গত এক শত বৎসরে ট্রাম দুর্ঘটনায় কোলকাতায় মৃত্যুর সংখ্যা মাত্র একটি। তিনি আর কেউ নন, কবি জীবনানন্দ দাশ । মৃত্যুর পর থেকে শুরু করে বিংশ শতাব্দীর শেষ ধাপে তিনি জনপ্রিয়তা পেতে শুরু করেন। আগামিকাল ২২শে অক্টোবর তাঁর মহাপ্রয়াণ দিবস ।
১৪ই অক্টোবর, ১৯৫৪ তারিখে কলকাতার বালিগঞ্জে এক ট্রাম দূর্ঘটনায় তিনি আহত হন। ট্রামের ক্যাচারে আটকে তার শরীর দলিত হয়ে গিয়েছিল। ভেঙ্গে গিয়েছিল কণ্ঠ, ঊরু এবং পাঁজরের হাড়। ২২শে অক্টোবর, ১৯৫৪ তারিখে রাত্রি ১১টা ৩৫ মিনিটে কলকাতার শম্ভুনাথ পণ্ডিত হাসপাতালে তাঁর মৃত্যু হয়।
বাংলা সাহিত্যের শুদ্ধতম কবি , কালপুরুষ এবং আমার একমাত্র প্রিয় কাব্যপথপ্রদর্শক জীবনানন্দ দাশ’র প্রয়াণ স্মরণে আমার এ কবিতাটি ।
“ জীবন্দা ”
জীবন হারায়ে গিয়েছিল কোথায় –
ট্রামের নিচে ?
নাকি কোন এক অ-ণারীর-ক্ষুরধার
বিপথের পিছে ?
কিছু নক্ষত্র এমনই ঝরে যায় ,
পথের ধারে হলুদ পাতার মত –
অন্ধকারের মত দীর্ঘ বিলে একাকি সে-
নাউ বেয়ে যায় ;
নাউএর ভারে শালুক পিসে যায় যত - ।
~~১১ম অক্টোবর ২০১৫ ইং~~~
জীবনানন্দ বলেছিলেন , --- “ সকলেই কবি নয়। কেউ কেউ কবি ; কবি - কেননা তাদের হৃদয়ে কল্পনার এবং কল্পনার ভিতরে চিনত্মা ও অভিজ্ঞতার সারবত্তা রয়েছে, এবং তাদের পশ্চাতে অনেক বিগত শতাব্দী ধরে এবং তাদের সঙ্গে সঙ্গে আধুনিক জগতের নব নব কাব্যবিকীরণ তাদের সাহায্য করেছে। কিন' সকলকে সাহায্য করতে পারে না ; যাদের হৃদয়ে কল্পনা ও কল্পনার ভিতরে অভিজ্ঞতা ও চিনত্মার সারবত্তা রয়েছে তারাই সাহায্যপ্রাপ্ত হয় ; নানারকম চরাচরের সম্পর্কে এসে তারা কবিতা সৃষ্টি করবার অবসর পায় ”