আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় প্রচূর সংখক কিশোর মুক্তিযুদ্ধে অংশ গ্রহণ করেছিলেন এবং তাদের মধ্যে কেউ কেউ সরাসরি যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন এবং বেশিরভাগ কিশোর মুক্তিযুদ্ধারা পাকহানাদার বাহিনীর অবস্থান ও তাদের পরিকল্পনার কথা মুক্তিবাহিনীর ও গেরিলা মুক্তিযদ্ধাদের কাছে পৌঁছে দিয়ে পাকিস্তানী হানাদার বাহিনীর উপর হামলা করতে , তাদের পরাজিত করার কাজে সহযোগিতা করেন ৷
আবার অনেক কিশোর মুক্তিযুদ্ধারা যুদ্ধের জন্য আমুনেশন এক স্থান হতে অন্য স্থানে বহন করেন পাক হানাদার বাহিনীর চোখে ফাঁকি দিয়ে আর তারা এসব করেছিলেন শুধু মাত্র আমাদের লাল সবুজের এই পতাকার জন্য , স্বাধীনতার জন্য - বিনম্র শ্রদ্ধা সকল বীর কিশোর মুক্তিযুদ্ধাদের ৷
স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম ঘোষিত রাজধানী চুয়াডাঙ্গা জেলার, জীবননগর উপজেলার, উতলি উনিয়নের "ধোফাখালী গ্রামের" কিশোর বীর মুক্তিযুদ্ধা আজিজুল ইসলাম তাদের একজন ৷ আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় তার বয়স ছিল মাত্র এগারো বা বারো , এই অসীম সাহসী কিশোর তাদের এলাকায় পাক হানাদার বাহিনীর ইতিহাসের জঘন্য অত্যাচার, নির্যাতন দেখে তিনি প্রতিজ্ঞা করেন এদের রুখতে হবে তাই খুব ঝুঁকিপূর্ণ হওয়া সত্ত্বেও মুক্তিযুদ্ধাদের সহায়তার জন্য , বাংলাদেশের স্বাধীনতার জন্য নিজেকে আত্মনিয়োগ ৷
জীবননগরের সীমান্তবর্তী গ্রাম ধোফাখালী, গ্রামের অন্যপাশে ভারতীয় সীমানায় বানপুর সাব সেক্টর ছিল, যার অধিনায়ক ছিলেন সাবেক সেনাপ্রধান জেনারেল মুস্তাফিজুর রহমান , যার ফলে সামরিক দিকদিয়ে এই গ্রামটি খুব গুরুত্বপূর্ণ ছিল, মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় এই গ্রামে প্রচন্ড যুদ্ধ হয়েছে ৷
অসীম সাহসী কিশোর বীর মুক্তিযুদ্ধা আজিজুল ইসলাম গ্রামের অন্য পাশে সীমান্তবর্তী বানপুর মুক্তিযুদ্ধ ক্যাম্পে নিয়মিত যেতেন , যার ফলে প্রশিক্ষণরত ও প্রশিক্ষত মুক্তিযুদ্ধাদের সাথে তার একটি সুসম্পর্ক গড়ে উঠে বিশেষ করে সাবেক সেনাপ্রধান জেনারেল মুস্তাফিজুর রহমান সহ ইপিআর মুক্তিযুদ্ধাদের সাথে ৷ যুদ্ধ পরবর্তী বিভিন্ন সময় তার প্রমান পাওয়া যায় ৷
কিশোর বীর মুক্তিযুদ্ধা আজিজুল ইসলাম মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় মুক্তিবাহিনীর কাছে পাক হানাদারদের অবস্থান , গতিবিধি , রাজাকারদের তত্ত্ব দিতেন যার উপর নির্ভর করে আমাদের গেরিলারা যুদ্ধের পরিকল্পনা করতেন, পাক হানাদার বাহিনীকে পরাজিত করতেন I
