somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ছেলেটির প্রথম

২০ শে নভেম্বর, ২০১৪ সকাল ১০:০০
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

আজ থেকে প্রায় ১বছর আগের কাহিনী।পিপল ম্যা ইউ নো বারে ছেলেটি একটি মেয়ের ফেসবুক আইডি দেখতে পায় । ছবিতে মেয়েটির হাসি দেখে ছেলেটি কখনো যা করেনি খেয়াল বসে সেটাই করল। ফেসবুকে অপরিচিত মেয়েটিকে রিকোয়েস্ট পাঠাল । অন্য রকম ভাব দেখাল মেয়েটি। ছেলেটি ''ভাব'' লিখে দিয়ে দুদিন পর রিকোয়েস্ট কেন্সেল করে দিয়েছিল । প্রায় এক মাস পর মেয়েটির টেক্সট ব্যাক। তারপর প্রায় আট মাস অনেক খোঁচা আর আজাইরা কথা চলে। একদিন মেসেঞ্জার থেকে কল আসে ছেলেটি পকেট থেকে মোবাইল বের করে বুঝাতে পারে এটা সেই মেয়েটির কল। কিন্তু ছেলেটি অনেক অবাক এবং ইতস্ত করে রিসিভ করে । কয়েকদিন মেসেঞ্জারে কথা বলার পর মেয়েটি দেখা করতে চায়। কিন্তু ছেলেটি তখনও সিরিয়াস না।ছেলেটি জানত না মেয়েটি তার হৃদয়ের ঠিক কোন জায়গাটায় আছে।তবে এটা জানত যে মেয়েটি হৃদয়ের যে জায়গাটায় আছে সেটা নিয়ে তখনো গবেষণা চলছে।নিজের মনের আপত্তি তাই সে গবেষণা খুব একটা নিরাপদ না।গবেষক নিরাপদে না থাকলে গবেষণার ফল খুব একটা সদূরপ্রসারী না হওয়াটাই স্বাভাবিক। মেয়েটির শহরে ছেলেটি সবেমাত্র এসছে, তারপর তাদের মধ্যে আগেকোন দেখা নেই।অবশেষে মেয়েটির চাপে দেখা করার একটা উছিলা আসল।দেখা করার দিন নির্ধারিত হল ।রাতে মেসেঞ্জারে কথা।যদিও ছেলেটির তখনো ইছা ছিল না। ।বেচারা দেখা করার দিনে আরকটি কাজ শেষ করতে বন্ধুর বাসায় যায় । ফলাফল যা হওয়ার সেটাই হল ছেলেটির ২ঘন্টা লেইট । ছেলেটি যখন নির্ধারিত স্থানে মেয়েটি ততক্ষনে ২ঘন্টা অপেক্ষার পর বাসায় চলে গেছে । ছেলেটি ভিতরে পুড়তে থাকে নিজেকে অপরাধী ভাবতে থাকে । মেয়েটি ২ঘন্টা অপেক্ষা করছে এই ব্যাপারটা ছেলেটিকে পুড়ায় । ছেলেটি ঠিক করে সেইম কাজটা সে নিজেও করবে ২ঘন্টা অপেক্ষা করে তারপর দেখা করবে । তাহলে ব্যাপারটা সমানেসমান। কথা হল এর মধ্যে আবার দেখা করার দিন । নতুন শহর তারপরও ছেলেটির কাছে শহরটি পরিচিত। মেয়েটির তখনও কোন ব্যক্তিগত মোবাইল ফোন ছিল না তাই আগের দিন রাতে আর্মিদের যুদ্ধের পরিকল্পনার মতই সময়,স্থান নির্ধারণ করা হল। মানচিত্রের সাথে শহরটা মিলতে শুরু করল । ছেলেটি আজ ২ঘন্টা আগেই চলে আসছে অপেক্ষা করবে বলে। বাস থেকে নামতেই ম্যাকডোনাল্ডস নজরে আসল আগেরদিন এখানেই দেখা করার কথা ছিল ছেলেটির।এর আগে কখনও ছেলেটি এভাবে কোন মেয়ের সাথে দেখা করতে আসেনি, কখনো চিন্তায় ছিলও না। সেইদিনই ছেলেটি প্রথম টের পায় সে অনেক নার্ভাস । অদ্ভুদ দৃষ্টিতে তাকিয়ে রয় রাস্তার দিকে। সেইসাথে সেকেণ্ডে সেকেণ্ডে ঘড়ি দেখা।ছেলেটি না থাকতে পারছে ভিতরে না থাকতে পারছে রাস্তায়।একটা যুবক একটু পরপর ম্যাকডোনাল্ডসের ভিতরে ঢূকছে এবং বের হচ্ছে ফলে জনগণের অন্যদৃষ্টিতে তাকানো অস্বাভাবিক কিছু না হলেও ছেলেটির কাছে ছিল একটা বিব্রতকর ব্যাপার।হাটতে হাটতে ছেলেটি গিয়ে হাজির হল নির্ধারিত স্থানে, খুঁজতে লাগল মেয়েটি কোনদিকে আসবে সেই রাস্তা। শুরু হল নার্ভাস মনে ছেলেটির অপেক্ষার পালা । মেয়েটি জানবে না সেই ২ঘন্টার অপেক্ষায় ছেলেটি ১১টা সিগারেট ভ্যানিশ করেছিল। তাকিয়ে ছিল অদ্ভুতগড়নে রাস্তার দিকে।২ঘন্টা যখন শেষ ছেলেটির ফেসবুকে মেয়েটির টেক্সট। ছেলেটি বুঝতে পারল মেয়েটি এসেছে । আরও একবারের জন্য ছেলেটি ম্যাকডোনাল্ডসের দরজা খোলে ভিতরে ঢুকল। অবশেষে দেখা। ঐযে কোণে মেয়েটি বসা আইপডে মুখ ।ছেলেটি আস্তে গিয়ে পিছনে দাড়াল দেখার চেষ্টা মেয়েটি কি করছে। মেয়েটি পিছনে তাকাতেই একটু ভয় পেল। উভয়ের জন্য প্রথম দেখা করা।মেয়েটি এতটাই লজ্জাপেল সে কথা বলতে পারছিল না।ছেলেটি মেয়েটির চোখের দিকে তাকানোর চেষ্টা করল। মেয়েটিকে সে বলেই বসল "তুমি আমার চোখের দিকে একটু তাকাও ।মেয়েটি কিছুটা লজ্জায় মাথা নিচু করে নিয়েছিল। .কেউ কারো দিকে তাকতে পারছিল না। সেটাই ছিল ছেলেটার প্রথম। ভীষণ ভয় পেত ছেলেটা প্রেম ভালবাসাকে। .....হয়ত ভয়কে জয় করে ছেলেটা এখন ভালবাসায় ডুবন্ত ।

