”তেতুল” উপখ্যান নিয়া অনেকর মধ্যেই প্রেসার বেড়ে গেছে..... এ নিয়া অনেক কিছুই লিখতে ইচ্ছা করে কিন্তু এই সময়টাতে অন্তত এই মাসে লিখার ইচ্ছা একেবারেই ছিল না। তারপরও কিছুটা না লিখে পারলাম না....
.
(আগেই বলে রাখি, আমি লিখলে মুরুব্বী কে কোথায় সেটা মাথায় রাখি না, আর আমার লিখা সহ্য করতে না পারলে অনেকের চুল* পড়ে যায়.... অনেক আগেই এসব কথা জানায়া দিছি। অতএব কেউ আঘাত পাইলে sOrRy.... )
আমি যা দেখতেছি, আল্লামা আহমদ শফী’র উচিত হয়নি নারীদের ”তেতুল “ উপখ্যান দেয়া , বরং কাদের/কি টাইপের নারীদের দেখে পুরুষরা কামকাতর এবং লালাসিক্ত হয় তা ফরমালিটি না দেখায়া নির্লজ্জের/বেগায়ার মতো একেবারে খুলে বলা উচিত ছিল। এই যেমন ধরেন নারীদের হরিণীর মতো টানা টানা চোখ, ষ্ট্রবেড়ীর মতো টুকটুকে লাল সেক্সি ঠোট, বিদ্যা বালানের মতো করে মোচড় দিয়ে দাড়িয়ে বাকা ঠোটে কামড় দিয়ে থাকা পোজ, হেবি টাইট** জামা পড়ে রাস্তায় বেড়োনো নারী দেহ, নারীদের এমন জামা যা কিনা তাদের শরীরের ভাজ দেখানো/ চর্বির প্রেসারে ফেটে যাওয়ার মতো অবস্থা, পাতলা সেমি ট্রান্সপারেন্ট জামা যার ভেতর আরও কয় স্তর অন্তর্বাস আছে তা দেখা যায়, নারীর সু-উচ্চ সুঢৌল আকর্ষণীয় উন্মুক্ত বক্ষ, টাইট স্যালোয়ার পরিহীত নারী যাদের হিপ দেখিয়ে পুরুষদের উত্তেজিত করে.... রাস্তায়/ফুড কোর্টে ঘুড়ে বেড়ানো সিডাক্টিভ নারী যাদের দেখলে স্বাভাবিকভাবেই পুরুষজাত সাময়িকভাবেই কামোদ্দীপ্ত হয়......
এভাবেই তো মসলা মিশায়া বলা দরকার ছিল তাই না??!!!!!! কি বলেন?? তাহলেই সবাই বুঝতো যে আসলে কাদের/কোন নারীদের বুঝানো হইছে। তাহলেই হয়তো আমাদের মাঝে তেতুলের বিষাক্ততা বাড়তো না।
আল্লামা আহমদ শফী “তেতুল” উপাখ্যান দিলো.... এতে অনেকেই তার মা-বো নিয়া প্রশ্ন তুলতাছে সে কিভাবে এসব কথা বলে!!!! তার মা বোন নাই???!!!!! হ্যান-ত্যান......ব্লা...ব্লা......
হ্যা অবশ্যই আছে, থাকবে না কেন? তবে উনার সমস্যা হলো তিনি সকল নারীজাতকেই নারী ভাবেন। তাই কাউকে আলাদা ভাবে ইঙ্গিত করেনাই। কিন্তু আমি আপনি আলাদা ভাবে ভাবতে পারি। যেমন ধরেন যখন বাংলা সিনেমার ময়ুরী-মুনমুন-পলি দের ন্যাংটা হয়া নাচতে দেখি, ভিজা কাপড়ে নিাচতে দেখি তখন বিশেষ বিশেষ দৃশ্য বার বার রিপ্লে করে দেখি, বিদ্যা বালানের ছোট-কাটা ব্লাউজে চাপিয়ে রাখা পেশীবহুল শরীরের ভাজ, কারিনা কাপুরের ফেবিকুলের ঘষামাজা, শিলার উত্তপ্ত জাওয়ানি একবার/দুইবার না বার বার রিপ্লে করে দেখি.... পর্ণ তো দেখেনাই এমন কাউকে খুজে পাওয়া যাবে না.. রাইট?? তো যখন এসব নোংড়া দৃশ্য দেখি তখন আমাদের মাথায় থাকে না যে আমাদের ঘরেও মা-বোন-মেয়ে আছে এসব দেখা ঠিক না। কি ঠিক????
