somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

গ্রাম আদালত।

১৩ ই জুলাই, ২০১১ সকাল ৭:৫৪
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


বিচার ব্যবস্থায় দেশের দরিদ্র মানুষের প্রবেশাধিকার নিশ্চিত ও সহজ করতেই গঠন করা হয়েছে গ্রাম আদালত। গ্রামের দরিদ্র মানুষ যাতে সহজে ও নামমাত্র খরচে তাদের এই অধিকার রক্ষা বা প্রতিষ্ঠা করতে পারে, সেজন্যেই গ্রাম আদালত প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। এ আদালতে গ্রামের ছোটখাটো বিরোধ বড় আকার ধারণ করার আগেই সহজে নিষ্পত্তি করা সম্ভব । গ্রামীন জনপদে ন্যায়বিচারের ভিত শক্তিশালী করতে ২০০৬ সালে এক অধ্যাদেশের মাধ্যমে গ্রাম আদালত প্রতিষ্ঠা করে বাংলাদেশ সরকার । ইউনিয়ন পর্যায়ের এই আদালত জজ আদালতে মামলার চাপ কমিয়ে গোটা বিচার ব্যবস্থায় গতিশীলতা এনেছে । তবে সাধারণ মানুষ ও তাদেরই নির্বাচিত প্রতিনিধি দ্বারা গ্রাম আদালত পরিচালিত হওয়ায় বা জনপ্রতিনিধিদের আচরণগত ত্রুটির কারণে এই আদালত অনেক সময় ভাবমূর্তি রক্ষা করতে ব্যর্থ হয় । কিন্তু আইনগত দিক থেকে গ্রাম আদালত একটি পূর্ণাঙ্গ আদালত।

গ্রাম আদালতের জরিমানা :
১৯৭৬ সালের গ্রাম আদালত আইন অনুযায়ী, সুনির্দিষ্ট ক্ষেত্রে এটি ফৌজদারি ও দেওয়ানি দু’ধারাতেই বিচার করার কর্তৃত্ব রাখে।এক্ষেত্রে জরিমানা বা ক্ষতিপূরণের মূল্যমান ৫ হাজার টাকার মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখা হয়েছিল। ২০০৬ সালের মে মাসে ১৯ নং আইনের অধীনে ১৯৭৬ সালের গ্রাম আদালত অধ্যাদেশের সংশোধন হয়ে যে আইনটি প্রণীত হয়, সেটি কম-বেশি আগের আইনটির মতোই।তবে এখানে প্রধান পরিবর্তনটি এসেছে মামলার ক্ষতিপুরনের আর্থিক সীমায়, যা ৫ হাজার টাকা থেকে ২৫ হাজার টাকায় উন্নীত করা হয়। ১৯৭৬ এবং ২০০৬ উভয় আইনেই এর গঠন, পরিচালনা, মামলা যাচাই-বাছাই, ডিক্রি জারি এবং কার্যবিবরণীর নথি সংরক্ষণের কাজগুলোকে ইউনিয়ন পরিষদের কার্যক্রম হিসাবে চিহ্নিত করা হয়েছে।

যে সকল অভিযোগের বিচার গ্রাম আদালতে হয় না
ক) ফৌজদারি মামলার ক্ষেত্রে
অভিযুক্ত ব্যক্তি যদি পূর্বে অন্য কোন আদালত কর্তৃক কোন আদালত গ্রাহ্য অপরাধে দোষী সাব্যস্ত হয়ে থাকে।

খ) দেওয়ানি মামলার ক্ষেত্রে
• যখন কোন অপ্রাপ্ত বয়স্কের স্বার্থ জড়িত থাকে;
• বিবাদের পক্ষগণের মধ্যে বিদ্যমান কলহের ব্যাপারে কোন সালিশের ব্যবস্থা (সালিশি চুক্তি) করা হয়ে থাকলে;
• মামলায় সরকার বা স্থানীয় কর্তৃপক্ষ বা কার্যরত কোন সরকারি কর্মচারি হয়ে থাকলে;
*কোন অপ্রকৃতিস্থ ব্যক্তির বিরুদ্ধে গ্রাম আদালতে কোন মামলা দায়ের করা যাবে না।

