
তোরে পাইয়া গেলে,
ঢাকার ব্যস্ত রাস্তায় রিকশায় চড়ে
কাঁধে মাথা রাখতাম,
তোর মেজাজের চেয়ে গরম হইত হাত,
ভিড়ের ভিতরে দুইজনে নিভৃতে হারাইতাম।
তোরে পাইলে,
কলকাতার কলেজ স্ট্রিটে পুরনো বইয়ের গন্ধে
আমাদের গল্পগুলা বাঁধাই করতাম,
সেকেন্ড হ্যান্ড উপন্যাসের পৃষ্ঠায়
তোর ঠোঁটের দাগ থাকত।
তোরে পাইলে,
পাহাড়ের জুম ঘরে বৃষ্টি দেখতাম
তোর চোখের ভেজা রঙে মাতাল হইয়া জ্যোৎস্নায় ভিজতাম।
টাকা জমাইতাম ধীরে ধীরে,
তারপর একসাথে নরওয়ের আকাশের নিচে দাঁড়াইতাম,
অরোরার আলোয় তোর চোখের ঝিলিক মিলাইয়া দেখতাম।
তোরে পাইলে,
কোনো এক সমুদ্রের নির্জন দ্বীপে
একটি চুম্বন, যেন জোয়ারে ভেসে আসা শান্তি,
যেখানে আকাশ, মাটি আর সমুদ্র এক হয়ে যায়,
আর আমরা হারিয়ে যাই একে অপরের মাঝে,
যেন এক প্রাচীন প্রেমের গল্পের প্রথম অধ্যায়।
কিন্তু জীবনটা পুঁজিবাদী মায়া,
স্বর্গের প্রতিশ্রুতি দিয়া আমাদের নামায় মর্ত্যে,
টাকা জমাইতে জমাইতে আমরা মিডাসের অভিশাপে পরি,
যেখানে ছোঁয়া মাত্রই সবকিছু স্বর্ণ হয়,
শুধু ভালোবাসাটাই পাথরে পরিণত হয়—
নিষ্প্রাণ, নিঃসাড়, নির্জীব।
সিগন্যালে দাঁড়াইয়া ভাবি—
তুই কি আসলেই আমার পার্সেফোনি আছিলি,
নাকি শহরটাই হেডিসের রাজ্য,
যেখানে আমাদের প্রেম শীতকাল কাটাইতে গিয়া
আর কোনোদিন বসন্ত ফিরে পায় না?
সর্বশেষ এডিট : ১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ রাত ১০:১১

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




