somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পোস্টটি যিনি লিখেছেন

সাখাওয়াতুল আলম চৌধুরী.
আমি সাখাওয়াতুল আলম চৌধুরী জন্ম চট্টগ্রামে। জীবিকার প্রয়োজনে একসময় প্রবাসী ছিলাম।প্রবাসের সেই কঠিন সময়ে লেখেলেখির হাতেখড়ি। গল্প, কবিতা, সাহিত্যের পাশাপাশি প্রবাসী বাংলা পত্রিকায়ও নিয়মিত কলামও লিখেছি। shakawatarticle.blogspot.com/

কুরআন কেন নাযিল হয়েছে?

০১ লা এপ্রিল, ২০২২ বিকাল ৩:১২
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :





পবিত্র কুরআন একটি ঐশী গ্রন্থ। যা সরাসরি আল্লাহর কাছ থেকে মুহাম্মদ সাঃ এর মাধ্যমে বিশ্ববাসীর জন্য প্রেরিত হয়েছে। এই কুরআন আল্লাহ্ কেন নাযিল করলেন? কুরআন থেকে কী পাওয়া যাবে? কুরআন কাদের জন্য রহমত? কুরআন থেকে কারা হিদায়াত পাবে? কুরআনের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য কী? ইত্যাদি প্রশ্নের উত্তর আমরা পাওয়ার চেষ্টা করবো ইনশাআল্লাহ।



কুরআন এসেছে আল্লাহর পক্ষ থেকেঃ

পবিত্র কুরআনের বাণী নাযিল হয়েছে আল্লাহর পক্ষ থেকে। আল্লাহ বলেন,

" এটি জগতসমুহের রবের পক্ষ থেকে নাযিলকৃত।’ (সূরা হাক্কাহ- ৪৩) "


‘‘নিশ্চয় এ কুরআন বিশ্ব জাহানের রবের পক্ষ থেকে অবতীর্ণ করা হয়েছে’’ [সূরা আশ-শু‘আরা-১৯২]।


সুতরাং পবিত্র কুরআন সরাসরি আল্লাহর কাছ থেকেই এসেছে। এটা নিয়ে কারো কোনো সংশয় থাকা উচিত নয়।



পৃথিবীকে আলোকিত করতেঃ

কুরআন আসার পূর্বে পৃথিবীর মানুষ অন্ধকার তথা জাহেলি কর্মকান্ডে আল্লাহ বিমুখীতায় নিমজ্জিত ছিলো। মানুষের মনুষ্যত্ববোধ লোপ পেয়েছিল। সেইসাথে মানুষ এক আল্লাহকে ছেড়ে লক্ষ হাজার দেবদেবীর মূর্তি পূজায় লিপ্ত ছিলো। সেই অন্ধকার থেকে মানুষকে আলোর দিকে আনার জন্যই আল্লাহ নাযিল করলেন কুরআন। আল্লাহ বলেন,



" এই কিতাব আমি (হে মুহাম্মদ) তোমার প্রতি অবতীর্ণ করেছি, যাতে তুমি মানবজাতিকে তাদের প্রতিপালকের নির্দেশে অন্ধকার থেকে বের করে আলোকে আনতে পারো। বের করে আনতে পারো তাঁর পথে, যিনি পরাক্রমশালী, প্রশংসিত "। [সুরা : ইবরাহিম, আয়াত :১]


" তিনিই (আল্লাহ) তাঁর বান্দার প্রতি সুস্পষ্ট আয়াত অবতীর্ণ করেন, তোমাদের অন্ধকার থেকে আলোকে আনার জন্য। আল্লাহ তো তোমাদের প্রতি করুণাময়, পরম দয়ালু।" (সুরা : হাদিদ, আয়াত : ৯)


" তিনিই তাঁর দাসের প্রতি প্রকাশ্য আয়াত অবতীর্ণ করেন, যাতে তোমাদেরকে অন্ধকার থেকে আলোকে আনয়ন করেন। নিশ্চয় আল্লাহ তোমাদের প্রতি করুণাময়, পরম দয়ালু "। (সূরাঃ আল হাদীদ, আয়াতঃ ৯) "


" যারা ঈমান এনেছে, আল্লাহ তাদের অভিভাবক। তাদেরকে তিনি বের করে আনেন অন্ধকার থেকে আলোর দিকে।(সূরাঃ আল বাকারা, আয়াতঃ ২৫৭) "





উপরোক্ত আয়াত গুলো থেকে এটা সুস্পষ্ট যে, পবিত্র কুরআন প্রেরণের উদ্দেশ্যই হলো মানুষকে কুসংস্কারহীন, মানবিক, সাম্যবাদী একক সৃষ্টিকর্তার আলো দেখানো। যাতে তারা কুসংস্কার, অমানবিক, পাশবিক ও জাহেলি অন্ধকার থেকে বেরিয়ে আসতে পারে।