এমনকি তিনি মুক্তিযুদ্ধাদের জন্য হালকা অস্র, আমুনেশন, গুলি গ্রামের এক স্থান হতে অন্য স্থানে বহন করতেন , এক অসীম সাহসী এই কিশোর যুদ্ধার কম বয়স হওয়ায় পাকিস্তানি বাহিনী কখনো তাকে সন্দেহ করতো না ৷ আর তিনি এই সুযোগে ঐত্যাধুনিক স্বয়ক্রিয় পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীকে "মুক্তিবাহিনী দ্বারা " জীবননগর সহ চুয়াডাঙ্গা হতে কুকুর মত তাড়িয়ে দিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন ৷
৭ আগস্ট ১৯৭১ ৷ ধোফাখালী হাট গ্রামে এক প্রচন্ড যুদ্ধ হয় মুক্তিবাহিনী ও পাক হানাদার বাহিনীর মধ্যে এতে শহীদ হন ছয়জন বীর মুক্তিযুদ্ধা তারা হলেন শহীদ নায়েক রশিদ আলী বীরপ্রতীক , শহীদ নায়েক আবু বাকের ,শহীদ হাবিলদার আব্দুল গফুর , শহীদ সিপাহী সিদ্দিক আলী , শহীদ নায়েক আব্দুল মালিক ও শহীদ সিপাহী আব্দুল আজিজ ৷ এই বীরদের সমাধি করা হয় "ধোফাখালী হাট" গ্রামে , এই শহীদ বীর মুক্তিযুদ্ধাদের সাথে কিশোর মুক্তিযুদ্ধা আজিজুল ইসলামের খুব গভীর সম্পর্ক ছিল তাইতো তিনি আজীবন বিশেষ দিবস ছাড়াও প্রতি জুমাবারে তাদের কবর জিয়ারত করতেন তার সন্তানদের নিয়ে ৷ তার দেওয়া তত্ত্বের ভিত্তিতে তার ছেলে (সরকারের উচ্চপদস্থ একজন কর্মকর্তা ) শহীদ রশিদ আলী বীর প্রতীকের সমাধি স্বাধীনতার পঁয়তাল্লিশ পর খুঁজে বাহির করতে খুব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন I
স্বাধীন উত্তর সাবেক সেনাপ্রধান জেনারেল মুস্তাফিজুর অসংখ বার ধোফাখালী হাট গণকবর জিয়ারত করতে গিয়াছেন প্রতিবার তিনি অসীম সাহসী কিশোর মুক্তিযুদ্ধা আজিজুল ইসলাম সহ স্থানীয় মুক্তিযুদ্ধাদের খুঁজ খবর নিতেন ৷
কিশোর মুক্তিযুদ্ধা আজিজুল ইসলাম আমৃত্যু "মুক্তিযুদ্ধের পরাজিত শত্রু রাজাকার - আলবদরদের " ঘৃণা করতেন, প্রকাশ্য তাদের তিরস্কার করতেন , যুদ্ধাপরাধীদের বিচার চাইতেন , কখনো তাদের সাথে হাতমিলাতেন না I তিনি তার সন্তানদের শিখিয়াছেন আত্মমর্যাদা নিয়ে বাঁচার তাইতো আজ তার সন্তান নিজ যোগ্যতায় বাংলাদেশ সরকারে শীর্ষ পর্যায়ে কর্মরত আছেন ৷
আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধের অকুতোভয় সৈনিক এই কিশোর মুক্তিযুদ্ধা আজিজুল ইসলাম দুরারোগ্য ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে না ফেরার দেশে চলে যান ১লা মার্চ ২০১২ ৷ বিনম্র শ্রদ্ধা বাংলা মায়ের এই সূর্য সন্তান কিশোর মুক্তিযুদ্ধা আজিজুল ইসলামকে , তার সাথে বর্তমান সরকারের কাছে দাবি থাকলো যে চুয়াডাঙ্গায় অন্তত একটি স্থাপনা " কিশোর মুক্তিযুদ্দা আজিজুল ইসলামের " নামে নামকরণ করা হয় ৷
আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় প্রচূর সংখক কিশোর মুক্তিযুদ্ধে অংশ গ্রহণ করেছিলেন এবং তাদের মধ্যে কেউ কেউ সরাসরি যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন এবং বেশিরভাগ কিশোর মুক্তিযুদ্ধারা পাকহানাদার বাহিনীর অবস্থান ও তাদের পরিকল্পনার কথা মুক্তিবাহিনীর ও গেরিলা মুক্তিযদ্ধাদের কাছে পৌঁছে দিয়ে পাকিস্তানী হানাদার বাহিনীর উপর হামলা করতে , তাদের পরাজিত করার কাজে সহযোগিতা করেন ৷
আবার অনেক কিশোর মুক্তিযুদ্ধারা যুদ্ধের জন্য আমুনেশন এক স্থান হতে অন্য স্থানে বহন করেন পাক হানাদার বাহিনীর চোখে ফাঁকি দিয়ে আর তারা এসব করেছিলেন শুধু মাত্র আমাদের লাল সবুজের এই পতাকার জন্য , স্বাধীনতার জন্য - বিনম্র শ্রদ্ধা সকল বীর কিশোর মুক্তিযুদ্ধাদের ৷
স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম ঘোষিত রাজধানী চুয়াডাঙ্গা জেলার, জীবননগর উপজেলার, উতলি উনিয়নের "ধোফাখালী গ্রামের" কিশোর বীর মুক্তিযুদ্ধা আজিজুল ইসলাম তাদের একজন ৷ আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় তার বয়স ছিল মাত্র এগারো বা বারো , এই অসীম সাহসী কিশোর তাদের এলাকায় পাক হানাদার বাহিনীর ইতিহাসের জঘন্য অত্যাচার, নির্যাতন দেখে তিনি প্রতিজ্ঞা করেন এদের রুখতে হবে তাই খুব ঝুঁকিপূর্ণ হওয়া সত্ত্বেও মুক্তিযুদ্ধাদের সহায়তার জন্য , বাংলাদেশের স্বাধীনতার জন্য নিজেকে আত্মনিয়োগ ৷
জীবননগরের সীমান্তবর্তী গ্রাম ধোফাখালী, গ্রামের অন্যপাশে ভারতীয় সীমানায় বানপুর সাব সেক্টর ছিল, যার অধিনায়ক ছিলেন সাবেক সেনাপ্রধান জেনারেল মুস্তাফিজুর রহমান , যার ফলে সামরিক দিকদিয়ে এই গ্রামটি খুব গুরুত্বপূর্ণ ছিল, মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় এই গ্রামে প্রচন্ড যুদ্ধ হয়েছে ৷
অসীম সাহসী কিশোর বীর মুক্তিযুদ্ধা আজিজুল ইসলাম গ্রামের অন্য পাশে সীমান্তবর্তী বানপুর মুক্তিযুদ্ধ ক্যাম্পে নিয়মিত যেতেন , যার ফলে প্রশিক্ষণরত ও প্রশিক্ষত মুক্তিযুদ্ধাদের সাথে তার একটি সুসম্পর্ক গড়ে উঠে বিশেষ করে সাবেক সেনাপ্রধান জেনারেল মুস্তাফিজুর রহমান সহ ইপিআর মুক্তিযুদ্ধাদের সাথে ৷ যুদ্ধ পরবর্তী বিভিন্ন সময় তার প্রমান পাওয়া যায় ৷
কিশোর বীর মুক্তিযুদ্ধা আজিজুল ইসলাম মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় মুক্তিবাহিনীর কাছে পাক হানাদারদের অবস্থান , গতিবিধি , রাজাকারদের তত্ত্ব দিতেন যার উপর নির্ভর করে আমাদের গেরিলারা যুদ্ধের পরিকল্পনা করতেন, পাক হানাদার বাহিনীকে পরাজিত করতেন I