নাকি মা-বোন-মেয়ে ই কেবল নারী আর বাদ বাকী সবাই চেটে-পুটে খাওয়ার ভোগ্য পণ্য?????? আর তাই তাদের ভোগ্য পণ্যের মতো উপভোগ করবো?? আর আমরা তাদের ভোগ্য পণ্য ভাবতে পারি কিন্ত আল্লামা আহমদ শফী সেটা ভাবেন না এজন্যই তিনি সবাইকেই ইঙ্গিত করে বলছে কাউকে আলাদা করে বলেনাই। আমরা পার্থক্য করি আর এজন্যই মা-বোন দের নিয়া এখন টানা হেচড়া করতে শুরু করছি।
আবার কেউ কেউ বলে নারীরা প্রতিবাদ করে কিন্তু পুরুষরা চুপ ক্যান???
নারীরাই(গুটি কয়েক হাতে গুণা নারী) বলবে বেশী কারণ গাছের পাকা তেতুল এমনিতেই ঠস ঠসে, তার মধ্যে টোকা লাগে তাইলে আরও বেশী ঠস ঠস বাজবে। আর ঐ কয়েকটা ঠস ঠসে তেতুলই শব্দ করবে কারণ ”পাগল কে পাগল বললে পাগলের ক্ষেপে যাওয়াটাই স্বাভাবিক।” আর যেসব নারী বুঝে যে ”তেতুল” উপাখ্যান কেন দেয়া হইছে তারা কাউকে বিভ্রান্ত করে না।
হিন্দি বুঝি কম তাই বাংলায়ই বলি,
“যে বুঝে তাকে ইশারাই যথেষ্ট.......”
এরপর বুদ্ধিমানেরাই তা বুঝবে আর বুদ্ধিহীনরা তা দিয়া মানুষকে বিভ্রান্ত করবে…
বিভিন্ন জন সোর্স থেকে সংগৃহীত নারীবাদীদের করা নারী সম্পর্কে সংগৃহীত কিছু বিখ্যাত ও মহান উক্তিঃ
1."একজন মেয়ে যাকে মন দিতে পারে, তাকে শরীরটা দেওয়া কিছুই নয় । এই শরীরে আছেটা কি?অথচ আশ্চর্য !নিরানব্বই ভাগ পুরুষের কাছে এবং সমাজ যারা গড়েছেন তাদের কাছে এই শরীরটাই দামি । মনের দাম নেই কানাকড়িও !"-
বুদ্ধদেব গুহ
2."মেয়ের সম্মান মেয়েদের কাছেই সবচেয়ে কম !"-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
3."নারী কভু নাহি চায় একা হতে কারো ,এরা দেবী এরা লো পূজা পায় ,এরা চায় তত আরো ইহাদের অতিলোভী মন, একজনে তৃপ্তনয়, একপেয়ে সুখী নয় ,যাচে বহুজন।"- কাজী নজরুল ইসলাম
4."কাঁঠালের রস যেমন মিষ্টি নারীও তেমনি মিষ্টি ।কিন্তু তাকে খেতে গেলে হাতে যে আঠা লা থাকতে হয় "-পৃথিবীর অন্যতম বিখ্যাত মোটিবেশনের লেখক ডেল কার্নেগি
5."কম বয়সী মেয়ে হল রসগোল্লার মত যেখানে রাখবে সেখানেই পিঁপড়ে ধরবে !"-শংকর
6."পৃথিবীতে বা সমুদ্রে যত হিংস্র প্রাণী আছে সবচেয়ে বৃহত্তম প্রাণী হল মেয়েরা !"-মেনানডার
7."পুরুষেরা মেয়েদের খেলার সামগ্রী আর মেয়েরা শয়তানেরখেলার সামগ্রী !মেয়েরা সন্তান উৎপাদনের যন্ত্র বৈ কিছু নয় !"-
নেপোলিয়ান
8."বিড়াল,পাখির া এবং মেয়েরা এই ধরণের প্রাণী যারা নিজেদের প্রসাধনের উপর সর্বাধিক সময় নষ্ট করে !"- চার্লস নড়ায়ার
9."প্রত্যেক মেয়েই নিজের জন্য একটা পরুষাঙ্গ চায় ।এই অঙ্গের জন্যই তারা পুরুষদের হিংসা করে !"-সিগময়েড ফ্রয়েড
10."মেয়েটাকে বিয়ে করে ফেললে তো পার-ফ্রিতেই যদি গাভীর দুধ মেলে তাহলে কোন মূর্খ টাকা খরচা করে ঘরে গাই পোষে?"-মনের মত মন,সমরেশ মজুমদার
11."পুরুষদের যদি সততা দরকার না হয় তবে নারীদের সতীত্বের কেন দরকার? নারীরাও পুরুষদের (উনি) মত যেভাবে খুশি তার যৌণাঙ্গ বিলাতে পারবে"-ড. আহমদ শরীফ
12."পূরুষরা যেমন খালি গায়ে ঘুরে বেড়ায় নারীরাও তেমনি খালি গায়ে ঘুরে বেড়াবে. তাদের সূউচ্চ স্তন সবাই দেখবে"- তসলিমা নাসরিন
