আপনি কে? আপনার পরিচয় কি? ভারতীয় না পাকিস্তানি? নাকি বাংলাদেশি? এটা এখন কোটি টাকার প্রশ্ন। দেশের স্বার্থে কিছু বলতে গিয়ে তা যদি ভারতের পক্ষে যায় তাহলে একদল আপনাকে রাতারাতি ভারতীয় দালাল বানাবে আবার যদি পাকিস্তানের স্বার্থে কোন কথাবার্তা যায় তাহলে রাতারাতি আপনি পাকিস্তানি রাজাকার হয়ে যাবেন। ভাইরে, থুতু উপরে ছিটালে মুখেই পরে রাস্তায় নয়।
ভারত কিংবা পাকিস্তান এই দুইয়ের চাপে পরে কখন যে, আপনার বাংলাদেশী পরিচয়টি ফুরুৎ করে ঘায়েব হয়ে যাবে নয়তো গালি,খিস্তি,তপ্তবানে জর্জরিত হয়ে আত্মহত্যা করবে তা টেরও পাবেন না।
কথায় আছে, ব্যক্তির চেয়ে দল বড় দলের চেয়ে দেশ বড়। এখন চলছে, উল্টোটা, দেশের চেয়ে দল বড় আর দলের চেয়ে বক্তিস্বাথ বড়। রাজায় রাজায় যুদ্ধ করে প্রজার হালুয়া টাইট আমরা কারো প্রজা হয়ে থাকতে চাই না। আমাদের প্রজা বানায় এমন রাজাও পৃথিবীতে নেই৷ এটাই হোক বিশ্বাস।
কিছু মানুষ আছে, যাদের কোন দল নাই যাদের কোন ব্যক্তি স্বার্থ নাই। যেখানে অন্যায় সেখানেই তারা প্রতিবাদ মূখর।
সুযোগের অভাবে সাধু সেজা কোন কাজের কথা নয়, সুযোগ পেয়েও দুনীতিবাজদের দলে বিড়ে না যাওয়াই আসল কথা। এদেশে এখনো এমন মানুষের সংখ্যা নেহাত কম না৷
বেশ্যার ও একটা নীতি আছে,দায় আছে। তারা পেটের দায়ে শরীর বিক্রি করে কিন্তু দুনীতিবাজদের কোন নীতি নাই ব্যক্তির স্বার্থের জন্য নিজের আত্মা বিক্রি করে দেয়। মেকি চেতনার দোহাই দিয়ে রাতারাতি রাজাকার বা দালাল তকমা জুড়ে দেয়।
প্রকৃত দেশ প্রেমিকের কাছে দেশের স্বার্থ ই সবার আগে। দেশের স্বার্থের বিরুদ্ধে গিয়ে দলের সিদ্ধান্ত তারা মেনে নেয় না। প্রয়োজনে তারা দল, পদ মুহুর্তে ছাড়তে পারে কিন্তু এমন নেতা এখন কোথায়? সকলে রাজনীতি করে নিজ স্বার্থে, পদ ও ক্ষমতার মোহে।
এ মোহ থেকে মুক্ত হতে না পারলে প্রকৃত নেতা বা কর্মী হওয়া সম্ভব নয়। মনে, রাখতে হবে, রাজনীতি কোন পেশা নয়। রাজনীতি হচ্ছে,সেবা। কিন্তু এখন রাজনীতি হয়ে গেছে পেশা। যে পেশায় সব হয়।
দেশের দ্রব্য মুল্য বাড়লে কোন নেতা প্রতিবাদ করে না। কেউ ধর্ষিতা হলে প্রতিবাদ করে না। মিছিল বের করে না। অথচ চেতনার নামে, হত্যা করতেও কুন্ঠা বোধ করে না।
একজন মানুষের ক্ষুধা কতটুকু? কতটুকুই বা সে খেতে পারে? অথচ দুনীতির মাধ্যমে হাজার হাজার কোটি টাকা আয় করা যে তারা দুনীতির করে বিদেশে পাচার করে। এমন ও তো হয় পাচার সেই টাকা ভোগ করার আগেই সে মরে গেছে। তাহলে আত্মা বিক্রি করে পাওয়া এই টকা কার জন্যে রেখে যাবে? হারাম তো আরম দেয় না। শুনলাম,আমেরিকায় টাকা পাচারকারীরা নাকি আমেরিকা নাকি টাকা তাদের পাচার করা টাকা বাজেয়াপ্ত করতে পারে তাই তারা খুব টেনশনে আছে।
আসুন সাময়িক চেতনাখোর না হয়ে, প্রকৃত দেশ প্রেমিক হই। অন্যায়ের প্রতিবাদ করি। গঠনমূলক সমালোচনা করি। দেশটা সকলের কারো ব্যক্তিগত সম্পদ নয়৷ দিন শেষে সবাই বাংলাদেশি তাই বিদেশি ইন্ধনে রাজনৈতিক প্রতিহিংসার পরায়ণ না হই।। তাতে কিন্তু আলু পোড়া অন্যে খাবে আপনার ভাগ্যে কিছু ঝুটবে না। তাই দল কানা নয় চাই দেশ কানা। দল কানা হলে চোখে জ্যোতি থাকবে না আর দেশে কানা হয়ে মারা গেলেও জ্যোতির অভাব হবে না।
ভারত মুক্তিযুদ্ধে সহায়তা দিয়েছে বলে মাথা নত করে থাকার কিছু নেই আবার পাকিস্তান ৭১ রে নির্যাতন করে বলে এখনো শক্রুতা বজায় রাখার কিছু নেই। তাদের নির্যাতনের জবাব এদেশে মানুষ দিয়েছে। যে শিক্ষা তারা পেয়েছে, সেটা ভুলে যাওয়া তাদের পক্ষে ও কোনদিন সম্ভব নয়৷
বর্তমান বিশ্বায়নের যুগে কোন দেশ ই বন্ধু না আবার কোন দেশ ই শক্রু না। দেশের স্বার্থ যেখানে আঘাত লাগবে সেখানেই অবস্থান নিতে হবে৷ পাওনা আদায় করে নিতে হবে। কারন দেশে দেশে সম্পর্ক ব্যক্তি সম্পর্ক নয় যে, ছাড় দেওয়া যাবে। রঙ্গ তামাশা চলবে।
বি.দ্র. মোবাইলে টাইপ করেছি তাই বানান ভুল থাকা অস্বাভাবিক কিছু না।
সর্বশেষ এডিট : ২১ শে ডিসেম্বর, ২০২১ রাত ১০:২৯