এমনকি তিনি মুক্তিযুদ্ধাদের জন্য হালকা অস্র, আমুনেশন, গুলি গ্রামের এক স্থান হতে অন্য স্থানে বহন করতেন , এক অসীম সাহসী এই কিশোর যুদ্ধার কম বয়স হওয়ায় পাকিস্তানি বাহিনী কখনো তাকে সন্দেহ করতো না ৷ আর তিনি এই সুযোগে ঐত্যাধুনিক স্বয়ক্রিয় পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীকে "মুক্তিবাহিনী দ্বারা " জীবননগর সহ চুয়াডাঙ্গা হতে কুকুর মত তাড়িয়ে দিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন ৷
৭ আগস্ট ১৯৭১ ৷ ধোফাখালী হাট গ্রামে এক প্রচন্ড যুদ্ধ হয় মুক্তিবাহিনী ও পাক হানাদার বাহিনীর মধ্যে এতে শহীদ হন ছয়জন বীর মুক্তিযুদ্ধা তারা হলেন শহীদ নায়েক রশিদ আলী বীরপ্রতীক , শহীদ নায়েক আবু বাকের ,শহীদ হাবিলদার আব্দুল গফুর , শহীদ সিপাহী সিদ্দিক আলী , শহীদ নায়েক আব্দুল মালিক ও শহীদ সিপাহী আব্দুল আজিজ ৷ এই বীরদের সমাধি করা হয় "ধোফাখালী হাট" গ্রামে , এই শহীদ বীর মুক্তিযুদ্ধাদের সাথে কিশোর মুক্তিযুদ্ধা আজিজুল ইসলামের খুব গভীর সম্পর্ক ছিল তাইতো তিনি আজীবন বিশেষ দিবস ছাড়াও প্রতি জুমাবারে তাদের কবর জিয়ারত করতেন তার সন্তানদের নিয়ে ৷ তার দেওয়া তত্ত্বের ভিত্তিতে তার ছেলে (সরকারের উচ্চপদস্থ একজন কর্মকর্তা ) শহীদ রশিদ আলী বীর প্রতীকের সমাধি স্বাধীনতার পঁয়তাল্লিশ পর খুঁজে বাহির করতে খুব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন I
স্বাধীন উত্তর সাবেক সেনাপ্রধান জেনারেল মুস্তাফিজুর অসংখ বার ধোফাখালী হাট গণকবর জিয়ারত করতে গিয়াছেন প্রতিবার তিনি অসীম সাহসী কিশোর মুক্তিযুদ্ধা আজিজুল ইসলাম সহ স্থানীয় মুক্তিযুদ্ধাদের খুঁজ খবর নিতেন ৷
কিশোর মুক্তিযুদ্ধা আজিজুল ইসলাম আমৃত্যু "মুক্তিযুদ্ধের পরাজিত শত্রু রাজাকার - আলবদরদের " ঘৃণা করতেন, প্রকাশ্য তাদের তিরস্কার করতেন , যুদ্ধাপরাধীদের বিচার চাইতেন , কখনো তাদের সাথে হাতমিলাতেন না I তিনি তার সন্তানদের শিখিয়াছেন আত্মমর্যাদা নিয়ে বাঁচার তাইতো আজ তার সন্তান নিজ যোগ্যতায় বাংলাদেশ সরকারে শীর্ষ পর্যায়ে কর্মরত আছেন ৷
আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধের অকুতোভয় সৈনিক এই কিশোর মুক্তিযুদ্ধা আজিজুল ইসলাম দুরারোগ্য ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে না ফেরার দেশে চলে যান ১লা মার্চ ২০১২ ৷ বিনম্র শ্রদ্ধা বাংলা মায়ের এই সূর্য সন্তান কিশোর মুক্তিযুদ্ধা আজিজুল ইসলামকে , তার সাথে বর্তমান সরকারের কাছে দাবি থাকলো যে চুয়াডাঙ্গায় অন্তত একটি স্থাপনা " কিশোর মুক্তিযুদ্দা আজিজুল ইসলামের " নামে নামকরণ করা হয় ৷