হিদায়াত হিসাবেঃ

পবিত্র কুরআনের প্রধান কাজ হলো যারা হিদায়াত চায় বা যাদের হিদায়াত লেখা আছে তাদের হিদায়াত প্রাপ্ত করা। অর্থাৎ মানুষের হিদায়াতের প্রধান উৎসই হলো কুরআন। আল্লাহ বলেন,

‘আর আমি (হে মুহাম্মদ) তোমার উপর কিতাব নাযিল করেছি প্রতিটি বিষয়ের স্পষ্ট বর্ণনা, হিদায়াত, রহমত ও মুসলিমদের জন্য সুসংবাদস্বরূপ।’ (সূরা আন-নাহল- ৮৯)


" হে মানবকুল, তোমাদের কাছে উপদেশবানী (অর্থাৎ কুরআন) এসেছে তোমাদের পরওয়ারদেগারের পক্ষ থেকে এবং অন্তরের রোগের নিরাময়, হেদায়েত ও রহমত মুসলমানদের জন্য"। (সূরাঃ ইউনুস, আয়াতঃ ৫৭) "


"এমনিভাবে আমি সুস্পষ্ট আয়াত রূপে কোরআন নাযিল করেছি এবং আল্লাহ-ই যাকে ইচ্ছা হেদায়েত করেন"।(সূরাঃ হাজ্জ্ব, আয়াতঃ ১৬) "


"এবং নিশ্চিতই এটা (কুরআন) মুমিনদের জন্যে হেদায়েত ও রহমত"। (সূরাঃ নমল, আয়াতঃ ৭৭)





উপরোক্ত আয়াতসহ আরো অসংখ্য আয়াত দ্বারা আল্লাহ এটা জানিয়ে দিয়েছেন যে, এই পবিত্র কুরআন হচ্ছে হিদায়াতের অন্যতম মাধ্যম এবং আল্লাহ যাকে চান তাকে এর দ্বারা হিদায়াত দিয়ে থাকেন।



তাওহীদ প্রতিষ্ঠার জন্যঃ

আল্লাহর একত্ববাদের সাক্ষ্য দিতে, তথা তাওহীদ প্রতিষ্ঠার জন্যই কুরআন নাযিল হয়েছে। তাওহীদ হচ্ছে আল্লাহ ছাড়া আর কোনো উপাস্য বা ইলাহ নেই এমন সাক্ষ্য দেওয়া। আল্লাহ পবিত্র কুরআনে এই ঘোষণাই দিচ্ছেন দৃঢ় ভাবে।



" তোমাদের উপাস্য হচ্ছেন এক আল্লাহ, তিনি ছাড়া সত্যিকারের কোন উপাস্য নেই। তিনি পরম করুনাময়, অতি দয়ালু"। ( সূরা বাকারা : ১৬৩)


"আল্লাহ, তিনি ছাড়া কোন ইলাহ নেই, তিনি চিরঞ্জীব, চিরপ্রতিষ্ঠিত ধারক"। ( সূরা আলে ইমরান ৩ :২)


"নিশ্চয়ই এটা প্রকৃত ঘটনা। আল্লাহ ছাড়া অন্য সত্য ইলাহ নেই। আর নিশ্চয়ই আল্লাহ মহাপরাক্রান্ত, প্রজ্ঞাময়"। ( আলে ইমরান ৩ : ৬২)


" তোমরা কি এমন সাক্ষ্য দিতে পার যে, আল্লাহর সঙ্গে অন্য ইলাহও আছে? বল, আমি এমন সাক্ষ্য দেই না, বল তিনি তো এক ইলাহ আর তোমরা যে তাঁর অংশীদার স্থাপন কর, তা থেকে আমি সম্পূর্ণ মুক্ত। (আনআম ৬ : ১৯) "


উপরোক্ত আয়াতসহ আরো অসংখ্য আয়াত দ্বারা আল্লাহ তাঁর একক তাওহীদের ঘোষণা দিয়েছেন কুরআনে। এই পবিত্র কুরআন আল্লাহর তাওহীদেরই প্রচারের জন্যই নাযিল হয়েছে।

তাওহীদ কী? জানতে এখানে ক্লিক করুন


শির্কের মূলোৎপাটন করতেঃ

পবিত্র কুরআনের মাধ্যমে আল্লাহ্ শির্কের মূলোৎপাটন করেছেন। আল্লাহর তাওহীদ প্রতিষ্ঠার বড় বাঁধা হচ্ছে শির্ক। শির্ক ও তাওহীদ কখনোই পাশাপাশি চলতে পারে না। তাই শির্কের বিরুদ্ধে আল্লাহর অবস্থান খুবই কঠোর। আল্লাহ বলেন,


" ‘আল্লাহর সঙ্গে শরীক (স্থাপন) করো না। নিশ্চিত জেনে রেখো শিরক (আল্লাহর সাথে অন্য কাউকে শরীক করা) হচ্ছে অতি বড় জুলুম"(লুকমান ১৩)



"নিশ্চয় জেনো, আল্লাহর সঙ্গে শরীক বানানোর যে পাপ তা তিনি ক্ষমা করেন না"। (নিসা ৪৮)


