somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পোস্টটি যিনি লিখেছেন

সাখাওয়াত হোসেন  বাবন
ব্লগিং শুরু করি প্রথম আলো ব্লগে "আমার কবিতা নামে" আমি ব্লগিং করি মূলত নিজের ভেতরে জেগে উঠা ব্যর্থতা গুলোকে ঢেকে রাখার জন্য । দুনীতিবাজ, হারামখোর ও ধর্ম ব্যবসায়িদের অপছন্দ করি ।

গোলামদের শাসনে প্রভূদের প্রতিক্রিয়া ক্যামন হবে ?

২৫ শে অক্টোবর, ২০২২ সকাল ১১:২৬
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



এক সময় ব্রিটিশরা বিশ্ব শাসন করেছে । বিশেষ করে ভারতীয় উপমহাদেশে মুসলিম শাসনের অবসান ঘটিয়ে সেখানে তাদের শাসন কায়েম করা ছিলো অনেক চ্যালেঞ্জের ব্যাপার । এ ক্ষেত্রে তাদের প্রধান প্রতিপক্ষ ছিলো মুসলিম শাসক নয় ফরাসীরা । সেই কাজটাই অত্যন্ত নিপুণ দক্ষতার সঙ্গে করেছে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির হর্তাকর্তারা । আর এ কাজে তাদের সবচেয়ে বেশি সাহায্য করেছে , ভারতীয় উপমহাদেশে বসবাস করা হিন্দু পূজারী ও বণিক শ্রেণী । মুসলিমরা যখন, নিজেদের অস্তীরের জন্য ইংরেজদের বিরুদ্ধে লড়ছিল হিন্দুরা তখন ইংরেজদের সান্নিধ্য লাভে সচেষ্ট ছিল । সাধারণ হিন্দুরা কিন্তু এসব চক্রান্ত থেকে দূরে ছিলো । বিনিময়ে তাদের প্রত্যাশা ছিলো, ইংরেজ প্রভুদের করুণা, দয়া,দাক্ষিণ্য ও সুদৃষ্টি । এখানে, কথা প্রসঙ্গে বলি, "দুর্গা পূজার সূচনা কিন্তু তখন থেকেই শুরু । " নিজেদের পাপ কাজে সাধারণ হিন্দুদে'র সম্পৃক্ত করাই ছিলো দুর্গা পূজা আয়োজন করার মূল উদ্দেশ্য । ধর্মের নামে সব চলে । এটা পূজারী ও ইংরেজ প্রভুরা খুব ভাল করে জানতেন ।

ভারতীয় উপমহাদেশে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির এতোটা সাফল্য তৎকালীন ইংল্যান্ডের ক্ষমতায় থাকা রাজা,রাণী বা শাসন ক্ষমতায় থাকা কর্তারা আশা করেনি । কিন্তু ভারতীয় উপমহাদেশ থেকে লুটতরাজের ফলে সম্পদে পাহাড় দেখে তাদের লোভ বেড়ে যায় । ধীরে ধীরে ইংল্যান্ডের রাজনীতিতে ভারতীয় উপমহাদেশে শাসন টিকিয়ে রাখা গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠে । এর ফলে ইংল্যান্ডের জৌলুস বেড়ে যায় । ভারতীয় উপমহাদেশে ইষ্ট ইন্ডিয়া কোম্পানিকে বাণিজ্য করার অনুমতি দেওয়ার কারণে, ইংল্যান্ডের শাসন ব্যবস্থায় রাণীর গুরুত্ব বৃদ্ধি পায় । রাণীর প্রতি কৃতজ্ঞতা স্বরূপ রানীর মুকুটে উঠে আসে, ভারত থেকে লুট করে নিয়ে যাওয়া মুসলিমদের সর্ম্পদ মহামূল্যবান হিরা কহিনুর ।

মজার ব্যাপার হচ্ছে, এই ইষ্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি কিন্তু কোন রাজনৈতিক দল ছিলো না । সেটি ছিলো, ব্রিটিশ ব্যবসায়ী কর্তৃক পরিচালিত একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান মাত্র । ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি ভারতীয় উপমহাদেশে বাণিজ্য করার জন্য ষোড়শ শতাব্দীতে প্রতিষ্ঠিত একটি জয়েন্ট‌-স্টক কোম্পানির নাম । যার সরকারি নাম "ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি"।

ইংল্যান্ডের তৎকালীন রাণী প্রথম এলিজাবেথ এই কোম্পানিকে ভারতীয় উপমহাদেশে বাণিজ্য করার রাজকীয় সনদ বা অনুমতি প্রদান করেছিলেন ১৬০০ সালের ৩১ ডিসেম্বর। যারা আন্ত:জাতিক ব্যবসার সঙ্গে জড়িত ছিলো । যাদের মূল কাজ ছিলো, অন্যান্য দেশ থেকে প্রয়োজনীয় পণ্য এনে ইংল্যান্ডে বিক্রি করা । অর্থাৎ এক কথায় সাপলাইয়ার ।

( লুট করা কহিনূর শোভা পাচ্ছে রাণীর মুকুটে । )

কিন্তু ভারতীয় উপমহাদেশে ব্যবসা করার অনুমতি পেয়ে, মুসলিম শাসকদের উদারতা,দুর্বলতা, মুসলিম ও হিন্দুদের কর্মচারীদের বিশ্বাস ঘাতকতার ফলে , ভারতীয় উপমহাদেশকে তারা দু'শো বছর গোলাম বানিয়ে ফেলতে স্বক্ষম হয় ।

