somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পোস্টটি যিনি লিখেছেন

সাখাওয়াত হোসেন  বাবন
ব্লগিং শুরু করি প্রথম আলো ব্লগে "আমার কবিতা নামে" আমি ব্লগিং করি মূলত নিজের ভেতরে জেগে উঠা ব্যর্থতা গুলোকে ঢেকে রাখার জন্য । দুনীতিবাজ, হারামখোর ও ধর্ম ব্যবসায়িদের অপছন্দ করি ।

চেরাগ আলী ও কালো যাদু - তৃতীয় পর্ব ( চেরাগ আলী সিক্যুয়েল )

০৮ ই মে, ২০২৫ বিকাল ৪:৪১
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



লাল টকটকে বর্ণ ধারণ করে সূর্যটা ধীরে ধীরে পশ্চিম আকাশে হেলে পড়েছে দ্রুত ঘনিয়ে আসছে অন্ধকার । কূল বিহীন সমুদ্রে পথ হারা নাবিকের মতো বিস্তীর্ণ প্রান্তরে ছুটছি সামান্য একটু নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজে । দ্রুত হাঁটতে গিয়ে একসময় রীতিমতো দৌড়তে লাগলাম । ঘেমে জবজবে হয়ে উঠেছে পুরো শরীর ।

অন্ধকার নেমে আসার সাথে সাথে শেয়ালগুলোর সাহস বেড়ে যাচ্ছে । কিছুক্ষণ আগে পথের দু,পাশের নল খাগড়ার ভেতর দিয়ে শরীর লুকিয়ে হাটলে ও অন্ধকার নেমে আসার সাথে সাথে একটা, দু'টো করে উঠে এসেছে পথের উপর । আমার সাথে নিদৃষ্ট একটা দূরত্ব রেখে বেশে আয়েশী ভঙ্গিতে পিছু পিছু দৌড়চ্ছে। আমি দাঁড়ালে শেয়ালের পালও দাঁড়িয়ে পড়ছে । হুশ হুশ করে তাড়ালে ও নড়ছে না । হলুদ দৃস্টি মেলে ভাবলেশ হীন দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকছে আমার দিকে ।

প্রকৃত সাধু সন্ন্যাসীরা একান্ত প্রয়োজন না হলে কখনোই প্রাণী হত্যা করেন না। তবে জীবন রক্ষা করা ফরজ। যদি আক্রান্ত হই, তবে প্রাণ বাঁচানোর জন্য আমাকে ও পাল্টা আক্রমণ করতে হবে। কিন্তু পাল্টা আক্রমণ যে করবো, আমার কাছে তো কোনো অস্ত্র নেই । আত্মরক্ষার জন্য একটি লাঠি হলেও কিছুটা সময় এদের সাথে লড়াই করে যেতে পারতাম।

ছুটতে ছুটতে আরেকটু সামনে এগিয়ে গিয়ে পথের বাঁ পাশে থাকা জলাভূমির মধ্যে গজিয়ে ওঠা নলখাগড়ার বন থেকে শক্তপোক্ত গোটা তিনটি ডাল ভেঙে নিলাম। তেমন মজবুত না হলেও আপাতত আত্মরক্ষার জন্য এর চেয়ে ভালো কোনো অস্ত্র নেই। এগুলো দিয়ে শেয়ালের পালকে কতক্ষণ আটকে রাখা যাবে, তা জানি না। আমাকে পথের পাশে নামতে দেখে কয়েকটি শেয়াল রাস্তার ওপর উঠে এসে উঁকি দিয়ে আমাকে লক্ষ্য করতে লাগলো । এক মূর্হুতের জন্যেও আমাকে দৃষ্টির আড়াল করতে চাইছে না । তাদের চালচলন এখনো একেবারে ধীর স্থির । শিকারকে অসহায় বুঝতে পেরে কোনো রকম অস্থিরতা দেখাচ্ছে না। হয়তো শরীরের সমস্ত শক্তি জমিয়ে রাখছে চূড়ান্ত আক্রমণের জন্য।

নলখাগড়ার ডাল নিয়ে দৌড়ে আবার উঠে এলাম পথের ওপর। শেয়ালগুলো এবার একটু পেছিয়ে গেল। আমি আরও দু'কদম তাদের দিকে এগিয়ে যেতেই তারা এবার তাকাল ডুবে যাওয়া সূর্যের দিকে। সূর্যের আলোর শেষ চিলতেটুকু তখনো ফুটে আছে দিগন্তসীমায়। ওটা ডুবে গেলেই হয়তো ওরা হামলে পড়বে আমার উপর । "স্বাক্ষাত যেন সাক্ষাৎ যমদূতকে দেখতে পাচ্ছি, আড়ালে দাঁড়িয়ে মিটিমিটি হাসছে।"

