দিন - মূহূর্ত এবং অভিজ্ঞতা নিয়েই আমাদের জীবন। কিছু করে আমরা সময় অতিবাহিত করি, আবার কিছু না করেই আমরা সময় অতিবাহিত করি। যে সময়টাতে আমরা কিছু করি না, সেটাকে অবসর সময় ও বলি। ওই সময়টাতে আমরা শখের বিষয়গুলো নিয়ে থাকি।
আমাদের না চাওয়াতেই কিছু সমস্যা আমাদের জীবনে চলে আসে। যে যত বেশী সমস্যার সম্মুখীন হয়ে বাধা অতিক্রম করেছে আমাদের বিচারে সেই ব্যাক্তিটাই অভিজ্ঞ। জীবন কিছু সময়ের সমষ্টি ব্যাতিত অন্য কিছু নয়। ফিলোসোফি অব লাইফ নিয়ে কেউ আমাকে কিছু জিজ্ঞেস করলে আমি বলি, এটা দৃষ্টিভঙ্গির উপর, যে যেভাবে দেখে জীবন তার কাছে ঠিক তেমনটাই। জীবনের প্রতি প্রত্যেকের দৃষ্টিকোণ স্বতন্ত্র।
খুব বড় মাপের মনোবিদরা ও নিজের চোখ দিয়ে অন্যের জীবনের প্রতি দৃষ্টি কেমন সেটা পুরোপুরি অনুধাবন করতে পারবে না। একজন ব্যাক্তি তার পেছনের সব অভিজ্ঞতার সারমর্ম বলতে পারে, তবে সেটার ভিজ্যুয়াল ফর্ম দেখাতে পারবে না।
কিছুদিন যাবৎ একটা কথা আমার মাথায় ঘুরতেছে, যিনি বলেছেন তিনি নিজে ও বুঝেন নি কত গুরুত্বপূর্ণ কথা তিনি বলে ফেলেছেন। আমার ফিলোসপিটাই পরিবর্তন করে দিয়েছেন। "সমস্যায় পড়া ভালো, তা থেকে উত্তরণের পথ তোমাদেরকে দেখানো যায় সরাসরি"। এটা ছিলো তার কথা।
আমি এটাকে লাইফ ফিলোসপিতে যেভাবে নিয়েছি - জীবনে অনেক সমস্যার সম্মুখীন তুমি হবে, তোমার অনিচ্ছা থাকা সত্ত্বেও, তবে এটা যে শুধুই ক্ষতি, তা কিন্তু না, এটা তোমাকে ভবিষ্যত সমস্যার মোকাবেলা করতে শক্তি যোগায়, এটা তোমাকে আরো বেশী অভিজ্ঞ করে তুলে, এটা তোমাকে আরো বেশী শাণিত করে। এটা যখন অন্যদের সামনে সঠিকভাবে তুলে ধরতে পারো, তা থেকে তুমি কিভাবে উত্তরণ করেছো এটা বলো, তখন তাদের সামনে তোমার গ্রহণযোগ্যতার মাত্রা অনেকখানি বেড়ে যায়। তবে দুঃখজনক হলে ও সত্যি, বেশীরভাগ মানুষের জীবন - দর্শন নিতান্তই সাধারণ, যা শোনার জন্যে আগ্রহী কাউকে পাওয়া যায় না৷ কারো জীবন-দর্শন সুন্দর হতে পারে, তবে উপস্থাপনের ব্যর্থতায় সে শ্রোতা পাবে না। আমি এক মানুষ, বেশীরভাগ মানুষের দর্শনের সাথে আমারটা মিলবে না। আমি পৃথিবীটাকে স্রেফ কৌতুক হিসেবেই দেখি।
সর্বশেষ এডিট : ২১ শে আগস্ট, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:১৫