গ্রাম আদালতের মাধ্যমে গ্রামের দরিদ্র মানুষ জজ আদালতে জমে থাকা মামলার ঘানি এবং হয়রানির হাত থেকে মুক্তি পাবে। গ্রাম আদালত অধ্যাদেশ ও সালিসী আদালত অধ্যাদেশ অনুযায়ী ইউনিয়ন পরিষদগুলোকে নির্দিষ্ট বিধি অনুযায়ী বিচার সম্পাদনের দায়িত্ব দিয়ে এ আদালত গঠন করা হয়েছে। ফলে শহরে না গিয়ে ঘরে বসেই গ্রাম আদালতের সুবিধা পাওয়া যায়। আদালত আইন-১৯৭৬ এবং সংশোধিত গ্রাম আদালত আইন ২০০৬ অনুযায়ী এই আদালতে ফৌজদারি ও দেওয়ানী উভয় ধরনের বিরোধ মিমাংসার সুবিধা পাবেন গ্রামের প্রান্তিক জনগোষ্ঠি। যেমন:
• কম সময়ে ও নামমাত্র খরচে ন্যায্য বিচার পাওয়া;
• এ আদালতে উকিল নিয়োগের সুযোগ নেই বলে বিচার প্রক্রিয়ায় গরিব লোকেরা সহজে প্রবেশ করতে পারে;
• গ্রাম আদালতের বিচার পদ্ধতি আনুষ্ঠানিক হলেও মীমাংসা বন্ধুসুলভ হয়;
• গ্রাম আদালত আইনি পদ্ধতি হলেও বিবাদমান পক্ষসমূহ এটিকে সামাজিক সংগঠন মনে করে এবং গ্রাম আদালতের রায়কে সামাজিক সিদ্ধান্ত হিসেবে বিবেচনা করে;
• গ্রাম আদালতের রায়ের পরও বিবাদমান পক্ষদ্বয়ের মধ্যে সামাজিক বন্ধন অটুট থাকে যা ম্যাজিস্ট্রেট বা উচ্চ আদালতে মামলা চলাকালীন বা রায়ের পর বিদ্যমান থাকে না;
• গ্রাম আদালতের বিচারকগণ স্থানীয় হওয়ায় রায় বাস্তবায়ন করা সহজ হয়;
গ্রাম আদালতের আইনগত ভিত্তি থাকায় এই আদালতের রায় উচ্চ আদালতে গ্রহণযোগ্যতা পায়।

সরকারী এই সেবা পেতে একটি সাদা কাগজে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বরাবর লিখিত অভিযোগ জানাতে হয়।

গ্রাম আদালত কর্তৃক বিচারযোগ্য মামলার ক্ষেত্রে বিবাদের যে কোন পক্ষ বিচার চেয়ে গ্রাম আদালত গঠনের জন্য সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের নিকট ৪ টাকা (দেওয়ানি মামলা হলে) অথবা ২ টাকা (ফৌজদারি মামলা হলে) ফি দিয়ে আবেদন করতে পারেন। আবেদনপত্রে যেসব বিবরণ থাকতে হবে-
১. যে ইউনিয়ন পরিষদে আবেদন করা হচ্ছে তার নাম;
২. আবেদনকারীর নাম, ঠিকানা ও পরিচয়;
৩. যে ইউনিয়নে অপরাধ ঘটেছে অথবা মামলার কারণের সৃষ্টি হয়েছে তার নাম;
৪. সংক্ষিপ্ত বিবরণাদিসহ অভিযোগ বা দাবির প্রকৃতি ও পরিমাণ;
৫. প্রার্থিত প্রতিকার;
৬. আবেদনকারী লিখিত আবেদনপত্রে স্বাক্ষর করবেন; উল্লেখ্য, কোন অপ্রকৃতিস্থ ব্যক্তির বিরুদ্ধে কোন আবেদন করা যাবে না। চেয়ারম্যান অভিযোগ অমূলক মনে করলে আবেদন নাকচ করতে পারেন। তবে এ ক্ষেত্রে নাকচের কারণ লিখে আবেদনপত্র আবেদনকারীকে ফেরত দিতে হবে।

অপ্রকৃতিস্থ ব্যক্তি ছাড়া সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদের সকলেই এই গ্রাম আদালতের সুবিধা পাবেন।

