গভীর রাতে ঘুমন্ত অবস্থায় টের পেলাম গায়ে কিছু একটা বহাল তবিয়তে হেঁটে চলেছে, একটু পরেই বুঝতে পারলাম একজন না, আরও আছে। একদিন সকালে ঘুম ভেঙ্গে দেখলাম হাতের আঙ্গুলে, এবং কব্জির ধারে কয়েক জায়গায় চামড়া ভেদ করে খানিক খানিক মাংস নাই। কোন দুই রাতে অনুভব করি, খুব ধীরে গাল বেয়ে কে যেনো কর্ম যজ্ঞ চালায়, ঘুম ঘোরেই চিমটি দিয়ে ধরে মোবাইলের উপর রেখে ডিসপ্লে লাইট অন করে দেখি চুলের পোকা, এরা আমাকে ধরলে একদম ত্যক্ত বিরক্ত করে ছাড়ে, সেইজন্য মরিয়া হয়ে তাড়াতে ব্যস্ত হয়ে যাই। কেশবতী না হওয়ায় যেনো আরও বেশি সুড়সুড় লাগে মাথার তালুতে, কিন্তু যাদের অনেক কেশ তাদের কাছেই তো থাকতে পারে, ওখানে মনে হয় তেমন সুবিধে হয়না রক্ত পানে; সবাই নিজেদের সুবিধার জন্যে দুস্থদের উপর অত্যাচার করে কেনো বাপু(প্রশ্ন আসে মনে)!?
আমার ঘর বসতি পোকামাকড়ের সাথে। গতকাল রাতে ফড়ফড়ানি আওয়াজ শুনে চোখ দু'খানা মেলে দেখলাম যে, ইয়াহ বড় এক তেলাপোকা আমাকে ধরবে বলে উড়ে উড়ে সুবিধা করার চেষ্টা করছে, কিন্তু আমিতো মশারি টাঙিয়ে নিয়েছি। দু'জনের অবস্থান মশারির ভেতরে আর বাহিরে, ভেতর থেকেই দিলাম থাবা বাইরে, সটকে পড়লো বলে বেঁচে গেলো। আমি নিজেও ভয় পায় এদের, তার থেকে বেশি লাগে ঘেন্না।
আচ্ছা! এদের এতো খাবার থাকতে কেনো 'মানুষ আমিষ' লাগে বুঝিনা, হতে পারে এরকম যে- মানুষের জন্যে তো কত পদের আমিষ আছে কিন্তু প্রিয় হচ্ছে, গরুর গোশত; ঠিক সেরকম ওদের প্রিয় 'মনুষ্য মাংস'।
কত অদ্ভুত! মানুষ জীবিত অবস্থায় কত শক্তিশালী, সবকিছুতে তাঁবেদারি কিন্তু প্রান স্থানান্তরিত হওয়ার সাথে সাথেই পোকামাকড় তাঁদের ভোজনকারী।