somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

আমার ভার্সিটি জীবনের টুকিটাকি....এডা প্রথম পর্ব বৈলা শুরু করলাম....:P

২৮ শে অক্টোবর, ২০০৯ সন্ধ্যা ৬:৩১
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :









এদিক সেদিক অনেক পোলাপাইনের ভার্সিটি লাইফের স্মৃতি কাহিনী পৈড়া আমারো লেখতে মন্চাইলো....:(

যার যার কাছে তার তার ক্লাসই মনে হয় সবচেয়ে উইটি আর আজীব বৈলা মনে হয়...হা হা হা...আমারো তাই মনে হৈতো...

ক্লাসে একজন ছিলো, আগাগোড়া বুরকা, মানে পুরাই নিনজা...কিন্তু যখন কোনো বদমাইশি কথা কৈতাম, এই আম্মাজনই সবার আগে হাসতে হাসতে গড়াইতো...আর ছিলো তার "আমি দেখবো আমি দেখবো" স্বভাব...
মানে হৈলো, ল্যাবে কোনো নতুন কাজ স্যাররা দেখাইয়া দিতে নিলে, গোল ভিড়ের সবাইরে ঠেইলা ঠুইলা, "আমি দেখবো, আমি দেখবো" করতে করতে মাঝখানে হাযির হৈতো...বড় হাসিখুশি ছিলো আম্মাজান...আর দয়ালু ছিলো, শখ ছিলো তার পায়ে হাতের সালাম নেয়ার...তা, আমাদের টাকার দরকার হৈলে আমরা একবার কৈরা গিয়া তারে সালাম কৈরা, টাকা নিয়া আসতাম...(সালাম করার আগে জিগাইয়া নিতাম, ব্যাগে টাকা আছে কিনা..;))

তা, আমার আর হিমেলের একবার খিদা লাগলে, ভাবলাম নিজেদের টাকা খরচ না কৈরা, কারো কাছ থেইকা ডোনেশন পাইলে ভালো হয়...হিমেল মিশনে গিয়া ফেল খাইছে, তাপ্পর? আমরা পরামর্শ কৈরা বাইর কর্লাম, রোল নং ৪১ রে কৈলে টাকা পাওয়া যাইবো, পাইলাম ১০ টাকা, তারপর সেই আম্মাজানের কাছ থেইকা নিলাম ১০...:)...
(আম্মাজান বলছিলো, তার জন্য সিঙ্গারা নিয়া আসতে একটা ২ টাকা দিয়া....আমি আর হিমলু করুন মুখে জানাইলাম, দুইটা রোল খাইতে ১২ টাকা, দুইটা চা ৪ টাকা, আর একটা বেনসন ৪ টাকা, সিঙ্গারা নেয়াতো সম্ভব না.../:) )



এই হিমেলের যে কি পরিমান বদমাইশি ছিলো, সেডা কৈয়াও শেষ করা সম্ভব না....:(
তার থীসিস সুপার তারে সময় দেয়না মোটেও, অথচ সুপার তেমন বিজিও না...হে ফোন দেয়, বার বার রুমে যায়, সুপারের টাইম পায়না...
একদিন ডিপার্টমেন্টের সাম্নেই সুপার রে দেইখা দোউড়াইয়া গিয়া কথা কৈয়া আসলো....
তার অবস্থা জানি বৈলাই জিগাইলাম, স্যার কি কৈলো?
স্যার তখনও আমাদের কথা শুনার দুরত্বে দাড়াইয়া আছে..
হিম্লু কয়, " স্যার বলেছেন, "তোমরা পাঁচটা মিনিট দাড়াও, আমি এক ঘন্টার মৈধ্যে আসতাছি" .."...এডা কৈয়াই উল্টা দিকে হাটা ধরলো হিমলু...তার আরো অনেক কাহিনী আছে, সেডি খুবই এনচ্যান্টিং....তয় সবার সাম্নে কওয়া যাইবো না...;) সেগুলান প্রাপ্ত বয়স্কদের জন্য....(পরীক্ষা খারাপ হৈলেই তার নাকি বাঙ্গী ফাইটা যাইতো..;)) ...