‘যে আল্লাহর সঙ্গে অন্য কাউকেও ডাকে। তার সমর্থনে তার হাতে কোন দলিল প্রমাণ নেই। তার হিসাব-নিকাশ হবে আল্লাহর নিকট। এ ধরনের কাফেররা কিছুতেই কল্যাণ ও সফলতা লাভ করতে পারে না।’ (মুমিনুন ১১৭)

‘তোমরা কেবলমাত্র আল্লাহরই দাসত্ব ও ইবাদত করো। আর অন্য কোন কিছুকেই তাঁর সঙ্গে শরীক করো না।’ (নিসা ৩৬)

"আহলে-কিতাব ও মুশরেকদের মধ্যে যারা আল্লাহকে অস্বীকারকারী, তারা জাহান্নামের আগুনে স্থায়ীভাবে থাকবে। সৃষ্টির মধ্যে তারাই নিকৃষ্ট।" (সুরা বাইয়্যেনাহ : আয়াত ৬)


উপরোক্ত আয়াত দ্বারা আল্লাহ খুবই কঠিন হস্তে শির্কের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছেন। অর্থাৎ আল্লাহর সাথে যারাই শরীক স্থাপন করবে তারাই আল্লাহর আযাবে পতিত হবে। যে পাপের শাস্তি ক্ষমা যোগ্য নয়।

রাষ্ট্রীয় শির্ক কী? জানতে এখানে ক্লিক করুন


আল্লাহ্‌র সিফাতের সাথে শির্ক কী? জানতে এখানে ক্লিক করুন


আল্লাহ্‌র ইবাদতের সাথে শির্ক কী? জানতে এখানে ক্লিক করুন

জ্ঞানীদের চিন্তার খোরাকঃ

পবিত্র কুরআন আল্লাহ্ প্রেরণ করেছেন চিন্তাশীল ব্যক্তিদের জন্য। যাতে তারা এই কুরআনের দ্বারা চিন্তা চেতনা গবেষণা ইত্যাদি করতে পারে। এই কুরআন হচ্ছে জ্ঞান এবং বিজ্ঞানের ধারক।



এই কুরআন দ্বারা যারা আল্লাহ্ অবিশ্বাসী এবং সংশয়বাদী তাদের জন্য রয়েছে আল্লাহ্ কে নিয়ে গবেষণা করা উপকরণ। আর যারা আল্লাহ্ বিশ্বাসী তাদের জন্য রয়েছে সুস্পষ্ট দলিল। যা দ্বারা মুমিমনগণ তাদের সংশয়যুক্ত যেকোনো বিষয়াদির পক্ষে বিপক্ষে দলিল অন্বেষণ করতে পারে। আল্লাহ বলেন,


‘"তবে কি তারা কোরআন নিয়ে গভীর চিন্তা ভাবনা করে না? নাকি তাদের অন্তরসমূহে তালা বদ্ধ রয়েছে?” (সূরা মুহাম্মদ-২৪)


"আমি একে এক নিদর্শনরূপে রেখে দিয়েছি। অতএব, কোন চিন্তাশীল আছে কি? "(সূরাঃ আল ক্বামার, আয়াতঃ ১৫)


"নিশ্চয় যারা কোরআন আসার পর তা অস্বীকার করে, তাদের মধ্যে চিন্তা-ভাবনার অভাব রয়েছে। এটা অবশ্যই এক সম্মানিত গ্রন্থ। "(সূরাঃ হা-মীম সেজদাহ, আয়াতঃ ৪১)



"যিনি সৃষ্টি করে, তিনি কি সে লোকের সমতুল্য যে সৃষ্টি করতে পারে না? তোমরা কি চিন্তা করবে না? " (সূরাঃ নাহল, আয়াতঃ ১৭)


উপরোক্ত আয়াত দ্বারা আল্লাহ কাফিরদের সরাসরি চ্যালেঞ্জ দিয়েছেন আল্লাহ্ কে নিয়ে চিন্তা করার। যাতে তারা সৎ পথ লাভ করতে পারে।





"অতএব তারা কি এই কালাম (কুরআন) সম্পর্কে চিন্তা-ভাবনা করে না? না তাদের কাছে এমন কিছু এসেছে, যা তাদের পিতৃপুরুষদের কাছে আসেনি? "(সূরাঃ আল মু'মিনূন, আয়াতঃ ৬৮)



এই আয়াত দ্বারা আল্লাহ মুশরিকদের প্রতি চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়েছেন। যাতে তারা কুরআন নিয়ে চিন্তা ভাবনা করে সত্যেকে তথা আল্লাহ্ কে গ্রহণ করতে পারে। আল্লাহ্ আরও বলেন,


