গলাগলি আর কাছাকাছি থাকার দিন শেষ হয়। পাতাদের মতো একদিন আমরাও ডালচ্যুত হই। ঝাক বেধেঁ অথচ কেমন একা একা উড়ে যাই কালো সমুদ্রের দিকে। আমাদের তেষ্টা পায়। এলিয়ে পড়ে আমাদের তোলা তোলা ডানা, পৃথিবীমুখী মন।
রাস্তায় হাঁটতে হাঁটতে কবে একদিন, ভীষন বিপন্ন মনে হয় তার। রাস্তার ধুলা ধোঁয়ায় নিজেকে আড়াল করে তিনি কাঁদেন। তার মনে হয় এই শহরে কান্নার উপযুক্ত পরিবেশ নেই। জীবন পেয়েও সোনার চাঁনের কেমন বন্দি মনে হয়। পৃথিবীতে কুয়াশার মতো লেগে থাকে তার, সেরে উঠতে না পারার অভিমান। আহা মানুষের পৃথিবীমুখী মন! তা না হলে বন্দি শিবিরের মানুষগুলো নিজের ভবিষ্যত সম্পর্কে না ভাবতে ভাবতে কি করে অভ্যস্ত হয়ে উঠে।...
হাতের নীচে আত্মহত্যার আমন্ত্রন নিয়ে পড়ে আছে মাটি। পড়ে আছে মাটিকে আড়াল করে ঘাস আর ঘন অন্ধকার। এই আড়াল করা অন্ধকার ফুঁড়ে পৃথিবীমুখো শৃংখলিত চিন্তারা অবসাদে পড়ে আছে- পায়ের কাছে, পড়ে আছে রুপালী মাকড়শা নিষ্পন্দ, তারপর হঠাত উধাও হয়ে যাবে।মাকড়শার জালে জমবে রক্তমুখী শিশির। যেন এইসব মাঠ ঘাট, তৃণলতা আর এক নৈর্ব্যক্তিক ব্যাপকতা ছাড়া আর কোন কিছু ধারণ করার মতো জায়গা নেই এই পৃথিবীতে।
সর্বশেষ এডিট : ০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১১ রাত ১:৪৪