এতো কিছুর পর কিন্তু ইংল্যান্ড এই উপমহাদেশকে তারা নিজেদের সাথে অন্ত:ভুক্ত করেনি । তার কারণ ছিলো , গোলাম'দের কখনো তারা নিজেদের জাতে উঠতে দিতে চায়'নি । তাই যতো দিন পেড়েছে, শাসন করে শুষে খেয়ে । এক প্রকার বিনা রক্ত পাতে ছেড়ে দিয়ে চলে গেছে ।

দিনে দিনে পানি অনেক, গড়িয়েছে । গোলামেরা ইংল্যান্ডে পাড়ি দিয়েছে। ফুট,ফরমাশ খেটে, খুটে অড জব করে । নিজেদের কমিউনিটিতে ছেলে, মেয়ে জন্ম দিয়ে সে দেশে স্থায়ী হয়েছে ।

জেনারেশনের পর জেনারেশনে ইংরেজদের মধ্যে অনেক পরিবর্তন এসেছে । ধীরে ধীরে সেই গোলামেরা নিজেদের যোগ্যতা , মেধা ও প্রজ্ঞা দিয়ে ইংল্যান্ডের মূল রাজনীতিতে ঢুকে পরেছে । বৈষম্য কিন্তু মরে যায়নি এখনো আছে ।

এই গোলাম বলতে কিন্তু শুধু ভারতীয় উপমহাদেশ নয় এশিয়া, আফ্রিকা , মধ্যপ্রাচ্য অর্থাৎ যেখানে যেখানে ইংরেজদের শাসন ব্যবস্থা কায়েম ছিলো সেখানকার নেটিভদেরকেই বুঝানো হতো ।

এবার সেই গোলামেরা বসেছে ইংল্যান্ডে প্রধানমন্ত্রীর পদে । যার পিতা শুনেছি, জন্মেছেন কেনিয়ায়, মা ছিলেন নাকি পাকিস্তানী । কিন্তু উনি আবার নামে ঋষি । দেখা যাক গোলামদের শাসন ইংল্যান্ডে কতদিন টিকে । কিংবা গোলামদের শাসনে প্রভুদের প্রতিক্রিয়া ক্যামন হয় ।

সাখাওয়াত বাবনে'র ব্লগাংশ
২৫।১০।২২
সর্বশেষ এডিট : ২৫ শে অক্টোবর, ২০২২ দুপুর ১:১২
১৩টি মন্তব্য ১১টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ছবিতে গণতন্ত্রের নামে মবতন্ত্র

লিখেছেন জ্যাক স্মিথ, ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৩:১০



তথাকথিত গণতন্ত্রকামীদের পীর আল্লামা পিনাকী এবং ছোট হুজুর ইলিয়াস মোল্লার উস্কানীতে দেশজুড়ে চলছে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার নামে মবতন্ত্র। আল্লামা পিংকুর যুক্তি হচ্ছে- যে বা যারাই তাদের (গণতন্ত্রকামীদের) সূরে কথা না... ...বাকিটুকু পড়ুন

ভারতীয় আগ্রাসনবিরোধী বিপ্লবীর মৃত্যু নেই

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৩:৩৭



শরিফ ওসমান হাদি। তার হাদির অবশ্য মৃত্যুভয় ছিল না। তিনি বিভিন্ন সভা-সমাবেশ, আলোচনা ও সাক্ষাৎকারে বক্তব্য দিতে গিয়ে তিনি অনেকবার তার অস্বাভাবিক মৃত্যুর কথা বলেছেন। আওয়ামী ফ্যাসিবাদ ও ভারতবিরোধী... ...বাকিটুকু পড়ুন

আজকের ডায়েরী- ১৭৩

লিখেছেন রাজীব নুর, ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:৩৪



গত কয়েকদিন আমি চিনি ছাড়া চা খাচ্ছি।
সারাদিনে মাত্র দুই কাপ চা। আগে চা খেতাম কমপক্ষে ৮ থেকে দশ কাপ। সবচেয়ে বড় কথা চা যেমন-তেমন, সিগারেট খাচ্ছি না।... ...বাকিটুকু পড়ুন

পাকিস্তান ও চীন কি ভারত-বাংলাদেশ যুদ্ধ বাধাতে চায়?

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১১:৩১



ভারত-বাংলাদেশ যুদ্ধে পাকিস্তান ও চীনের লাভ আছে। যুদ্ধে বাংলাদেশ ক্ষতিগ্রস্থ্য হলে ভারত বিরোধীতায় তারা সহজে বাংলাদেশীদের তাদের পাশে পাবে। বাংলাদেশের নিরাপত্তার অযুহাতে এখানে তারা সামরিক ঘাটি স্থাপনের সুবিধার... ...বাকিটুকু পড়ুন

প্রচুর ব্লগিং করুন, কিন্তু......

লিখেছেন জটিল ভাই, ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১:৫৯

♦أَعُوْذُ بِاللهِ مِنَ الشِّيْطَانِ الرَّجِيْمِ (বিতাড়িত শয়তান থেকে আল্লাহ্'র নিকট আশ্রয় প্রার্থনা করছি)
♦بِسْمِ ٱللَّٰهِ ٱلرَّحْمَٰنِ ٱلرَّحِيمِ (পরম করুণাময় অসীম দয়ালু আল্লাহ্'র নামে)
♦ٱلسَّلَامُ عَلَيْكُمْ (আপনার উপর শান্তি বর্ষিত হোক)


(ছবি নেট হতে)

তা... ...বাকিটুকু পড়ুন

×