"তারা তোমাকে মদ ও জুয়া সম্পর্কে জিজ্ঞেস করে। বলে দাও, এতদুভয়ের মধ্যে রয়েছে মহাপাপ। আর মানুষের জন্যে উপকারিতাও রয়েছে, তবে এগুলোর পাপ উপকারিতা অপেক্ষা অনেক বড়। আর তোমার কাছে জিজ্ঞেস করে, কি তারা ব্যয় করবে? বলে দাও, নিজেদের প্রয়োজনীয় ব্যয়ের পর যা বাঁচে তাই খরচ করবে। এভাবেই আল্লাহ তোমাদের জন্যে নির্দেশ সুস্পষ্টরূপে বর্ণনা করেন, যাতে তোমরা চিন্তা করতে পার"। (সূরাঃ আল বাকারা, আয়াতঃ ২১৯)



"আমি কোরআনকে সহজ করে দিয়েছি বোঝার জন্যে। অতএব, কোন চিন্তাশীল আছে কি? " (সূরাঃ আল ক্বামার, আয়াতঃ ১৭)


উপরোক্ত আয়াত দ্বারা মুমিনদের বলা হচ্ছে তাঁরা যেন আল্লাহর নির্দেশ সমূহ নিয়ে চিন্তা ভাবনা করে। মুমিনদের যেকোনো বিষয় জানার জন্য কুরআনকে সহজ করে দেওয়া হয়েছে। সুতরাং তাঁরা যেন কুরআন নিয়ে চিন্তা করে।




সকল দ্বীনের উপর বিজয়ীঃ

আল্লাহ্ রাসুলুল্লাহ সাঃকে কুরআন দান করেছেন যাতে ইসলাম অন্য সকল ভ্রান্ত ধর্মের উপর বিজয়ী হতে পারে। আল্লাহ্ বলেন,


" তিনিই তাঁর রাসূলকে হিদায়াত ও সত্যদ্বীন দিয়ে প্রেরণ করেছেন, যাতে তিনি সকল দ্বীনের উপর তা বিজয়ী করে দেন। যদিও মুশরিকরা তা অপছন্দ করে। " (সূরা আস-সফ-৯)


"তিনিই প্রেরণ করেছেন আপন রসূলকে হেদায়েত ও সত্য দ্বীন সহকারে, যেন এ দ্বীনকে অপরাপর দ্বীনের উপর জয়যুক্ত করেন, যদিও মুশরিকরা তা অপ্রীতিকর মনে করে। "(সূরাঃ আত তাওবাহ, আয়াতঃ ৩৩)

অতএব পবিত্র কুরআন হচ্ছে সত্য দ্বীনের সাক্ষী। এই কুরআন হচ্ছে অন্যান্য সকল ভ্রান্ত ধর্ম বাতিল হওয়ার নির্দশন।






সুবিচার প্রতিষ্ঠা করাঃ

আল্লাহ্ পবিত্র কুরআন প্রেরণ করেছেন যাতে এই বিশ্বে সুবিচার প্রতিষ্ঠা হয়। যখন জাহেলি যুগে পৃথিবী ছিলো পাশবিক ও অমানবিকায় অন্ধকারে পরিপূর্ণ, তখনই আল্লাহ পৃথিবীতে নাযিল করেন পবিত্র কুরআন। যাতে অমানবিক পৃথিবীতে মানবিক সুবিচার প্রতিষ্ঠিত হয়। আল্লাহ তাআলা বলেন,


" নিশ্চয় আমি আমার রাসূলদেরকে স্পষ্ট প্রমাণাদিসহ পাঠিয়েছি এবং তাদের সঙ্গে কিতাব ও (ন্যায়ের) মানদন্ড - নাযিল করেছি, যাতে মানুষ সুবিচার প্রতিষ্ঠা করে।" (সূরা হাদীদ-২৫)


পূর্বের কিতাবের সত্যায়নকারীঃ

পবিত্র কুরআন হচ্ছে আল্লাহ্ প্রেরিত পূর্ববর্তী সকল কিতাবের সত্যায়নকারী। অর্থাৎ কুরআন এসেছে ইহুদি খ্রিস্টানদের যে কিতাব তাওরাত ইঞ্জিল তথা বাইবেলসহ যে ১০৪ টি কিতাব আল্লাহ দুনিয়ায় পাঠিয়েছেন তার সত্যতা হিসাবে। আগে যে ১০৪টি গ্রন্থ আল্লাহ ই পাঠিয়েছেন এবং এই কুরআনও আল্লাহ্ পাঠিয়েছেন তার স্বীকৃতি এবং প্রমাণ হচ্ছে কুরআন। আল্লাহ্ বলেন,



"তিনি (আল্লাহ্, হে রাসুল) আপনার প্রতি কিতাব (কুরআন) নাযিল করেছেন সত্যতার সাথে; যা সত্যায়ন করে পূর্ববর্তী কিতাবসমুহের। (সূরাঃ আল ইমরান, আয়াতঃ ৩)





"আমি আপনার প্রতি অবতীর্ণ করেছি সত্যগ্রন্থ (কুরআন), যা পূর্ববতী গ্রন্থ সমূহের সত্যায়নকারী এবং সেগুলোর বিষয়বস্তুর রক্ষণাবেক্ষণকারী"। (সূরাঃ আল মায়িদাহ, আয়াতঃ ৪৮)


