somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

তুই (কাব্যগল্প/গল্পকাব্য)

১৮ ই মার্চ, ২০১০ সকাল ৮:১২
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



এ জীবনে একবারই আমি হারিয়ে ছিলাম, তোর চোখের মায়ায়। চুলের ভাঁজে। তোকে নিয়ে কাঁদবো বলে, একটা বর্ষা তুলে রেখেছি। বৃষ্টি জল কিছু ছুঁয়ে দেখিনি।
যেদিন দখলে ছিলাম, তোকেই ছুঁয়ে ছিল; আমার সমস্ত পৃথিবী। তখন তোর আঙ্গুল তানপুরায়-আমিই কেবল বেহাগ বসন্ত হয়েছি।
আমাকে ছুঁয়ে ছুঁয়ে কত খেলাই না খেলতি।
এভাবে কেমন করে পারিস?
কি গভীর চোখে তাকিয়ে, অবলীলায় দৃষ্টি সরিয়ে নিতে পারিস-সে কেবল তুই। কামনায় ঘিরে ঘিরে ধীরে ধীরে আমাকে জল সেচে তুলেছিলি-তা কেবল এক প্রহরের জন্য। আবার সেই তো আমায় ডুবিয়েছিলি গহীন জলে।
এমন করে, কেমন করে করিস এসব? তুই কি তবে জলপরী? জাদুর মায়া? তোর দুচোখে গহীন মায়া। তোর দুচোখে সোনার কাঠি রুপোর কাঠি।
আমি তোকে চেয়েছিলাম, তখন তোর দুচোখে জুড়ে ছিল অগ্নিছায়া। পুড়িয়ে দিলি। তুই আমাকে ভাসিয়ে দিলি।
আগুন জলে ভেসেই গেলাম। এক একটা দিন, এক একটা রাত -প্রহর তো নয়; শীত-কুয়াশায় স্তব্ধ বছর। অনন্তকাল।
তুই কি আমায় দেখিস এখন? ভাবতে পারিস? যেমন করে আমি ভাবি।
দীর্ঘশ্বাসে নয়, রোজকার নিঃশ্বাসে তোর চুলের গন্ধ, চোখের কাজল, কৃষ্ণ কলি আঙ্গুল চুঁয়ে স্বপ্ন মায়া ছলকে ওঠে। উপচে পড়ে।
আমি কুড়িয়ে রাখি। নিত্যদিনই। কাক ডাকা ভোর, একলা দুপুর, উদাস বায়ে। মন খারাপের সন্ধ্যা বেলা। দীর্ঘ রাতে। আমি কেবল কুড়োই। কুড়িয়ে রাখি। তোরই মায়া। স্নিগ্ধ স্মৃতি।
ভেবেছিলাম, ভাববো আমি-মানুষ তো নস। এমন চোখে প্রাণ না থাকলে, প্রেম না থাকলে- সে কি আর মানুষ থাকে?
তুই তো একটা কাঠের পুতুল, পাথর হৃদয়। নিষ্ঠুর তুই। মানুষ তো নস।
উত্তরে তুই কিছুই বলিসনি। কেবল তাকিয়ে ছিলি। যেমন করে রোজ তাকাতিস।
তুই কেবল আমার দিকেই অম্নি তাকাস? না কি তোর চোখ দুটোইএমন, কেবল গভীর করে ছড়িয়ে থাকে। আর কোন যুবককে এ কথা জিজ্ঞাসা করবার এ সাহস আর কোনদিনই আমার হল না।
ধরে নিয়েছিলাম, তুই কেবল আমাকেই----
ওই চোখে তাকিয়ে আমি আজও তোকে আবিষ্কার করতে পারিনি।
আজও তোকে বলতে পারিনি, তুই না হয় কাঠের পুতুল কিন্তু আমি তো আর কাঠ রাজপুত্র নই।
তোর চোখে প্রেম ছিল? না শাপ ছিল? অথবা সন্তাপ?
আমায় কেন ভাসিয়ে দিলি? ফেললি ছুঁড়ে?
হতভাগী, তুই না হয় ইচ্ছেমতি। আমি মানুষ। খুব সাধারণ।
আমায় কেবল আমার হৃদয় ফিরিয়ে দে না? আয় দেখে যা- আমি এখন শূন্য হৃদয়, কাঠের মানুষ। কাঠের ঘোড়া কি খায় কি জল?
আমি অন্ধ পাহাড়। রূপকথার নিঝুম পুরী। ডাইনি পাতাল।
বলবি আমায়, কি দোষ আমার?
সর্বশেষ এডিট : ১৮ ই মার্চ, ২০১০ দুপুর ১২:৪৯
১৭টি মন্তব্য ১৬টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

একটি ছবি ব্লগ ও ছবির মতো সুন্দর চট্টগ্রাম।

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ৮:৩৮


এটি উন্নত বিশ্বের কোন দেশ বা কোন বিদেশী মেয়ের ছবি নয় - ছবিতে চট্টগ্রামের কাপ্তাই সংলগ্ন রাঙামাটির পাহাড়ি প্রকৃতির একটি ছবি।

ব্লগার চাঁদগাজী আমাকে মাঝে মাঝে বলেন চট্টগ্রাম ও... ...বাকিটুকু পড়ুন

মেহেদী নামের এই ছেলেটিকে কি আমরা সহযোগীতা করতে পারি?

লিখেছেন ইফতেখার ভূইয়া, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ১০:০৪


আজ সন্ধ্যায় ইফতার শেষ করে অফিসের কাজ নিয়ে বসেছি। হঠাৎ করেই গিন্নি আমার রুমে এসে একটি ভিডিও দেখালো। খুলনার একটি পরিবার, ভ্যান চালক বাবা তার সন্তানের চিকিৎসা করাতে গিয়ে হিমশিম... ...বাকিটুকু পড়ুন

দ্য অরিজিনস অফ পলিটিক্যাল জোকস

লিখেছেন শেরজা তপন, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ১১:১৯


রাজনৈতিক আলোচনা - এমন কিছু যা অনেকেই আন্তরিকভাবে ঘৃণা করেন বা এবং কিছু মানুষ এই ব্যাপারে একেবারেই উদাসীন। ধর্ম, যৌন, পড়াশুনা, যুদ্ধ, রোগ বালাই, বাজার দর থেকে... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। ভালোবাসা নয় খাবার চাই ------

লিখেছেন শাহ আজিজ, ২৯ শে মার্চ, ২০২৪ দুপুর ১:০৬


ভালোবাসা নয় স্নেহ নয় আদর নয় একটু খাবার চাই । এত ক্ষুধা পেটে যে কাঁদতেও কষ্ট হচ্ছে , ইফতারিতে যে খাবার ফেলে দেবে তাই ই দাও , ওতেই হবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

জাতীয় ইউনিভার্সিটি শেষ করার পর, ৮০ ভাগই চাকুরী পায় না।

লিখেছেন সোনাগাজী, ২৯ শে মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৪:৫৭



জাতীয় ইউনিভার্সিটি থেকে পড়ালেখা শেষ করে, ২/৩ বছর গড়াগড়ি দিয়ে শতকরা ২০/৩০ ভাগ চাকুরী পেয়ে থাকেন; এরা পরিচিত লোকদের মাধ্যমে কিংবা ঘুষ দিয়ে চাকুরী পেয়ে থাকেন। এই... ...বাকিটুকু পড়ুন

×