কেনো আমাদের দেশে জনপ্রিয় লেখক হওয়া আর কেয়ামতের দিন পুলসীরত পার হওয়া সমান কথা?
প্রথমত আমরা দেশ জাতি করে করে মুখে রক্ত তুলে ফেলি আর মুগ্ধ হই ট্রাম্পের দেশ দেখে, ট্রাম্পের দেশের মানুষ, মানুষের বাসা বাড়ি
খাবার, এমন কি ওয়াশ রুমেও মুগ্ধতার শেষ নাই। আর সেই দেশের মানুষ, সেই দেশের কুকুর, বিড়াল, কাক, সেই দেশের মাইনাস
ডিগ্রী তাপমাত্রা , ডিপ ফ্রিজ এর ভেতর জমে থাকা বরফের মতন দিগন্ত জোড়া বরফের চেয়ে সুন্দর এই তামাম দুনিয়ায় তাদের চোখে আর কিছুতে নেই।
এর সাথে জনপ্রিয় লেখক হবার সম্পর্ক কি? সম্পর্ক আছে, মনে করেন সব সম্পর্ক ওইখানেই , বিদেশের কুকুর আর ওয়াশরুম এর মুগ্ধতায় বধির আমজনতার কাছে সেই দেশের মানুষ একমাত্র প্রতিভাধর, বাংলাদেশের মানুষের মাথায় তো মাটি, সেই মাথা মোটা মাটিরা কি করে লেখক হয়! এই চিন্তা চেতনা আমাদের রক্তে ছড়িয়ে গেছে, আমরা শুধু একে অপরকে ভালো লিখেছেন বলে তার গোষ্ঠী উদ্ধার করে ফেলেছি মনে করি, এবং ভেতরে ভেতরে এই মত পোষণ করি যে ওই ডা কোনো লেখকের মধ্যেই পড়ে নাহ।
সন্মান ভক্তি করলেই শুধু মাত্র তা ফিরে আসে, ভক্তি নাই লেখার প্রতি আগ্রহ নাই ভালো লাগা নাই। শুধু নিজের লেখার প্রতি একপাক্ষিক মুগ্ধতা ওইখানেই রাখে যেখানে আমরা অন্যদের রাখি। ভাইয়া ভাইয়া করে মুখে রক্ত তুলে সংকীর্ণ পরিসরে জনপ্রিয় হয়ে গেছি এই জাতীয় পাগলের সুখ মনে মনে দিনে বসে তারা গোণে এক জাতীয় গণক হওয়া সম্ভব মাত্র।
কোন লেখক এক বছরে এগারোটা বই লিখছে , কেমন করে লিখছে, আসলে সে লিখে নাই, আসলে সে কপি করেছে, এই জাতীয় চিন্তা না করে, যদি কিউরিসিটি অতিরিক্ত হয়, তাহলে আমি বলবো ইউ সুড ট্রাই টু কালেক্ট হিজ বুক এন্ড রিড। এরপর ডিসাইড করেন কেমনে সে এক বছরে এগারোটা বই লিখছে, কি লিখছে, লেখাগুলো মৌলিক কিনা, মানসম্পন্ন কিনা, যদি কপি না করে থাকে কিন্তু মানসম্পন্ন না ও হয় তবে উৎসাহ দেয়া আপনার আমার কর্তব্য।
শেষ কথা উনি লন্ডন আমেরিকার সাদা চামড়ার কেউ হইলে নিশ্চিত তার এই কর্মকাণ্ডে জয়জয়কার করতেন বিনা দ্বিধায়, কারণ তারা রিচ, কারণ তাদের ক্ষমতা অনেক, কারণ তাদের চামড়া সাদা, কারণ তারা ইংলিশে কথা কয়
শেষ লাইন লিখে প্রচুর হাসলাম।
সর্বশেষ এডিট : ০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৩:৪২