"আর এটি পূর্ববর্তী কিতাব সমুহকে সত্যায়ন করে, যেমন তওরাত"। (সূরাঃ আল ইমরান, আয়াতঃ ৫০)


কুরআন এসেছে প্রচারের জন্যঃ

পবিত্র কুরআন এসেছে কুরআনে কী আছে তা প্রচার করার উদ্দেশ্যে। অর্থাৎ আল্লাহ কুরআন দ্বারা তাঁর তাওহীদ প্রতিষ্ঠা এবং শির্কের বিনাশ চান। সেইসাথে পূর্ববর্তী কিতাবের সত্যায়ন, পৃথিবীতে শান্তি এবং শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠা করা। এইসব প্রচার প্রসার করার উদ্দেশ্যেই আল্লাহ্ কুরআন নাযিল করেছেন। আল্লাহ বলেন,


"হে রাসূল, তোমার রবের পক্ষ থেকে তোমার নিকট যা নাযিল করা হয়েছে, তা পৌঁছে দাও" [সূরা মায়িদাহ : ৬৭]।




"আমার প্রতি এ কোরআন অবর্তীর্ণ হয়েছে-যাতে আমি তোমাদেরকে এবং যাদের কাছে এ কোরআন পৌঁছে সবাইকে ভীতি প্রদর্শন করি। " (সূরাঃ আল আনআম, আয়াতঃ ১৯)




" কিন্তু আল্লাহ তা’আলার বাণী পৌছানো ও তাঁর পয়গাম প্রচার করাই আমার কাজ। যে আল্লাহ ও তাঁর রসূলকে অমান্য করে, তার জন্যে রয়েছে জাহান্নামের অগ্নি। তথায় তারা চিরকাল থাকবে। " (সূরাঃ আল জিন, আয়াতঃ ২৩)








কুরআন হচ্ছে উপদেশঃ


পবিত্র কুরআন এসেছে বিশ্ববাসীর জন্য উপদেশ হিসাবে। যাতে পৃথিবীর মানুষেরা আল্লাহ্ সম্পর্কে জানতে পারে। সেইসাথে এর থেকে কল্যাণ গ্রহণ করে নিজেদের জাহান্নামের আগুন থেকে বাঁচাতে পারে।আল্লাহ্ বলেন,


" আমি তোমাদের প্রতি একটি কিতাব অবর্তীর্ণ করেছি; এতে তোমাদের জন্যে উপদেশ রয়েছে। তোমরা কি বোঝ না? " (সূরাঃ আম্বিয়া, আয়াতঃ ১০)



"আর এটাই আপনার পালনকর্তার সরল পথ। আমি উপদেশ গ্রহণকারীদের জন্যে আয়াতসমূহ পুঙ্খানুপুঙ্খ বর্ননা করেছি। " (সূরাঃ আল আনআম, আয়াতঃ ১২৬)




"এটি একটি গ্রন্থ, যা আপনার প্রতি অবতীর্ণ হয়েছে, যাতে করে আপনি এর মাধ্যমে ভীতি-প্রদর্শন করেন। অতএব, এটি পৌছে দিতে আপনার মনে কোনরূপ সংকীর্ণতা থাকা উচিত নয়। আর এটিই বিশ্বাসীদের জন্যে উপদেশ। " (সূরাঃ আল আ'রাফ, আয়াতঃ ২)



"হে মানবকুল, তোমাদের কাছে উপদেশবানী এসেছে তোমাদের পরওয়ারদেগারের পক্ষ থেকে এবং অন্তরের রোগের নিরাময়, হেদায়েত ও রহমত মুসলমানদের জন্য। " (সূরাঃ ইউনুস, আয়াতঃ ৫৭)


"আমি স্বয়ং এ উপদেশ গ্রন্থ অবতারণ করেছি এবং আমি নিজেই এর সংরক্ষক। "(সূরাঃ হিজর, আয়াতঃ ৯)



"এবং এটা একটা বরকতময় উপদেশ, যা আমি নাযিল করেছি। অতএব তোমরা কি একে অস্বীকার কর? " (সূরাঃ আম্বিয়া, আয়াতঃ ৫০)



উপরোক্ত আয়াত গুলো দ্বারা আল্লাহ্ সুস্পষ্টভাবে বর্ণনা করেন যে পবিত্র কুরআন হচ্ছে একটি উপদেশ সম্বলিত গ্রন্থ। অতএব বিশ্ববাসীর উচিত এই উপদেশ গ্রহণ করা।




রাসুলুল্লাহর স্বীকৃতি হচ্ছে কুরআনঃ


পবিত্র কুরআন নাযিল হয়েছে হযরত মুহাম্মদ সাঃকে রাসুল হিসাবে স্বীকৃতি দেওয়ার জন্য। আল্লাহ্ কুরআনে সুস্পষ্ট ঘোষণা দিয়েছেন যে, মুহাম্মদ সাঃ হচ্ছেন আল্লাহর রাসুল এবং শেষ নবী। আল্লাহ্ বলেন,