এক মুহূর্তও কালক্ষেপণের সুযোগ নেই। প্রাণে বাঁচতে হলে যা করার, তা এখনই করতে হবে। তাই ঊর্ধ্বশ্বাসে দৌড়তে শুরু করলাম। দৌড়াতে দৌড়াতে শুনতে পেলাম, অসংখ্য পায়ের আওয়াজ আমার পেছন পেছন ছুটে আসছে। যেকোনো মুহূর্তে আক্রান্ত হতে পারি—এই ভয় আমাকে সম্পূর্ণ গ্রাস করেছে।

এদিকে অন্ধকার ক্রমেই আরও ঘন হচ্ছে। সামনের কিছুই আর পরিষ্কার দেখা যাচ্ছে না। পুরোপুরি আন্দাজের ওপর ভরসা করেই ছুটে চলেছি। দৌড়ানোর মাঝেই একবার সাহস করে ঘাড় ঘুরিয়ে পেছনে তাকালাম। শেয়ালগুলো আর দেখা যাচ্ছে না। কিন্তু তাদের জায়গায় অসংখ্য স্ফুলিঙ্গের মতো জ্বলজ্বলে আলো চোখে পড়লে । যেনো জাহান্নাম থেকে উঠে আসা পিশাচের দল পিছু নিয়েছে আমার । একবার মনে হলো, আজ বুঝি আর রক্ষা নেই।

এইভাবে আরও কিছুক্ষণ দৌড়ানোর পর হঠাৎ অনুভব করলাম, শুধু পেছন থেকেই নয়, আমার দু'পাশ থেকে চট চট করে পায়ের শব্দ ভেসে আসছে। কিছুক্ষণ পরেই বুঝতে পারলাম, অসংখ্য জ্বলজ্বলে আলোগুলো চতুর্দিক থেকে ঘিরে ফেলেছে আমায়। দৌড়াতে দৌড়াতে তাদের শরীরের সঙ্গে আমার পা ধাক্কা খাচ্ছে। শিরশিরে একটা অনুভূতি নেমে গেলো শিরদাঁড়া বেয়ে । হায়! খোদা শেষ পর্যন্ত কিনা একদল শেয়ালের হাতে মরতে হবে ? ভেবে পাচ্ছিলাম না কি করবে । দৌড়নো ছাড়া জীবন বাঁচানোর আর কোন উপায় নেই । চারপাশ থেকে তারা ঘিরে ফেলেছে আমায় এখন থেমে গেলেই একসাথে ঝাঁপিয়ে পড়বে সবকটা আমার উপর। মুহূর্তের মধ্যে ছিঁড়ে ছিন্ন ভিন্ন করে ফেলবে শরীর ।

এভাবে আর কতক্ষণ দৌড়ানো সম্ভব? হৃদপিণ্ড চাপ নিতে পারছে না। শরীর ক্রমশ ক্লান্ত হয়ে পড়ছে। শ্বাসপ্রশ্বাস ঘন থেকে ঘনতর হয়ে উঠেছে। কনকনে ঠান্ডা বাতাস মুখে আছড়ে পড়ছে, কিন্তু সেই বাতাস প্রাণ ভরে নিতে পারছি না। শরীর বেয়ে ঘাম টপটপ করে ঝরছে। পা দুটো ক্রমেই ভারি হয়ে আসছে। মনে হচ্ছে, এখনই থেমে না গেলে যে কোন সময় হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে যাবে। কিন্তু থেমে যাওয়ার কথা ভাবতেই কল্পনায় দেখতে পেলাম ভয়ানক দৃশ্য: আমি পড়ে আছি পথের ধুলোয়, আর একদল শেয়াল আমার দেহ থেকে মাংস খুবলে খুবলে খাচ্ছে। হায় ঈশ্বর! এমন ভয়ংকর মৃত্যু যেন শত্রুরও না হয়।

তীব্র পিপাসায় গলা শুকিয়ে কাঠ হয়ে গেছে। ঢোক গিলতে পারছি না। মৃত্যু নিশ্চিত মৃত্যু বুঝতে পেরেও একসময় হাঁটু ভেঙ্গে পথের ওপর বসে পড়লাম, আর এক পা-ও এগোতে পারছি না। তারপর একসময় চিৎ হয়ে শুয়ে পরে জোরে জোরে শ্বাস নিতে লাগলাম । আকাশে তখন শোভা পাচ্ছে থোকায় থোকায় নক্ষত্র বীথিকা । তারাও যেন আমার মৃত্যুর দৃশ্যটা অবলোকন করার জন্য কৌতূহল দৃপ্ত দৃষ্টি মেলে উপুড় হয়ে তাকিয়ে আছে আমার ই দিকে ।