১ জন চেয়ারম্যান এবং বিবাদের প্রত্যেক পক্ষ কর্তৃক মনোনীত দুজন সদস্য নিয়ে মোট ৫ জন সদস্য নিয়ে গ্রাম আদালত গঠিত হয়। প্রত্যেক পক্ষ কর্তৃক মনোনীত ২ জন সদস্যের একজন সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য হবেন। ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান গ্রাম আদালতের চেয়ারম্যান হবেন। তবে যদি চেয়ারম্যান কোন কারণবশতঃ তার দায়িত্ব পালনে অসমর্থ হন, কিংবা তার নিরপেক্ষতা সম্পর্কে আপত্তি ওঠে তাহলে পরিষদের অন্য কোন সদস্য আদালতের চেয়ারম্যান এর দায়িত্ব পালন করবেন। যদি নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কোন পক্ষ সদস্য মনোনয়ন দিতে ব্যর্থ হন তবে উক্ত মনোনয়ন ছাড়াই আদালত বৈধভাবে গঠিত হয়েছে বলে গণ্য হবে। যদি কোন পক্ষ ইউনিয়ন পরিষদের কোন সদস্যকে পক্ষপাতিত্বের কারণে মনোনীত করতে না পারেন তাহলে চেয়ারম্যানের অনুমতিক্রমে অন্য কোন ব্যক্তিকে মনোনীত করা যাবে।


বিচারের আবেদন করার পর বাদী এবং বিবাদী উভয়ইকে গ্রাম আদালতের দুজন বিচারক মনোনীত করতে হয়। মনোনীত সদস্যদের একজন সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য হবেন এবং অন্যজন এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তি হবেন ।


গ্রাম আদালতের রায় প্রকাশ্যে ঘোষণা করা হয়। যে সংখ্যাগরিষ্ঠতার দ্বারা সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়, তার অনুপাত রায়ে অবশ্যই উল্লেখ করার বিধান রয়েছে। এবং আদালতের রায়ের পর ডিক্রি জারি হয়।
গ্রাম আদালতে সিদ্ধান্ত যদি সর্বসম্মত বা চার-এক (৪:১) ভোটে গৃহীত হয় বা চারজন সদস্যের উপস্থি'তিতে তিন-এক (৩:১) সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোটে গৃহীত হয়, তাহলে উক্ত সিদ্ধান্ত পক্ষদ্বয়ের উপর বাধ্যতামূলক হবে এবং সেক্ষেত্রে উক্ত সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে কোনরূপ আপিল চলবে না;
কোন কারনে গ্রাম আদালতের সেবা পাওয়া না গেলে-
• বিধান অনুযায়ী যদি তিন-দুই ভোটে কোন সিদ্ধান্ত হয় তবে সে সিদ্ধান্ত বাধ্যতামূলক হবে না। সিন্ধান্ত ঘোষণার ত্রিশ দিনের মধ্যে যে কোন পক্ষ ফৌজদারি মামলার ক্ষেত্রে প্রথম শ্রেণীর ম্যাজিস্ট্রেট (কগনিজেন্স আদালত) এবং দেওয়ানি মামলার ক্ষেত্রে সহকারী জজ (মুন্সেফ)-এর আদালতে আপিল করতে পারবেন;
• গ্রাম আদালতের ডিক্রি বা ক্ষতিপূরণের টাকা প্রদানের নির্দেশ ৬ মাসের অধিক হবে না।


