আলেমরা বলে, রাসূল (সাঃ) এর রক্ত তায়েফের মাটিতে যদি পড়তো, তাহলে আল্লাহতায়ালা তায়েফবাসীদের ধ্বংশ করে দিতো । রাসূল (সাঃ) দেহ মোবারক থেকে রক্ত জড়ার পর, আল্লাহর হুকুমে পাহাড়ের ফেরেশতারা এসেছিলেন, এবং বলেছিলেন আপনি শুধু বলেন, তাহলেই ধবংশ করে দিবো তায়েফবাসীদের ।
আল্লাহর রাসূল (সাঃ) বলেন নি, বরং তাদের হেদায়াতের জন্য আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করেছিলেন । সেই নবীর চাইতে আল্লাহর কাছে প্রিয় হলো, তার দ্বীন ইসলাম । কারণ ইসলামের জন্য শত শত নবী অনেক কষ্ট মুজাহেদা করেছেন ।
এই দ্বীন প্রতিষ্টার জন্য আল্লাহর রাসূল দেহ মোবারক থেকে রক্ত জড়িয়েছেন । এখনো এই দ্বীন ইসলামকে প্রতিনিধিত্ব করতেছে মুসলমানরা, সমস্ত পৃথিবীতে আজ যাদের মূল্য নেই, সমস্ত পৃথিবীতে যে জাতিটা অত্যাচারিত, সেই জাতি ।
নবী-সাহাবীগণ অত্যাচারিত হয়ে দ্বীন প্রতিষ্ঠা করেছেন, তাহলে আল্লাহ সমগ্র পৃথিবীতে যে মুসলমানরা অত্যাচারিত হচ্ছে তাদের রক্তের বিনিময়ে হলেও তুমি পৃথিবীতে আবার দ্বীন প্রতিষ্টিত করে দাও ।
রমযান মাস উপলক্ষে আমার কোন কিছু বলার নেই, শুধু আপনাদের অনুরোধ করতেছি, পুরো মাস জুড়ে চোখ থেকে অশ্রু জড়িয়ে আল্লাহর কাছে দোয়া করেন আল্লাহ তুমি তুমার দ্বীনকে আবার প্রতিষ্ঠিত করো । সিরিয়া, ইয়েমেন, আফগানিস্তান, ইরাক, লেবানন, ফিলিস্তিন, মায়ানমার ও মিশরবাসীদের জন্য দোয়া করি যাতে আল্লাহ রাব্বুল আলামিন তাদেরকে তার পরীক্ষা থেকে মুক্তি দেন, এবং তার কাছ থেকে ওদের জন্য সাহায্য প্রার্থনা করি ।
একটা কথা মনে রাখবেন, আপনি ও কিন্তু সেইসব দেশে জন্ম নিতে পারতেন, আফিফার মতো আপনার উপর ও নির্যাতন হতে পারতো ।এখনো আল্লাহ আপনাকে তার দয়ায় বাঁচিয়ে রাখছেন, বেশিকিছু না, শুধু দু-হাত তুলে মোনাজাত করেন । মনে রাখবেন কবর আপনাকে প্রতিদিন ডাকতেছে, এই লিখাটা পড়া শেষ হতে না হতেই আপনার মৃত্যু হতে পারে , কারণ প্রতিদিন ছয় লক্ষ মানুষ মৃতুবরণ করতেছে, ১ লক্ষ ৫০ হাজার মুসলমান প্রতিদিন বিদায় নিতেছে, তাহলে আপনি মরবেন না, তার কি গ্যারান্টি ।
আল্লাহ আপনাকে সবকিছু করার ক্ষমতা দিয়েছেন কিন্তু বলেছেন তার হুকুম পালনের জন্যে, আপনি যাই করেন না কেন, আপনার কর্মের ফলাফল লিপিবদ্ধ হচ্ছে, , আর আল্লাহ সবকিছু দেখতেছেন এবং আপনাকে একদিন এইসব কিছুর জন্য অবশ্যই জবাবদিহি করতে হবে। আজ যদি কিছু না করতে পারেন দ্বীনের জন্য, তাহলে বিচারের দিন কি প্রশ্নের উত্তর দিবেন? আর আল্লাহ আপনাকে জিজ্ঞেস করবেন, তুমাকে কি এই দিন সম্পর্কে কেউ অবহিত করে নাই, আপনি উত্তর দিবেন, করা হয়েছিলো, তবে কথাটাকে গুরুত্ব দেয়া হয় নাই।
আপনাদের কাছে অনুরোধ রইলো লেখাটি শেয়ার করার জন্য, হয়তো এই লিখাটি শেয়ারের জন্য আপনি দায়মুক্ত হয়ে যেতে পারেন, ফেসবুকে শেয়ার দিয়ে বন্ধুদের মেনশন করবো, এবং তাদেরকে ও বলবো লিখাটি শেয়ার করার জন্য, লিখাটি পড়ে আমরা যদি সেই অনুযায়ী আমল করি, তাহলে আল্লাহ অবশ্যই সাহায্য পাঠাবেন । আল্লাহর ভয়ে এক ফোটা অশ্রুর দাম ও অনেক বেশি । আপনারা চাইলে আমার সাথে ফেসবুকে কানেক্ট হতে পারেন, আমি কমেন্ট বক্সে লিঙ্ক দিয়ে দিবো ।
সর্বশেষ এডিট : ১৭ ই মে, ২০১৮ বিকাল ৪:৪৭