" আমি আপনাকে (হে রাসুল) সত্যদ্বীনসহ সুসংবাদদাতা এবং ভয় প্রদর্শনকারী হিসেবে প্রেরণ করেছি, জাহান্নামীদের সম্বন্ধে তোমাকে কোন প্রশ্ন করা হবে না। "(সূরা বাকারা ২ :১১৯)


"মুহাম্মদ সাঃ তোমাদের কোন ব্যক্তির পিতা নন; বরং তিনি আল্লাহর রাসূল এবং শেষ নবী। আল্লাহ সব বিষয়ে জ্ঞাত। " (সূরাঃ আল আহযাব, আয়াতঃ ৪০)


" হে মুমিনগণ, তোমরা ঈমান আন আল্লাহর প্রতি, তাঁর রাসূলের প্রতি এবং সে কিতাবের প্রতি যা তিনি তাঁর রাসূলের উপর নাযিল করেছেন এবং সে কিতাবের প্রতি যা তিনি পূর্বে নাযিল করেছেন। "(আন নিসা ৪ : ১৩৬)



" নিশ্চয় আপনি প্ররিত রাসূলগণের একজন। সরল পথে প্রতিষ্ঠিত।’’ [সূরা ইয়াসিন, আয়াত: ৩-৪]





‘‘আমি আপনাকে সমগ্র জগতের প্রতি কেবল রহমতরূপেই প্রেরণ করেছি।’’ [ আল-আম্বিয়া, আয়াত: ১০৭]





‘‘হে নবী! আমি আপনাকে পাঠিয়েছি সাক্ষ্যদাতা, সুসংবাদ দাতা, ভীতি প্রদর্শক ও উজ্জ্বল প্রদীপরূপে।’’ [সূরা আল-আহযাব, আয়াত: ৪৫-৪৬]


“নিশ্চয় তোমাদের জন্য আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লামের জীবনেই রয়েছে সর্বোত্তম আদর্শ।” [সূরা আল-আহযাব, আয়াত: ২১]



উপরোক্ত আয়াত দ্বারা আল্লাহ্ হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসল্লামের রিসালাতের ঘোষণা দিয়েছেন। তিনি যে সত্য নবী ও রাসুল এবং তাঁর অনুসরণেই বিশ্ববাসীর মুক্তি সেটাও স্পষ্ট করে জানিয়ে দিয়েছেন।





কুরআন এসেছে সতর্কবাণী হয়েঃ

পবিত্র কুরআন নাযিল হয়েছে বিশ্ববাসীর জন্য সতর্কবার্তা হয়ে। যাতে মানুষ আল্লাহ্ বিরোধী হয়ে তাঁর ক্রোধে নিমজ্জিত না হয়। মানুষ যেন আল্লাহ্ কে চিনে তাঁর দেখানো পথে চলতে পারে সেই কারণে কুরআন নাযিল হয়েছে।



আল্লাহ্ বলেন,


" এমনিভাবে আমি আরবী ভাষায় কোরআন নাযিল করেছি এবং এতে নানাভাবে সতর্কবাণী ব্যক্ত করেছি, যাতে তারা আল্লাহভীরু হয় অথবা তাদের অন্তরে চিন্তার খোরাক যোগায়। " (সূরাঃ ত্বোয়া-হা, আয়াতঃ ১১৩)



" বলুনঃ আমি তো কেবল ওহীর মাধ্যমেই তোমাদেরকে সতর্ক করি, কিন্তু বধিরদেরকে যখন সতর্ক করা হয়, তখন তারা সে সতর্কবাণী শোনে না। " (সূরাঃ আম্বিয়া, আয়াতঃ ৪৫)





কুরআন এসেছে সুসংবাদ দিতেঃ

আল্লাহ্ কুরআন প্রেরণ করেছেন বিশ্ববাসীর জন্য সুসংবাদ দিয়ে। অর্থাৎ যারা আল্লাহকে চিনে জেনে মেনে নিয়ে তাঁর মনোনীত দ্বীনের উপর শেষ পর্যন্ত অবিচল থাকে তাদের জন্য রয়েছে আল্লাহর পক্ষ থেকে জান্নাতের সুসংবাদ।



আল্লাহ্ বলেন,


"তাদের সুসংবাদ দিচ্ছেন তাদের পরওয়ারদেগার স্বীয় দয়া ও সন্তোষের এবং জান্নাতের, সেখানে আছে তাদের জন্য স্থায়ী শান্তি।" (সূরাঃ আত তাওবাহ, আয়াতঃ ২১)




" এই কোরআন এমন পথ প্রদর্শন করে, যা সর্বাধিক সরল এবং সৎকর্ম পরায়ণ মুমিনদেরকে সুসংবাদ দেয় যে, তাদের জন্যে মহা পুরস্কার রয়েছে। " (সূরাঃ বনী ইসরাঈল, আয়াতঃ ৯)