আমায় শুয়ে পড়তে দেখে চারপাশে ছুটতে থাকা অগ্নিস্ফুলিঙ্গগুলোও হঠাৎ থেমে গেল। আত্মসমর্পণ করছি—এটা বুঝতে পেরে শেয়ালের দল এবার আমাকে ঘিরে গোলাকার বৃত্ত তৈরি করলো। যেন তারা মহা উৎসবে যোগ দেওয়ার আগে শেষ প্রার্থনাটুকু সেরে নিচ্ছে । তাদের মধ্যে কোন ব্যস্ততা নেই । গুটিসুটি পায়ে শেয়ালের দল এগিয়ে এলো আমার দিকে । কয়েক সেকেন্ডের জন্য মনে হল জ্ঞান হারালাম ।


আবার যখন জ্ঞান ফিরে পেলাম তখন তীব্র উৎকট একটা গন্ধ এসে নাকে লাগলো । বুঝতে পারলাম গন্ধটা শেয়ালগুলোর শরীর থেকে আসছে । নাড়ি ভুঁড়ি উল্টে বের হয়ে আসতে চাইলো । দ্রুত উঠে বসে, হা..... রে.... হা... রে.... রে.... রে.... বিকট শব্দ করে হাতে থাকা নলখাগড়ার ডালগুলো মাথার উপর তুলে আপ্রাণ নাড়িয়ে বাঁধা দেওয়ার চেষ্টা করে যেতে লাগলাম ।

এতে কিছুটা কাজ হলো । শেয়ালগুলো হঠাৎ বাঁধা পেয়ে ছুটে পিছিয়ে গিয়ে নিজেদের সামলে নিয়ে আবার এগিয়ে আসতে লাগলো । এবার তার বেশ আক্রমনাত্মক । আর একটি মুর্হুতও দেরি করতে চাইছে না ।

ঠিক তখনি অদ্ভূত একটা ঘটনা ঘটলে । সে ঘটনাটা না ঘটলে আজ তোমরা আমাকে এখানে দেখতে পেতে না ।পেছন দিক থেকে ক্যাচ ক্যাচ শব্দ তুলে একটা গরুর গাড়ী এসে থামলো ঠিক আমার পাশে । পরিস্থিতি বুঝতে পেরে গাড়ি থেকে হুশ, হুশ, যা,.... যা,,,,, ভাগ..... ভাগ...... শব্দ করে লাফিয়ে নেমে এলো দু'জন ষান্ডামার্কা লোক । হাতে তাদের মোটা লম্বা বাঁশের লাঠি । দেখে লাঠিয়াল বলে মনে হলো । লোকদুটি গাড়ি থেকে নেমেই হাতে থাকা লাঠি দিয়ে পেটাতে লাগলো চারপাশে থাকা শেয়ালগুলোকে ।

মুহূর্তের মধ্যে পুরো পরিস্থিতি পাল্টে গেলো । শিকারি হয়ে গেলো শিকার । কুই কুই শব্দ তুলে শেয়ালের দল ছুটে রাস্তা ছেড়ে নেমে গিয়ে দাঁড়িয়ে রইলো ধান ক্ষেতের ভেতরে । আমি হতবিহব্বল হয়ে ঠায় বসে রইলাম । পুরো ঘটনাটা যেনো বিশ্বাস হচ্ছিলো না । শেয়ালের দল পালিয়ে যেতেই একজন এসে আমার পাশে হাঁটু ভেঙ্গে বসে অত্যন্ত মোলায়েম কণ্ঠে জিজ্ঞাসা করলো, "আপনি ঠিক আছেন তো ? "

আমি মাথা নেড়ে হ্যাঁ বলতেই সে উঠে চলে গেলো গাড়ির কাছে । তারপর গাড়িতে বসে থাকা কাউকে ফিসফিসে নিচু গলায় কিছু বলে , একটা পানির পাত্র নিয়ে আবার এগিয়ে এলো আমার দিকে । লোকটার হাত থেকে পানির পাত্র নিয়ে আকণ্ঠ পানি পান করলাম ।

এবার লোকটা তার দু পাশে দাড়িয়ে থাকা অন্যদের দিকে দৃষ্টি ঘোরাতেই তারা দু'পাশ থেকে আমার দু,বাহু ধরে দাঁড় করিয়ে দিলো । এই লোকগুলো কখন এসে পাশে দাড়িয়েছে টের পাইনি । আমাকে পানি খেতে দেওয়া লোকটা এবার বলল, "আমরা শহরের দিকে যাচ্ছি আপনি আমাদের সাথে চলুন । আপনাকে নিরাপদে লোকালয়ে পৌঁছে দিবো ।"

