ভাবছি, আমার ছেলেটা হঠাৎ যদি প্রশ্ন করে বসে?
মাগো মানুষ কারে বলে?
পারবো কি তার সঠিক জবাব দিতে?
ইনিয়ে বিনিয়ে যদিও বা
একখানা জবাব দাঁড় করাই? ভাবছি যুৎসই জবাব না পেলে
সে না জানি
আবার আমায় কাঠগড়ায়
দাঁড় করায়?
আচ্ছা তোমাদের কাছে মানুষের সংজ্ঞা কি গো?
আমার কাছেও সংজ্ঞা
আছে। কিন্তু সে বেশ পুরনো।
ঐ যে যার আছে হুঁশ
সেই মানুষ।
যে জানোয়ার থেকে ভিন্ন।
যে আদি থেকে বাঁচিয়ে চলেছে
এ অরণ্য!
যে জানে শুধুই ভালোবাসা দিতে
যে আনন্দ পায় সৃষ্টিতে
যার শান্তি অপরের কল্যাণে।
এসব শুনে হতচ্ছাড়া
যদি জিজ্ঞেস করে বসে
মাগো! তাহলে গাজায় কেনো
লাখে লাখে মানুষ মরে?
গভীর রাতে নদীর বাঁধ
কারা খুলে দেয় মা?
কারা জেনেশুনে এমন ধ্বংস লীলায় নামে?
ওরা এলিয়েন? নাকি অন্য কোন প্রাণী?
মানুষ যদি হয় সৃষ্টির সেরা জীব
তবে মানুষ থাকতে
বেচারি হাতির গায়ে আগুন
ধরিয়ে দেয় কোন কীট?
মাগো ঐ দিদিটার সাথে
সেদিন কি ঘটেছিলো?
খবরে ওরা কিসব বলে?
ঘুম আসে না আর আতংকে।
ভাবছি আমি আমতা আমতা করে বলবো।
ঠিকই আছে মানুষের পুরনো সংজ্ঞা।
কিন্তু হয়েছে কি বাবা
মানুষের ভিড়ে মিশে গেছে
শত কোটি হায়েনা।
দেখতে অবিকল মানুষের মতোই ওরা।
ওদের চাল চলন, খাওয়া দাওয়া
অবিকল মানুষের মতোই।
কিন্তু ভেতরে ওদের
অসুর! দানব!
ওরা রাক্ষস! ওরা হিংস্র!!
জন্তু, জানোয়ার
ওদের চেয়ে ঢের ভালো।
আমাদের তো বাবা
আখের গোছানোর পালা।
আমরা তাদের ঠিক চিনতে
পারি না।
কিন্তু তোরা ঠিক চিনে নিস।আলোর মশালটা হাতে রাখিস।
আলোতে তাদের বড্ড ভয়!!
তোদের মেধা, তোদের শক্তি
হারিয়ে দিবে সব অপশক্তি।
তখন না হয় নতুন করে
আবার মানুষের সংজ্ঞা লেখা হবে।
ইতিহাসের পাতায় পাতায়
মানুষেরই জয় ধ্বনি হবে।
ফারহানা সারমিন
সর্বশেষ এডিট : ১২ ই মার্চ, ২০২৫ রাত ৮:৪৩