" আমি কোরআনকে আপনার ভাষায় সহজ করে দিয়েছি, যাতে আপনি এর দ্বারা পরহেযগারদেরকে সুসংবাদ দেন এবং কলহকারী সম্প্রদায়কে সতর্ক করেন। "(সূরাঃ মারইয়াম, আয়াতঃ ৯৭)






অন্যান্য উপাস্যকে ভূলুন্টিত করতেঃ

পবিত্র কুরআনের দ্বারা আল্লাহ্ অন্যান্য সকল কথিত ভ্রান্ত উপাস্যকে বাতিল বলে ঘোষণা করেছেন। সমগ্র সৃষ্টি জগতের মালিক হচ্ছেন একমাত্র আল্লাহ্। তিনি ই একমাত্র উপাস্য।



আল্লাহ্ বলেন,

" যে কেউ আল্লাহর সাথে অন্য উপাস্যকে ডাকে, তার কাছে যার সনদ নেই, তার হিসাব তার পালণকর্তার কাছে আছে। নিশ্চয় কাফেররা সফলকাম হবে না। "(সূরাঃ আল মু'মিনূন, আয়াতঃ ১১৭)



"আপনি আল্লাহর সাথে অন্য উপাস্যকে আহবান করবেন না। তিনি ব্যতীত অন্য কোন উপাস্য নেই। আল্লাহর সত্তা ব্যতীত সবকিছু ধবংস হবে। বিধান তাঁরই এবং তোমরা তাঁরই কাছে প্রত্যাবর্তিত হবে। (সূরাঃ আল কাসাস, আয়াতঃ ৮৮)



"আর তোমাদের উপাস্য একইমাত্র উপাস্য। তিনি ছাড়া মহা করুণাময় দয়ালু কেউ নেই।" (সূরাঃ আল বাকারা, আয়াতঃ ১৬৩)




"আপনি বলুনঃ বল তো দেখি, যদি আল্লাহ তোমাদের কান ও চোখ নিয়ে যান এবং তোমাদের অন্তরে মোহর এঁটে দেন, তবে এবং তোমাদের আল্লাহ ব্যতীত এমন উপাস্য কে আছে, যে তোমাদেরকে এগুলো এনে দেবে? দেখ, আমি কিভাবে ঘুরিয়ে-ফিরিয়ে নিদর্শনাবলী বর্ণনা করি। তথাপি তারা বিমুখ হচ্ছে। " (সূরাঃ আল আনআম, আয়াতঃ ৪৬)

"হে কারাগারের সঙ্গীরা! পৃথক পৃথক অনেক উপাস্য ভাল, না পরাক্রমশালী এক আল্লাহ? " (সূরাঃ ইউসূফ, আয়াতঃ ৩৯)


উপরোক্ত আয়াতসহ আরো অসংখ্য দ্বারা আল্লাহ্ এই ঘোষণা দৃঢ় ভাবে দিয়েছেন যে, একমাত্র আল্লাহ্ ছাড়া আর কোনো ইলাহ বা উপাস্য নেই।



কুরআন সত্য মিথ্যার প্রভেদকারীঃ


পবিত্র কুরআন নাযিল হয়েছে মিথ্যাকে ধ্বংস করে সত্যকে প্রতিষ্ঠিত করতে। পৃথিবীতে এযাবৎ যত ধর্মের উৎপত্তি হয়েছে তাদের নিশ্চিহ্ন করতেই কুরআনের আগমন। এজন্যই কুরআন হচ্ছে সত্য -মিথ্যার পার্থক্যকারী। কুরআন সুস্পষ্ট নির্দশনের সাথে দলীল সহকারে নাযিল হয়েছে। যাতে কুরআন দ্বারা মানুষ বুঝতে পারে সত্য এবং প্রকৃত উপাস্য কে এবং প্রকৃত ধর্ম কী।


আল্লাহ্ বলেন,

" রমযান (হলো সে) মাস যে মাসে কুরআন অবতীর্ণ করা হয়েছে, (কুরআন) মানব জাতির জন্য পথনির্দেশিকা এবং স্পষ্ট তথ্য-ধারণকারী পথনির্দেশিকা ও সত্য-মিথ্যার মধ্যে পার্থক্যকারী। " (সূরা বাকারা ২:১৮৫)




"নিশ্চয় কোরআন সত্য-মিথ্যার ফয়সালা। "(সূরাঃ আত্ব-তারিক্ব, আয়াতঃ ১৩)





কুরআন হচ্ছে শরীয়তের দলিলঃ

ঈমান এনে যারা নিজেদের মুসলিম দাবি করে, তাদের জন্য এই কুরআন হচ্ছে শরিয়তের দলিল। যা থেকে মুসলমারা যাবতীয় আইন বিধিবিধান বিচার ফয়সালা ইত্যাদি মেনে চলবে।


আল্লাহ্ বলেন

"এরপর আমি আপনাকে রেখেছি ধর্মের এক বিশেষ শরীয়তের উপর। অতএব, আপনি এর অনুসরণ করুন এবং অজ্ঞানদের খেয়াল-খুশীর অনুসরণ করবেন না। " (সূরাঃ আল জাসিয়া, আয়াতঃ ১৮)



