব জগতের প্রতিপালক ।তারই প্রতিনিধি হলাম আমরা মানুষ । সৃষ্টিজগতের সর্বশ্রেষ্ট জীব হিসেবেই আমাদের তৈরি করেছেন । দিয়েছেন কিছু নিয়ম-কানুন । তার আদেশ মানতে বাধ্য করেছেন, আমরা হলাম তারই দাস । পৃথিবীতে যা কিচ্ছু হচ্ছে, সেইসব বিষয়ে আল্লাহতায়ালা নিশ্চয়ই অবগত । তিনি প্রথম মানব হিসেবে আদম আলাইহিস সালামকে সৃষ্টি করেছেন, তার সহধর্মীনী বিবি হাওয়াকে সৃষ্টি করেছেন। নর-নারী, আল্লাহতায়ালা দুই জাতিকে কে সৃষ্টি করেছেন । আর আজ আমরা হলাম তারই বংশধর। হিন্দু-মুসলিম-বৌদ্ধ-ক্রিস্টান-সেকুলার-এথিস্ট সবারই আদি পিতা আদম (আঃ) । সবারই স্রষ্টা আল্লাহ । আল্লাহতায়ালার একমাত্র মনোনীত ধর্ম হল ইসলাম । আর এই ধর্মেই রয়েছে শান্তি । মানুষ যখন যুগে যুগে ভ্রান্ত হয়ে যেত, ঠিক তখনই আল্লাহতায়ালা সেই গোত্রে নবী-রাসূল পাঠাতেন । বিভিন্ন গোত্রে বিভিন্ন নবী আল্লাহতায়ালা দিয়েছেন মানুষের হেদায়েতের জন্য । প্রত্যেক নবী-রাসুল ছিলেন, নির্দিষ্ট গোত্রের জন্য । আল্লাহতায়ালা যুগে যুগে অসংখ্য নবী রাসূল পাঠাতেন । ধারণা করা হয় আল্লাহতায়ালা ২ লক্ষ ২৪ হাজার নবী পৃথিবীতে প্রেরণ করেছেন । অন্য সকল নবী নির্দিষ্ট গোত্রের জন্য হলেও মহানবী (সাঃ) ছিলেন বিশ্ব জাহানের নবী । আর তিনিই সর্বশেষ নবী, তারপরে আর কোন নবী আসবেন না । নবীদের কাজ ছিলো, দাওয়াতের কাজ, আর সেই কাজ এখন মহানবী (সাঃ) এর উম্মতরা এখনো করে যাচ্ছেন । মহানবী (সাঃ) এর মৃত্যুর পর সাহাবীদের মাধ্যেমে আল্লাহতায়ালা দ্বীন পরিচালনা করেছেন । সাহাবীগণের পর তাবেঈরা, তাবেঈগণের পর তবে তাবেয়ীনরা । বর্তমানে আল্লাহতায়ালা দ্বীন পরিচালনা করতেছেন, মাদ্রাসা শিক্ষার মাধ্যমে এবং তার পছন্দের বান্দাসমূহগণকে দিয়ে । রাসূলের ওফাতই হচ্ছে কিয়ামতের প্রথম আলামত । রাসূলের মৃত্যুর পর আল্লাহতায়ালা প্রতি একশ বছরে এমন একজনকে পাঠান, যিনি আবার পৃথিবীতে ইনসাফ প্রতিষ্টিত করেন, আল্লাহতায়ালার হুকুমে । এবং ওই একজনের দলে থাকে, অসংখ্য ধার্মিক মুসলমান । মুসলমানরা তাদের খেলাফত হারায়, প্রতি ১০০ বছরের ভিতর সেটা আবার ফিরে পায়, রাসূল (সাঃ) এর মৃত্যুর পর থেকে । ১৯২৪ সালে মুসলমানরা তাদের খেলাফত হারায়, তারপর ১৯৭৯ সালে কাহতানি নামক এক যুবক মুসলমানদের খেলাফত তার হাতে সেটা সে দাবী করে, এবং নিজেকে সে ইমাম মাহদি দাবী করে, তার দলে ছিলো প্রায় ২০০-৩০০ মুসলমান । কিন্তু তাকে হত্যা করা হয় । আরবি হিসেবে সে দিনটি ছিলো ১৪০০ হিজরির প্রথম দিন । ১৯২৪ সালে তুরস্কে আলেম হত্যার পর, মুসলমানরা আর তাদের খেলাফত ফিরে পায়নি । সূর্যের ৯৭ বছরে বছরে চন্দ্রের হয় ১০০ বছর । হিজরি সালগুলো চন্দ্রের উপর নির্ভর করে । ১৯২৪+৯৭=২০২১ । স্রষ্টার উপর বিশ্বাস রাখেন, খুব শীঘ্রই আল্লাহতায়ালা মুসলমানদের জন্য একজন প্রতিনিধি পাঠাচ্ছেন । সিরিয়া, ইয়েমেন, আফগানিস্তান, মায়ানমার, ভারত সব দেশের মুসলমানরা একটু ধৈর্য্য ধরেন, আপনার স্রষ্টা আপনাদের বিষয়ে অবগত আছেন । ২০১৯-২০২১ সালের ভিতর আল্লাহতায়ালা একজন প্রতিনিধি পাঠাবেন । খুব বেশী দেরী হলে ২০২৪ সালের মধ্য ইনশাআল্লাহ একজনকে পাঠাবেন ।
সর্বশেষ এডিট : ২৫ শে এপ্রিল, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:২৪