গ্রাম আদালত অর্ডিনেন্স, ১৯৭৬ এর মাধ্যমে ইউনিয়ন পরিষদগুলোকে পুনরায় বিচারকার্য সম্পাদনের দায়িত্ব দেওয়া হয়। গ্রাম আদালত কর্তৃক ফৌজদারি বিচারযোগ্য ধারাগুলো হলো- দন্ডবিধির ১৬০, ৩২৩, ৩৩৪, ৩৪১, ৩৪২, ৩৫২, ৩৫৮, ৪২৬, ৫০৪, ৫০৬ (প্রথম অংশ), ৫০৮, ৫০৯ এবং ৫১০ ধারা। এ ছাড়াও ৩৭৯, ৩৮০, ৩৮১, ৪০৩, ৪০৬, ৪১৭, ৪২০, ৪২৭, ৪২৮, ৪২৯ (পঁচিশ হাজার টাকা পর্যন্ত ক্ষতি হলে) এবং ১৪১, ১৪৩, ১৪৭ গবাদী পশু সম্পর্কিত (আসামী দশ জনের নিচে হলে), ১৮৭১ এর ২৪/২৬/২৭ ধারা।
দেওয়ানি মামলাগুলো হলো- (১) কোনো চুক্তি বা অন্য কোন দলিল মুলে প্রাপ্য টাকা আদায়ের জন্য মামলা; (২) কোনো অস্থাবর সম্পত্তি বা উহার মূল্য আদায়ের মামলা; (৩) কোনো স্থাবর সম্পত্তি বেদখল হওয়ার এবং বছরের মধ্যে উহার দখল পুনরুদ্ধারের জন্য মামলা; (৪) কোনো অস্থাবর সম্পত্তি বেআইনিভাবে লওয়া বা বিনিষ্ট করার দরুণ ক্ষতি পূরণের মামলা; (৫) গবাদী পশুর অনাধিকার প্রবেশের দরুণ ক্ষতি পূরণের মামলা এবং (৬) কৃষি শ্রমিকের পরিশোধযোগ্য মজুরী ও ক্ষতি পূরণের মামলা (উপরেল্লিখিত মামলা সমূহের যখন স্থাবর বা অস্থাবর সম্পত্তির মূল্যমান ২৫,০০০/- টাকা বা তার কম হবে)।
১টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

লুঙ্গিসুট

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ৩০ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:২৪



ছোটবেলায় হরেক রঙের খেলা খেলেছি। লাটিম,চেঙ্গু পান্টি, ঘুড়ি,মার্বেল,আরো কত কি। আমার মতো আপনারাও খেলেছেন এগুলো।রোদ ঝড় বৃষ্টি কোনো বাধাই মানতাম না। আগে খেলা তারপর সব কিছু।
ছোটবেলায়... ...বাকিটুকু পড়ুন

স্বর্ণাক্ষরে লিখে রাখার মত মুফতি তাকি উসমানী সাহেবের কিছু কথা

লিখেছেন নতুন নকিব, ৩০ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ২:২৫

স্বর্ণাক্ষরে লিখে রাখার মত মুফতি তাকি উসমানী সাহেবের কিছু কথা

ছবি কৃতজ্ঞতা: অন্তর্জাল।

একবার শাইখুল হাদিস মুফতি তাকি উসমানী দামাত বারাকাতুহুম সাহেবকে জিজ্ঞেস করা হল, জীবনের সারকথা কী? উত্তরে তিনি এমন... ...বাকিটুকু পড়ুন

=মৃত্যু কাছে, অথবা দূরেও নয়=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ৩০ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:০৭



©কাজী ফাতেমা ছবি
দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে দিয়ে বলি, আমারও সময় হবে যাবার
কি করে চলে যায় মানুষ হুটহাট, না বলে কয়ে,
মৃত্যু কী খুব কাছে নয়, অথবা খুব দূরে!
দূরে তবু ধরে নেই... ...বাকিটুকু পড়ুন

সবুজ চোখের মানুষের ধাঁধা

লিখেছেন করুণাধারা, ৩০ শে এপ্রিল, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:২৯



এই ধাঁধার নাম সবুজ চোখের মানুষের ধাঁধা; নিচের লিংকে এটার ভিডিও আছে।

স্বৈরশাসকের বন্দী

এই ধাঁধাটি আমার ভালো লেগেছিল, তাই অনেক আগে আমার একটা পোস্টে এই ধাঁধাটি দিয়েছিলাম। কিন্তু সেই পোস্টে... ...বাকিটুকু পড়ুন

ইসলামের চার খলিফার ধারাবাহিকতা কে নির্ধারণ করেছেন?

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ৩০ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১০:৩৭




সূরাঃ ৩ আলে-ইমরান, ২৬ নং আয়াতের অনুবাদ-
২৬। বল হে সার্বভৈৗম শক্তির (রাজত্বের) মালিক আল্লাহ! তুমি যাকে ইচ্ছা ক্ষমতা (রাজত্ব) প্রদান কর এবং যার থেকে ইচ্ছা ক্ষমতা (রাজত্ব)... ...বাকিটুকু পড়ুন

×