"আমি আপনার জন্যে সহজ শরীয়ত সহজতর করে দেবো। " (সূরাঃ আল আ'লা, আয়াতঃ ৮)

"(হে নবী মুহাম্মাদ!) তোমার রবের পক্ষ থেকে তোমার কাছে যে ওহী আসে তুমি সেটারই অনুগত্য-অনুসরণ করে চলো। "[সূরা আনআম ১০৬]

"(হে মুমিনগণ!) তোমাদের রবের পক্ষ থেকে (নবী মুহাম্মাদের উপর) তোমাদের জন্য (শরীয়ত হিসেবে) যা নাজিল করা হয়েছে, তোমরা তার অনুগত্য করে চলো। আর তাঁকে বাদ দিয়ে (অন্য কোনো) অভি ভাবকের অনুগত্য-অনুসরণ করো না। "[সূরা আ’রাফ ৩]



"আর (হে নবী মুহাম্মাদ!) আল্লাহ তোমার কাছে নাজিল করেছেন আল-কিতাব (কুরআন) এবং হিকমাহ্ (সুন্নাহ)"। [সূরা নিসা ১১৩]




উপরোক্ত আলোচনায় আমরা কুরআনের দলিল থেকে বুঝতে পারলাম যে, কেন এবং কী কারণে আল্লাহ্ পবিত্র কুরআন নাযিল করেছেন। পৃথিবীতে আল্লাহ্ কোনো কিছুই অনর্থক সৃ‌ষ্টি করেননি। সেই হিসাবে পবিত্র কুরআনও আল্লাহ্ নিরর্থক কারণে পৃথিবীতে পাঠাননি। যেসব কারণে আল্লাহ্ পবিত্র কুরআন এই দুনিয়ায় মানুষের জন্য পাঠিয়েছেন, আমাদের প্রত্যেকের উচিত সেইসব কাজ গুলো ভালোমতো পালন করা। তাহলেই আমরা আল্লাহর কাছে তাঁর প্রিয় বান্দা হতে পারবো। আসুন আমরা কুরআন শিখে এবং বুঝে মেনে চলার চেষ্টা করি।








সাখাওয়াতুল আলম চৌধুরী


২৫ অক্টোবর ২০২১ ইংরেজী
পতেঙ্গা, চট্টগ্রা

সর্বশেষ এডিট : ০১ লা এপ্রিল, ২০২২ বিকাল ৩:৩৩
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ইসরায়েল

লিখেছেন সাইফুলসাইফসাই, ১৬ ই এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১০:৪৮

ইসরায়েল
সাইফুল ইসলাম সাঈফ

এ মাকে হত্যা করেছে ইসরায়েল
এ বাবাকে হত্যা করেছে ইসরায়েল
নিরীহ শিশুদের হত্যা করেছে ইসরায়েল
এই বৃ্দ্ধ-বৃদ্ধাদের হত্যা করেছে ইসরায়েল
এ ভাইক হত্যা করেছে ইসরায়েল
এ বোনকে হত্যা করেছে ইসরায়েল
তারা মানুষ, এরাও মানুষ,... ...বাকিটুকু পড়ুন

গ্রামের রঙিন চাঁদ

লিখেছেন আলমগীর সরকার লিটন, ১৬ ই এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:১২


গ্রামের ছায়া মায়া আদর সোহাগ
এক কুয়া জল বির্সজন দিয়ে আবার
ফিরলাম ইট পাথর শহরে কিন্তু দূরত্বের
চাঁদটা সঙ্গেই রইল- যত স্মৃতি অমলিন;
সোনালি সূর্যের সাথে শুধু কথাকোপন
গ্রাম আর শহরের ধূলি... ...বাকিটুকু পড়ুন

পাহাড়পুর বৌদ্ধবিহার।

লিখেছেন নাহল তরকারি, ১৬ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:১৭



পাহাড়পুর বৌদ্ধ বিহারের ধ্বংসাবশেষঃ
পালবংশের দ্বিতীয় রাজা শ্রী ধর্মপালদেব অষ্টম শতকের শেষের দিকে বা নবম শতকে এই বিহার তৈরি করছিলেন।১৮৭৯ সালে স্যার কানিংহাম এই বিশাল কীর্তি আবিষ্কার করেন।... ...বাকিটুকু পড়ুন

পরবাসী ঈদ

লিখেছেন মঞ্জুর চৌধুরী, ১৬ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:২৩

আমার বাচ্চারা সকাল থেকেই আনন্দে আত্মহারা। আজ "ঈদ!" ঈদের আনন্দের চাইতে বড় আনন্দ হচ্ছে ওদেরকে স্কুলে যেতে হচ্ছে না। সপ্তাহের মাঝে ঈদ হলে এই একটা সুবিধা ওরা পায়, বাড়তি ছুটি!... ...বাকিটুকু পড়ুন

×