যদিবা ভেতরে এতোই শূন্যতা, তবে কেন চোখের কার্নিশে
ধরে রাখো মেকি রং, নিরুত্তাপ খুশির মুদ্রণ?
জিহ্বার তলায় বিষবড়ি রেখে ঠোঁট নেড়ে দ্বিধাহীন হাসো
না-পাবার গোলাঘর নিমেষেই ভরে দাও সুখের ফসলে!
গোলাপের গা ছঁুয়ে একটা শিশিরকণা, যখনই
ঝরে পড়লো এ বুকের সবুজ ঘাসে-
আমি তো তখন থেকেই রয়েছি তৈরি!
জমকালো অন্ধকার কেটে শুকতারা জ্বলবে, নির্ঘাত
দ্বন্দের একাত্মা হলে আসবে মাধবী সুখ-
বেতস বনের সুর তারাদের কানে বারবার বলে।
ভেতরে শূন্যতা ঢেকে পৃথিবীর হাটে যতোই করো না দরদাম-
পছন্দমাফিক কিনতে গেলেই কিছু
প্রকৃত মূল্যের থেকে অজান্তে পড়বে বাকি
শূন্যতায় চকচকে না-পাবার সিঁকি।
প্রকাশঃ এপ্রিল, ১৯৮৫

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



