somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পোস্টটি যিনি লিখেছেন

রিমন রনবীর
প্রোগ্রামার হিসেবে কাজ করছি প্রায় চার পাঁচ বছর। কতটুকু ইঞ্জিন আর কতটুকু মানবিকতা ধারণ করছি জানি না, তবে আরেকটু বেশি মানবিকতা জাগ্রত করার অবিরাম প্রচেষ্টায় আছি।আমার লিঙ্কডইন প্রোফাইলঃ http://bd.linkedin.com/in/sayemkcn

আরিপ খান যখন ডাক্তার B-)) B-)) (ছোট্টমনিদের গল্প)

২৭ শে জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৫:৩০
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

এক দেশে এক রাজা ছিল। তার একটা ছেলে ছিল। রাজার ছেলে।
সে ছিল রাজকুমার। রাজার ছেলে রাজকুমার না হয়ে পারে?
তার আচরনও ছিল ঠিক রাজকুমারের মত। তবে রাজকুমারের আচরন কিরকম হতে পারে সে আমাকে জিজ্ঞেস করনা প্লিজ।
কারন আমি জানিইনা রাজকুমারদের আচরন কেমন। কেনই বা জানব!! আমি তো আর রাজকুমার না !!

সে যাক!! সেই রাজকুমারের একটা অদ্ভুত অভ্যাস ছিল। সে প্রতিদিন রাতে কাচা ডিম দিয়ে কুলকুচি করত। কি অদ্ভুত না?
তো একদিন হল কি, কুলকুচি করতে গিয়ে সেই রাজকুমার বমি করে দিল। কেন দিল জানো?
কারন ডিমটা ছিল দুর্গন্ধযুক্ত।
কেন দুর্গন্ধযুক্ত জানো? কারন ডিমটা ছিল পঁচা। ওয়াক থু।

তো বমি করতে করতে সে বেহাল দশা!! বমি আর থামেই না থামেই না।

কত হেকিম কবিরাজ বদ্যি এল কিছুই করতে পারল না।
রাজামশাই কি করবেন কি করবেন ভেবে ভেবে তার প্রেশার বাড়িয়ে ফেলছিলেন। শেষে আর লোড নিতে না পেরে টিভি খুলে স্টার জলসা দেখা শুরু করে দিলেন।
তারপর অটোমেটিক তার প্রেশার কমে গেল।
বন্ধুরা তোমরা হয়ত দেখেছো যে মাথাব্যাথার সময় যদি বমি কর তাহলে ঐ বমি করার সময়টুকুতে তখন আর মাথাব্যাথা অনুভব করনা।
কি ঠিক বলিনি?

তেমনই ঘটেছে রাজামশাইয়ের বেলায়। তিনি স্টার জলসা দেখছিলেন আর ঐদিকে তার ছেলে বমি করতেই আছে।
শেষে তার উজির একজন ডাক্তারকে ডেকে নিয়ে এলেন। সেই ডাক্তার এসেই বললেন এটা আমার কাছে কোন ব্যাপারই না।

বন্ধুরা তোমরা কি জানো এটা কিন্তু তার কাছে আসলেই কোন ব্যাপার না। কারন সেই বহুমাত্রিক প্রতিভার অধিকারী ডাক্তার একাধারে মডেল এবং গায়ক। তার ওস্তাদের নাম ছিল সাউজা। সেই সাউজা কিন্তু শুধু বহুমাতৃক না অতিমাত্রিক প্রতিভার অধিকারী ছিলেন। একাধারে তিনি লেখক,পাঠক,গায়ক,নায়ক,ঔপন্যাসিক,ইঞ্জিনিয়ার,সেন্সিটিভিটি বিশেষজ্ঞ,স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ,টকশো উপস্থাপক,টয়লেট ইঞ্জিনিয়ার এবং জাতিসংঘের বিশেষজ্ঞ প্যানেলের সদস্য।

তখনকার দিনে জাতসংঘ ছিল কিনা সেটা জানতে চেয়ে আমাকে কিন্তু লজ্জা দিও না বন্ধু্রা।
যাহোক ডাক্তার আসলেই কিন্তু কাজের মানুষ ছিলেন। তার ছিল অলৌকিক ক্ষমতা। তবে তার চিকিৎসার ধরনও ছিল ভিন্ন।

এদিকে রাজকুমার বমি করতেই আছে করতেই আছে আর থামছেনা।
তখন ডাক্তার এসেই তার নিজের শার্ট খুলে ফেলল। কি বন্ধুরা ভাবছ ডাক্তারের গরম লেগেছিল বলেই শার্ট খুলে চিকিতসা করবে? নাহ।
আসলে শার্ট খোলাটাই ছিল চিকিৎসা।