13."হয়তো স্নানের ঘরে নিজেকে দেখেছো অনাবৃতা. জানালার ফাকে বৃষ্টিভেজা নর্তকীর মতো. গাছটিকে (যৌণাঙ্গ) তীব্র দেখছিলাম তখন! সরার মত স্তন, নাভিমূল, উরু, এবং ত্রিকোন মাংসপিন্ড, কি মন্জুল!!" -কবি শামসূর রহমান
14."এক একটি উর্বশীকে আমি মেপে মেপে দুধ দেখি ,মোটা ঠোঁট আমার পছন্দ ,জিভ দেখি ,মোটা ধারালো চ্যাপ্টা খসখ
আমার পছন্দ ,স্তন দেখি ,মাঝামাঝি স্তন আমার পছন্দ ,আমি পানি ভরা ব্লাডের মতো স্তন সহ্য করতে পারি না , উরু দেখি ,সরু মাংসল উরু আমার পছন্দ ।"-ড. হুমায়ূন আজাদ
16."ওর ঠোঁট আর বুক দুটি আমার খুব ভালোভাবেই চেনা ,ওগুলো আমি খেয়েছি ,সেদ্ধ ডিমের ভর্তা বানিয়েছি ,ভর্তা আমি ভালো বানাতে পারি ,দাঁত দিয়ে কেটেছি ,আমার দাঁতগুলো স্নায়ুহীন নয় ,ওগুলোরও বোধ আছে ।স্তনে দাঁতের লালদাগ
আমার চুনির থেকেও ভালো লাগে..."-ড. হুমায়ূন আজাদ
17."কনকলতা চোখ বন্ধ করে শুইয়ে থাকে ,আমি সোনার হারটি কনকলতার সোনার খনিতে ধীরে ধীরে বিলুপ্ত করি ,কনকলতার মুখ কেঁপে কেঁপে ওঠে..."- ড. হুমায়ূন আজাদ এর 'পাকসার জমিন সাদবাদ' বইটি থেকে উপরের উক্তিগুলো নেয়া ।এছাড়াও তার বহু লেখা আছে যেখানে তিনি নারীদের কঠিন ভাষায় অপমান করেছেন ।
18."গর্ভবতী নারীকে দেখতে গর্ভ মতো দেখায়"-ড. হুমায়ন আজাদ
19."চোখের সামনে আমার মেয়ে বড় হচ্ছে ।কিন্তু সামাজিক নিয়মের বেড়াজালে আমার হাত- পা বাঁধা ।"-হুমায়ূন আজাদ
20."বিশ্ববিদ্যালয়ের মেয়েদের চুইংগামের মতো চাবাতে ইচ্ছে করে"-হুমায়ন আজাদ
21."ষাটের দশকে বিশ্ববিদ্যালয়ে দু একটার বেশী মেয়ে পড়তে আসত না । এসেই বোরখা ছুঁড়ে ফেলে দিয়ে মেতে উঠত স্বাধীনতায় । আর এখন আমার ক্লাসেই সরাসরি বোরখা । বোরখার অন্ধকারে বেঞ্চের পর বেঞ্চ অন্ধকার । তাদের মুখ আমি দেখতে পাই না । সামান্য ফাঁক দিয়ে ভীতিকর চোখে দেখি আর ভয় পাই ।" (দৈনিক যুগান্তর ,হুমায়ন আজাদ, পহেলা বৈশাখ , ১৪০৮ বাংলা )
22."যখন দু’স্তন মেলে ডেকে নিলে বুকের ওপরে, স্বর্গের জঘন খুলে দেখালে যে দীপ্তির প্রকাশ,তখন কী হলো আমি কোন্ ভাষে বলবো কী করে?মুহূর্তেই ঘুচে গেলো তৃষিতের অপেক্ষার ত্রাস।"(সৈয়দ শামসুল হকের ‘ভালোবাসার রাতে’ গ্রন্হ)
23."বৃষ্টিও বৃষ্টি তো নয়,জরায়ুর রক্তিম ক্রন্দন।আজ তিনদিন থেকে অবিরাম,ক্ষান্তি নেই তার। নিষেধ পতাকা লাল, পতাকায় শরীরী স্পন্দন তবুও তবুও জাগে, জাগে ইচ্ছা সেখানে যাবার।শত বাধা সত্ত্বেও থামতে পারে না কামুক পুরুষ। দুজনের দেহ ছিঁড়ে বের হয় দুধ- পূর্ণিমা। আর তা নেমে আসে স্তনের চূড়ায়। বাড়তে থাকে কামনার জ্বর। আর জ্বরতপ্ত হাত কুড়ায় কামনার ফুল। এ টান শুধু এক পক্ষের নয়। সমানতালে দুজনের। অবশেষ ভেঙে যায় বাঁধ-তবে ভিজে যাক সব, বৃষ্টি থাক, এসো ভিজে যাই-জ্বরের আগুনে দেহ লাল বৃষ্টিধারায় ভেজাই ।"- (বাচাল সৈয়দ শামসুল হকের ভালবাসা রাতে গ্রন্হের ২টি কবিতার কয়েকটি লাইন ‘ভালোবাসার রাতে-২৯’)
এই হলো নারীবাদীদের স্বপ্নের পূরুষদের নারী সম্পর্কে কিছু উক্তি!এমন হাজারো উক্তি আছে যা নারীকে বিব্রত করে অথচ তা নিয়ে নারীদেহবাদী পুরুষদের ও দেহব্যবসা করা নারীদের কোন মাতামাতি বা প্রতিবাদ নেই...। কিন্তু বাস্তবের নিরিখে কর্ষণের সাথে তুলনা করে পুরুষদেরকে সাবধান করতে তেঁতুল উপমা দেওয়াতে তাদের যত মাতামাতি...
