সারাটা জীবন আমি প্রকৃতির মতো স্বাধীন হতে চেয়েছি। যেখানে নিজের ইচ্ছে খুশিতে চলা যায়। ইচ্ছে হলেই মেঘ-বৃষ্টি অথবা দমকা হাওয়া কিংবা কখনো উত্তাল সমুদ্র আবার কখনো বা শান্ত পাহাড়।
এসব চাইতে চাইতে কখন যে ইনডোর প্লান্ট হয়ে গেছি বুঝতেই পারিনি! এখন সবকিছুতেই অন্যের উপর নির্ভরশীল। নিজের বলে কিচ্ছু নেই! নিজের ইচ্ছে স্বাধীনতার কোনো মূল্য নেই।
এই-যে আজকে আমার মনের শরীর ভালো নেই। একদম অফিস করতে ইচ্ছে করছেনা বরং ইচ্ছে করছে জগৎ সংসার আর নাওয়া খাওয়া ভুলে দূরে কোনো নির্জন জায়গায় গিয়ে বসে থাকতে, এলোমেলো চিন্তা করতে, সিগারেট ফুকতে আর একটু পরপর আকাশ-বাতাস কাঁপিয়ে দীর্ঘশ্বাস ছাড়তে। অথবা নির্জন কোনো জলার ধারে বৃক্ষ হয়ে দাঁড়িয়ে থাকতে।
অথচ অফিস থেকে মন খারাপের জন্য কোনো ছুটি দেয়া হয় না। যেখানে দৈনিন্দন প্রয়োজনের জন্য ছুটির দরখাস্ত করলে মার্ডার কেইসের আসামির মতো কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে প্রশ্নের উত্তর দিতে হয় সেখানে মন খারাপের জন্য ছুটির দরখাস্ত করলে পুরো অফিসের কর্মীগণ সার্কাসের দর্শক হয়ে যাবে আর আমি হব সার্কাসের ভাঁড়।
মাঝেমধ্যে মনে হয় সমাজের ধরাবাঁধা নিয়ম গুলোকে শিকেয়তুলে যেদিকে খুশি চলে যাই।আমার আর ভালো লাগেনা এই ধরাবাঁধা নিয়মে চলতে।প্রতিদিনের এই এক রুটিনে আমি ক্লান্ত ভীষণ।আমি মুক্তি চাই এই ধরাবাঁধা নিয়ম থেকে। আমি মুক্তি চাই যান্ত্রিক জীবন থেকে পালিয়ে নতুন করে প্রকৃতি হয়ে বাঁচতে।
সর্বশেষ এডিট : ২৯ শে আগস্ট, ২০২২ সকাল ১১:৩৮