____সহল আহমেদ
আমেরিকা (রাত ১১:০২ মিনিট )
২টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

যে ভ্রমণটি ইতিহাস হয়ে আছে

লিখেছেন কাছের-মানুষ, ১৮ ই মে, ২০২৪ রাত ১:০৮

ঘটনাটি বেশ পুরনো। কোরিয়া থেকে পড়াশুনা শেষ করে দেশে ফিরেছি খুব বেশী দিন হয়নি! আমি অবিবাহিত থেকে উজ্জীবিত (বিবাহিত) হয়েছি সবে, দেশে থিতু হবার চেষ্টা করছি। হঠাৎ মুঠোফোনটা বেশ কিছুক্ষণ... ...বাকিটুকু পড়ুন

আবারও রাফসান দা ছোট ভাই প্রসঙ্গ।

লিখেছেন মঞ্জুর চৌধুরী, ১৮ ই মে, ২০২৪ ভোর ৬:২৬

আবারও রাফসান দা ছোট ভাই প্রসঙ্গ।
প্রথমত বলে দেই, না আমি তার ভক্ত, না ফলোয়ার, না মুরিদ, না হেটার। দেশি ফুড রিভিউয়ারদের ঘোড়ার আন্ডা রিভিউ দেখতে ভাল লাগেনা। তারপরে যখন... ...বাকিটুকু পড়ুন

মসজিদ না কী মার্কেট!

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ১৮ ই মে, ২০২৪ সকাল ১০:৩৯

চলুন প্রথমেই মেশকাত শরীফের একটা হাদীস শুনি৷

আবু উমামাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, ইহুদীদের একজন বুদ্ধিজীবী রাসুল দ. -কে জিজ্ঞেস করলেন, কোন জায়গা সবচেয়ে উত্তম? রাসুল দ. নীরব রইলেন। বললেন,... ...বাকিটুকু পড়ুন

আকুতি

লিখেছেন অধীতি, ১৮ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৪:৩০

দেবোলীনা!
হাত রাখো হাতে।
আঙ্গুলে আঙ্গুল ছুঁয়ে বিষাদ নেমে আসুক।
ঝড়াপাতার গন্ধে বসন্ত পাখি ডেকে উঠুক।
বিকেলের কমলা রঙের রোদ তুলে নাও আঁচল জুড়ে।
সন্ধেবেলা শুকতারার সাথে কথা বলো,
অকৃত্রিম আলোয় মেশাও দেহ,
উষ্ণতা ছড়াও কোমল শরীরে,
বহুদিন... ...বাকিটুকু পড়ুন

স্প্রিং মোল্লার কোরআন পাঠ : সূরা নং - ২ : আল-বাকারা : আয়াত নং - ১

লিখেছেন মরুভূমির জলদস্যু, ১৮ ই মে, ২০২৪ রাত ১০:১৬

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম
আল্লাহর নামের সাথে যিনি একমাত্র দাতা একমাত্র দয়ালু

২-১ : আলিফ-লাম-মীম


আল-বাকারা (গাভী) সূরাটি কোরআনের দ্বিতীয় এবং বৃহত্তম সূরা। সূরাটি শুরু হয়েছে আলিফ, লাম, মীম হরফ তিনটি দিয়ে।
... ...বাকিটুকু পড়ুন

×