আমি কৃতজ্ঞ চিত্রে মাথা নেড়ে সম্মতি জানাতে লোকটি বলল, "আসুন গাড়িতে উঠে বসুন । এখান থেকে ঘণ্টা খানেক গেলেই লোকালয়ে পৌঁছে যাবো ।" আমি বিনা বাক্য ব্যয়ে গরুর গাড়িতে উঠে বসলাম ।

গরুর গাড়িটি বেশ বড় । কালো কুচকুচে বর্ণের বিশাল আকৃতির হৃষ্টপুষ্ট দু'টো ষাড় গাড়ির সাথে বাঁধা । আমি এগিয়ে যেতেই সে দুটো মাথা তুলে ফোস ফোস শব্দ করলো । গাড়ির মাঝামাঝি একটা পর্দা দেওয়া । পর্দার ওপাশে একজন নারী বসে আছেন ।

লোকটা এগিয়ে এসে আমাকে গাড়িতে বসিয়ে দিতে চাইলে, আমি বাঁধা দিয়ে বললাম, "ধন্যবাদ ভাই । আমি নিজেই পারবো।" পানি পান করার পর শরীরের বল অনেকটাই ফিরে এসেছে। ছোট একটা লাফ দিয়ে গাড়িতে উঠে বসলাম। লোকটা চালকের আসনে উঠে বসতেই, কাঠের চাকায় ক্যাচ ক্যাচ শব্দ তুলে গরু দুটি হাঁটতে শুরু করলো।

প্রচণ্ড উত্তেজনার পর আরাম পেয়ে, সেই সাথে গরুর গাড়ির মৃদু দুলুনিতে চোখের পাতা লেগে গিয়েছিল। চোখ বন্ধ করার আগে মনে হলে যেনো পর্দার আড়াল থেকে অপরূপ রূপবতী এক নারী হাসি হাসি মুখে করে স্ব স্নেহে তাকিয়ে আছে আমার দিকে । খুব পরিচিত মনে হলো সে মুখশ্রী । কোথায় যেনো তাকে দেখেছি ঠিক মনে করতে পারলাম ।

হঠাৎ এক ঝাঁকুনিতে চোখের সামনে ভাসতে থাকা মুখটা হারিয়ে গেলো । চোখ খুলে দেখি লোকালয়ে চলে এসেছি। গরুর গাড়িটি একটা মন্দিরের সামনে দাঁড়িয়ে আছে।

আমি চোখ খুলে আশেপাশে তাকাতেই "চালকের আসনে বসে থাকা ব্যক্তিটি আমার হাতে কাগজের মতো কিছু একটা গুঁজে দিয়ে বলল, 'আপনি আজ রাতটা এখানে কাটিয়ে দিন। কাল ভোরে উঠে যেখানে যাবার চলে যাবেন।" আমি মাথা নেড়ে ধন্যবাদ জানিয়ে গাড়ি থেকে নেমে যেতেই গাড়িটি আবার চলতে শুরু করলো ।

দেখতে দেখতে গাড়িটি আমাকে পেছনে ফেলে সামনের দিকে এগিয়ে গেলো । গাড়িটি আমাকে অতিক্রম করে এগিয়ে যেতেই দেখতে পেলাম, পর্দার আড়ালে থেকে সেই নারী অবয়বটি হাসি হাসি মুখে করে আমার দিকে তাকিয়ে আছেন । নারীটিকে দেখে অত্যন্ত সম্ভ্রান্ত ঘরের বলে মনে হলো । আমার পাশ দিয়ে গাড়িটি যাবার সময় চোখাচোখি হতেই বুকের ভেতরটা আবারো ছাঁৎ করে উঠলো। এবার যেনো তাকে চিনতে পারলাম , এ যে আমার সেই কুকুর ওয়ালী দেবী । হায় ! খোদা । এতো কাছে পাওয়ার পরেও তাকে চিনতে পারিনি ? সঙ্গে সঙ্গে আমি ছুটে গেলাম গাড়িটি লক্ষ্য করে । ঠিক সে সময় কিছুর সাথে পা ঠুকে গেলে হঠাৎ করেই পড়ে গেলাম মাটিতে । তবে অবশ্য ব্যথা পেলাম না কিন্তু চোখ তুলে তাকিয়েই দেখতে পেলাম সামনে ছুটে যাওয়া গরুর গাড়িটি যেনো হাওয়ায় মিলিয়ে গেছে । কোথায় গরুর গাড়ী , কোথায় দেবী ? সব যেনো চোখের নিমিষে হাওয়ায় মিলিয়ে গেছে ।