পরীক্ষার দিন হিমলুর আর ইমরানের কাজ ছিলো, হলে ঢুকার আগে যখন সবাই শেষ টাইম রিভিশনে ব্যাস্ত, তারা ঘুইরা ঘুইরা সবার পড়ালেখার অবস্থা দেখতো, আর হাসাহাসি করতো....একটা আবজাব টপিকের নাম জিগাইয়া কৈতো.."ঐডা পরছোস?"...বেশির ভাগেরই কোনো ধারনা থাকতো না টপিক সম্পর্কে....আর এদের ভাব ছিলো, ঐডাতো পরীক্ষাতে আসছেই...এতেই অনেকের পালপিটিশন শুরু হবার জন্য যথেষ্ট...এর মাঝে ইমরান আবার চরম ভালো ছাত্র, আমি আর হিমেল পরীক্ষার আগের রাইতে ইমরানের কাছে গিয়া পড়তাম...আর তখন থেইকাই ইমরানরে স্যার ডাকতাম...(ইমরান এখন সত্যই ডিপার্টমেন্টের স্যার..:))...
তো, ইমরান কৈলে কথাটার গুরুত্ব থাকতৈ...



আমাদের রাকু ছিলো, শখ একটাই, ডিপার্টমেন্টের ছোটো বোনদের কে বন্ধু বানানো...(এর বড় হৈলে কবি হবার কথা ছিলো, কিন্তু হয়নাই..;))..

আরমানকে কেনো আরমান্ডু ডাকা হৈতো, সেডা আমরা নাহয় না'ই জানতে চাই...
কিন্তু সে ক্ষেপলে অবস্থা খারাপ, সেইটা সবাই জানে...
আমাদের এক আন্দোলনের সময় যখন ভিসি পোলাপাইনের অনশন ভাঙ্গাইতে যায়, আরমান্ডো ইমোশন সামলাইতে না পাইরা বৈলা উঠে..

"এখন যদি আমরা রগের ভেইন কাইটা সুইসাইড করি, সেইটার জন্য কি আপনি দায় নিবেন"??????

ক্লাসের জুটিটা লাইব্রেরীর পিছনে এত বেশি ডেটিং করতো, যে আমাদের ক্লাসের চান্স মোহাম্মদের(আরেকজন জানি দোস্ত) ধারনা..ঐ যায়গায় মশার বংশ পারমানেন্টলি ধ্বংস হৈয়া গেছে...এত সময় নিশ্চৈ আর কোনো কাজ না পাইয়া অন্তত থাবড়াইয়া থাবড়াইয়া মশা মারতো...;)




আমাদের ক্লাসে মধু ছিলো.......
ক্লাসের যাদুর কথা বলিনাই...বলছি তার কথা...
তার আসল নাম নাই বল্লাম..কিন্তু সব ক্লাসে একজন থাকেনা, ঐযে, যার জন্য সবাই মজা পায়?;) ..
প্রতিনিয়ত অত্যাচারে অতিস্ঠ পোলাটা, হঠাৎ একদিন আইসা কয়, "জানোস, আমি প্রতিদিন সকালে মধু খাই"
আমরা জিগাইলাম, মধু খাইলে কি হয়?
সে কৈলো, বুদ্ধি-শক্তি সব বাড়ে, আর স্পেশাল কাজের জন্য ভালো..
তো তার নাম হৈলো মধু..

মধুরে একদিন ট্রেনের জার্নিতে--------এইটা আমার ভার্সিটি জীবনের অন্যতম মজার ঘটনা..
থাক, ঐ ঘটনা অন্য কোনো দিন বলি..

(আমার ধারনা মধু আমাদের অনেক বুলিইংয়ের স্বীকার হৈছে...আমাদের কারনে, ক্লাসের সব মেয়েরাও তারে মধুই ডাকতো..ক্ষমা করিস দোস্ত)..