---
তো এবার বলেন এই মানুষগুলা, হুমায়ুন আয়াদরা যখন নারীদের এভাবে অপমান করে তখন আপানদের নারীপ্রেম কোথায় থাকে? তখন মনে হয়নাই আমারও মা-বোন আছে এসব কথার প্রতিবাদ করা দরকার?? নাকি তখন নারী নিয়ে লালা ঝড়ানো নিয়া ব্যাস্ত ছিলেন তাই মা-বোন ব্যাপারটা মাথায় আসেনি!!!
বিলবোর্ডে নারীকে নগ্ন করে গাড়ির পাশে দাড় করিয়ে .. Drive Carefully.... শব্দ জুড়ে দেয়া হয় তখন নারীপ্রেম কই থাকে!!!
বডি স্প্রে’র বিজ্ঞাপণে যখন নারীকে বেশ্যা বানিয়ে দেয়া হয় তখন নারীবাদীদের আদর্শ কই থাকে!!!
যখন নারীকে উলঙ্গ করে ছবি তুলে সাদাকালো করে দেয়া হয় তখন তা “আর্ট” বলে দাবি করেন কিভাবে??
নারীকে উলঙ্গ করে যখন চিত্র শিল্পীর সামনে নারী দেহের ভাজ ড্রেইং করতে বলা হয় তখন আপনাদের নারীপ্রেম কই থাকে??
যখন এসব করা হয় তখন তা নোংড়ামিম/ময়লার মতো হইলেও চোখে-মুখে-নাকে লেপ্টে রাখেন.... আর আজ “তেতুল” শব্দ শুনেই কচলানি শুরু হয়া গেছে.... ঠ্যাং উঠায়া লাফাইতাছেন এই কথা গায়ে লাগবে এজন্য...
আরও বলি.....
আপনি কি আপনার মা-বোনদের কে চুইংগাম মনে করেন? তাদেরকে চুইংগামের মতো চিবাইতে ইচ্ছা করে তাই না??
আপনার মা বোন প্রেগনেন্ট থাকলে কি তাদেরকে গর্ববতী পশুর মতো লাগে.. তাই না?
আপনা বোন বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ে আর তাই তারা কাণনবালা(পতিতা/বেশ্যাদের ছদ্মনাম) বলতে আপনার আত্তি নাই তাই না??
কি খারাপ লাগলো তো?? আরে এগুলা তো আপনাদের মতো সুশীলদের নেতা হুমায়ুন আযাদ বলে গেছে। তখন কই ছিল মা-বোনদের প্রতি দরদ?? নাকি তখন মা-বোনদের প্রতি টান ছিল না তাই চুপ ছিলেন আর আজ আল্লামা শফী “তেতুল” বলাতে কচলানি শুরু হয়া গেছে কেন? সুশীল প্রগতিশীলদের বিবেক কি চায়? এসব নোংড়া কুরুচীপূর্ণ শব্দ যা নারিকে মুহুর্তের মধ্যে উলংগ করে দেয়??? আর আল্লামা আহমদ শফী সেটা করেনাই এইজন্যই এতো ক্ষোভ????
আপাতত ইস্তফা দিলাম.....
হায়রে সুশীলতা...হায়রে নারীবাদীর দল..... হায়রে প্রগতিশীলতা.......
স্যালুট তোমাদের বিবেক কে..... (Y)
-
ধন্যবাদান্তে
সামুর পুরাণ ব্লগার নয়া লেখক