এ পর্যন্ত বলে চেরাগ আলী থামলেন। তারপর গলা খাঁকারি দিয়ে পানের কৌট থেকে এক টুকরো সুপারি তুলে নিয়ে মুখে দিলেন।

আমরা এতটাই মন্ত্রমুগ্ধ হয়ে গল্প শুনছিলাম যে, হঠাৎ করে তিনি গল্প বলা বন্ধ করলে সবাই যেন বাস্তবে ফিরে এলাম।

ঝন্টু বলল, 'তারপর,.... তারপর কী হলো চেরাগ দা ?' চেরাগ আলী একবার সবার মুখের দিকে তাকিয়ে ফের বলতে শুরু করলেন।

চলবে ..........।

১ম পর্ব পড়ুন

২য় পর্ব পড়ুন
সর্বশেষ এডিট : ০৮ ই মে, ২০২৫ বিকাল ৪:৫২
১টি মন্তব্য ১টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

বাংলাদেশ একদিন মাথা উঁচু করে দাঁড়াবেই

লিখেছেন নতুন নকিব, ২১ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১:৫৩

বাংলাদেশ একদিন মাথা উঁচু করে দাঁড়াবেই

ছবি এআই জেনারেটেড।

ভিনদেশী আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে সত্যের বজ্রনিনাদে সোচ্চার হওয়ার কারণেই খুন হতে হয়েছে দেশপ্রেমিক আবরার ফাহাদকে। সেদিন আবরারের রক্তে লাল হয়েছিল বুয়েটের পবিত্র... ...বাকিটুকু পড়ুন

রাজাকারের বিয়াইন

লিখেছেন প্রামানিক, ২১ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ২:০৪


শহীদুল ইসলাম প্রামানিক

রাজাকারের বিয়াইন তিনি
মুক্তিযোদ্ধার সন্তান
ওদের সাথে দুস্তি করায়
যায় না রে সম্মান?

কিন্তু যদি মুক্তিযোদ্ধাও
বিপক্ষতে যায়
রাজাকারের ধুয়া তুলে
আচ্ছা পেটন খায়।

রাজাকাররা বিয়াই হলে
নয়তো তখন দুষি
মেয়ের শ্বশুর হওয়ার ফলে
মুক্তিযোদ্ধাও খুশি।

রচনা কালঃ ১৮-০৪-২০১৪ইং... ...বাকিটুকু পড়ুন

দাসত্বের শিকল ভাঙার স্বপ্ন দেখা এক ক্রান্তদর্শী ধূমকেতু ওসমান হাদী।

লিখেছেন মুঃ গোলাম মোর্শেদ (উজ্জ্বল), ২১ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ২:৪২

বাংলাদেশের স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে দেশে যে ধরণের রাজনৈতিক সংস্কৃতি চালু হয়েছে, তাহলো বিদেশী প্রভুরদের দাসত্ব বরণ করে রাজনৈতিক দলগুলোর রাষ্ট্র ক্ষমতায় গিয়ে দেশের মানুষের উপর প্রভুত্ব করা , আর... ...বাকিটুকু পড়ুন

দিপুকে হত্যা ও পোড়ানো বনাম তৌহিদী জনতা!

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ২১ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৩:০৫


পাইওনিয়ার নিটওয়্যারস বিডি লিমিটেড (Pioneer Knitwears (BD) Ltd.) হলো বাদশা গ্রুপের (Badsha Group) একটি অঙ্গ প্রতিষ্ঠান। বাদশা গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান কর্ণধার হলেন জনাব বাদশা মিয়া, যিনি একইসাথে এই... ...বাকিটুকু পড়ুন

সাজানো ভোটে বিএনপিকে সেনাবাহিনী আর আমলারা ক্ষমতায় আনতেছে। ভোট তো কেবল লোক দেখানো আনুষ্ঠানিকতা মাত্র।

লিখেছেন তানভির জুমার, ২১ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৮:২২



১০০% নিশ্চিত বিএনপি ক্ষমতায় আসছে, এবং আওয়ামী স্টাইলে ক্ষমতা চালাবে। সন্ত্রাসী লীগকে এই বিএনপিই আবার ফিরিয়ে আনবে।সেনাবাহিনী আর আমলাদের সাথে ডিল কমপ্লিট। সহসাই এই দেশে ন্যায়-ইনসাফ ফিরবে না। লুটপাট... ...বাকিটুকু পড়ুন

×