আর কি আশ্চর্য দেখ!! সাথে সাথেই তার বমি করা বন্ধ হয়ে গেল।

দেখেছো কি অলৌকিকতা?
আসলে এর ভতরেও সেই বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা টা আছে। কারন পচা ডিমের যেই গন্ধ ছিল সেই ডাক্তারের গায়ে তার চেয়ে বেশী গন্ধ ছিল। আর তার ছিল ঘানা থেকে ইম্পোর্টেড বগল যেখানে সাউজা বগলের সামান্যই ফ্লেভার ছিল।

তখন সে গন্ধে রাজকুমারের ব্রেইন আগের দুর্গন্ধ ভুলে গিয়ে বমি বন্ধ করে দিল এবং নতুন করে যখন বমি করার প্রস্তুতি শুরু করছিল ঠিক তখনই একটা ভয় এসে তার সেই প্রস্তুতিকে ভ্যানিশ করে দিল।
কি ভয়? আরে বলনা আর !! বমি বন্ধ না করলে তো আর ডাক্তার এখান থেকে সরছেনা !! সেই ভয়টাই রাজকুমারের মস্তিস্ক তার পাকস্থলির কাছে সিগনাল আকারে ট্রান্সফার করে দিল। আর কোন পাকস্থলির এত সাহস যে ব্রেইনের হুকুম পালন করতে অস্বীকার করবে?
দারুন না?

হ্যা আসলেই দারুন ব্যাপার।এরকম ডাক্তারই আজকাল ঘরে ঘরে চাই। অবশ্য বেশিরভাগ বামা মা ই এরকম ডাক্তার প্রসব করার চিন্তাও করে না। সে ভিন্ন কথা।

তোমরা নিশ্চয়ই সে ডাক্তারের পরিচয় জানার জন্য কৌতুহলী হয়ে আছো তাইনা?
বলোতো কে হতে পারে?
হ্যা ঠিক ধরেছ। সে তোমাদেরই প্রিয় মডেল আরিপ খান। বিএসসি ইন জার্নালিজম।
সর্বশেষ এডিট : ০৩ রা মার্চ, ২০১৩ রাত ১০:৫৫
১৭টি মন্তব্য ১৭টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

কুড়ি শব্দের গল্প

লিখেছেন করুণাধারা, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৯:১৭



জলে ভাসা পদ্ম আমি
কোরা বাংলায় ঘোষণা দিলাম, "বিদায় সামু" !
কিন্তু সামু সিগারেটের নেশার মতো, ছাড়া যায় না! আমি কি সত্যি যাবো? নো... নেভার!

সানমুন
চিলেকোঠার জানালায় পূর্ণিমার চাঁদ। ঘুমন্ত... ...বাকিটুকু পড়ুন

ধর্ম ও বিজ্ঞান

লিখেছেন এমএলজি, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ ভোর ৪:২৪

করোনার (COVID) শুরুর দিকে আমি দেশবাসীর কাছে উদাত্ত আহবান জানিয়ে একটা পোস্ট দিয়েছিলাম, যা শেয়ার হয়েছিল প্রায় ৩ হাজারবার। জীবন বাঁচাতে মরিয়া পাঠকবৃন্দ আশা করেছিলেন এ পোস্ট শেয়ারে কেউ একজন... ...বাকিটুকু পড়ুন

তালগোল

লিখেছেন বাকপ্রবাস, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:৩৫


তু‌মি যাও চ‌লে
আ‌মি যাই গ‌লে
চ‌লে যায় ঋতু, শীত গ্রীষ্ম বর্ষা
রাত ফু‌রা‌লেই দি‌নের আ‌লোয় ফর্সা
ঘু‌রেঘু‌রে ফি‌রে‌তো আ‌সে, আ‌সে‌তো ফি‌রে
তু‌মি চ‌লে যাও, তু‌মি চ‌লে যাও, আমা‌কে ঘি‌রে
জড়ায়ে মোহ বাতা‌সে ম‌দির ঘ্রাণ,... ...বাকিটুকু পড়ুন

মা

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৩


মায়াবী রাতের চাঁদনী আলো
কিছুই যে আর লাগে না ভালো,
হারিয়ে গেছে মনের আলো
আধার ঘেরা এই মনটা কালো,
মা যেদিন তুই চলে গেলি , আমায় রেখে ওই অন্য পারে।

অন্য... ...বাকিটুকু পড়ুন

কপি করা পোস্ট নিজের নামে চালিয়েও অস্বীকার করলো ব্লগার গেছে দাদা।

লিখেছেন প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ২:১৮



একটা পোস্ট সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বেশ আগে থেকেই ঘুরে বেড়াচ্ছে। পোস্টটিতে মদ্য পান নিয়ে কবি মির্জা গালিব, কবি আল্লামা ইকবাল, কবি আহমদ ফারাজ, কবি ওয়াসি এবং কবি... ...বাকিটুকু পড়ুন

×