এইসব ফাঁপোড় খাইতে খাইতে সে সম্ভবত শেষের দিকে চরম স্মার্ট হৈয়া গেছিলো, তাই একদিন ৪/১ এ মধু ডাক শুইনা অসহ্য হৈয়া কৈলো,"আমি এখন আর মধু খাইনা"...
তা জিগাইলাম, কি খাস? সে কৈলো আমি সকালে এখন দুধ খাই...:D:D:D




(লেখাটা অনেক বড় হৈয়া গেলো, কিন্তু ভার্সিটির লাইফ কিছু লিখতে গেলেও কি এরচেয়ে ছোটো লিখতে পারি?
শুধু তাইনা, কেউ বকুক আর কাটুক..এই লাইফটা নিয়া আরো লিখুম আমি..:P)



আমাদের ফার্স্ট বয় দেখা হৈলেই স্বরচিত ছন্দে কৈতো..
"হাই, হ্যালো
আছো কি তুমি ভালো?"










সর্বশেষ এডিট : ২৪ শে মে, ২০১২ দুপুর ১২:২৫
১২৩টি মন্তব্য ১২২টি উত্তর পূর্বের ৫০টি মন্তব্য দেখুন

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

চুরি করাটা প্রফেসরদেরই ভালো মানায়

লিখেছেন হাসান মাহবুব, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:৫৩


অত্র অঞ্চলে প্রতিটা সিভিতে আপনারা একটা কথা লেখা দেখবেন, যে আবেদনকারী ব্যক্তির বিশেষ গুণ হলো “সততা ও কঠোর পরিশ্রম”। এর মানে তারা বুঝাতে চায় যে তারা টাকা পয়সা চুরি... ...বাকিটুকু পড়ুন

শিব নারায়ণ দাস নামটাতেই কি আমাদের অ্যালার্জি?

লিখেছেন ...নিপুণ কথন..., ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৫:৫৭


অভিমান কতোটা প্রকট হয় দেখেছিলাম শিবনারায়ণ দাসের কাছে গিয়ে।
.
গত বছরের জুন মাসের শুরুর দিকের কথা। এক সকালে হঠাৎ মনে হলো যদি জাতীয় পতাকার নকশাকার শিবনারায়ণ দাসের সঙ্গে দেখা করা সম্ভব... ...বাকিটুকু পড়ুন

ঘুষের ধর্ম নাই

লিখেছেন প্রামানিক, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৫৫


শহীদুল ইসলাম প্রামানিক

মুসলমানে শুকর খায় না
হিন্দু খায় না গাই
সবাই মিলেই সুদ, ঘুষ খায়
সেথায় বিভেদ নাই।

হিন্দু বলে জয় শ্র্রীরাম
মুসলিম আল্লাহ রসুল
হারাম খেয়েই ধর্ম করে
অন্যের ধরে ভুল।

পানি বললে জাত থাকে না
ঘুষ... ...বাকিটুকু পড়ুন

প্রতি মাসে সামু-ব্লগে ভিজিটর কত? মার্চ ২০২৪ Update

লিখেছেন জে.এস. সাব্বির, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৯:০৮

মার্চ ২০২৪ সালে আমাদের প্রিয় সামু ব্লগে ভিজিটর সংখ্যা কত ছিল? জানতে হলে চোখ রাখুন-

গত ৬ মাসের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ভিউ ছিল জানুয়ারি মাসে। ওই মাসে সর্বমোট ভিজিট ছিল ১৬... ...বাকিটুকু পড়ুন

ইরান-ইজরায়েল দ্বৈরথঃ পানি কতোদূর গড়াবে??

লিখেছেন ভুয়া মফিজ, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১১:২৬



সারা বিশ্বের খবরাখবর যারা রাখে, তাদের সবাই মোটামুটি জানে যে গত পহেলা এপ্রিল ইজরায়েল ইরানকে ''এপ্রিল ফুল'' দিবসের উপহার দেয়ার নিমিত্তে সিরিয়ায় অবস্থিত ইরানের কনস্যুলেট ভবনে বিমান হামলা চালায়।... ...বাকিটুকু পড়ুন

×