somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

" অপারেশন সার্চলাইট" যেভাবে পরিকল্পনা করা হয়েছিল।

২৬ শে মার্চ, ২০১৫ রাত ১:৫৮
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


পাকিস্তানের স্বৈরাচারী ইয়াহিয়ার সামরিক শাসনের বিরুদ্ধে বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে আন্দোলনরত মুক্তিকামী বাঙালিদের কঠোর হাতে দমনের জন্য ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ পাকিস্তান সামরিক বাহিনী যে সশস্ত্র অভিযান পরিচালনা করে সেটাই ইতিহাসে ‘অপারেশন সার্চলাইট’ নামে অভিহিত। তবে এটি কোনো হুট করে নেয়া পাকিস্তানী জান্তার কোনো সিদ্ধাত ছিলনা। বরং ধিরে সুস্থে খুব ঠান্ডা মাথায় অনেক আগে থেকেই এমন একতি গণ জত্যা চালানোর পরিকল্পনা তাঁরা গোপনে গোপনে করে চলছিল। এই পরিকল্পনার শুরুটা ছিল ১৯৭১ সালের ২২ ফেব্রুয়ারী।পশ্চিম পাকিস্তানের রাওয়ালপিন্ডিতে জেনারেলদের এক সভায় আওয়ামীলীগ ও এর সমর্থকদের যে কোনো মূল্যে দমন করার (To crush the awami league and its supporters ) সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।ওই সভায় পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খান নির্দেশ দেন, ‘Kill three million of them and the rest will eat out of our hands’ (ওদের ৩০লাখ লোককে খতম করে ফেলুন, অন্যরা আমাদের হাতের পুতুল হয়ে থাকবে।)একটি বৃহৎ গণহত্যা চালানোর জন্য তাঁরা মানসিক ভাবে অনেক আগে থেকেই প্রস্তুত হয়ে ছিলেন।যার মূল নায়ক ছিলেন প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খান এবং এই গণ হত্যার সফল রুপায়ণ করেছিলেন জেনারেল টিক্কা খান।২৫মার্চের রাতে যখন ইয়াহিয়া খান ঢাকা ছাড়ে যান তখন তাঁর শেষ আদেশ ছিল-“ বিদ্রোহী মানুষগুলোকে শেষ করে ফেলুন।” এবং টিক্কা খান পরের ছয়টি মাস সেই আদেশই অক্ষরে অক্ষরে পালন করে গেছেন।


তবে এর জন্য প্রয়োজন ছিল একটি সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনার।উপরক্ত ঐ সভাতেই পাক বাহীনীর আগ্রাসন মূলক যুদ্ধের পরিকল্পনা করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। তাতে পূর্ব পাকিস্তান থেকে যোগ দেন লে. জেনারেল ইয়াকুব ও ভাইস এডমিরাল আহসান।রাওয়ালপিন্ডি থেকে ফিরে ইয়াকুব তাঁর স্টাফকে নির্দেশ দেন ‘ব্লিৎস’ নামের অপারেশন পরিকল্পনা চূড়ান্ত করতে। পরিকল্পনা অনুযায়ী ২৭ ফেব্রুয়ারী থেকে পিআইএর বিমানে করে ২৭ বালুচ ও ১৩ ফ্রন্টিয়ার্স পদাতিক ব্যাটালিয়নের সৈন্যরা ঢাকা আসতে শুরু করে।এক মাস পর্যন্ত চলে সৈন্য আনার প্রক্রিয়া।

১৭ মার্চ পাকিস্তান সেনাবাহিনীর সিওএস জেনারেল হামিদ টেলিফোনে জেনারেল খাদিম হোসেন রাজাকে অপারেশনের মূল পরিকল্পনা তৈরির দায়িত্ব দেন।অপারেশনের মূল পরিকল্পনা খসড়া প্রণয়নের জন্য ১৮ মার্চ সকালে ঢাকা সেনানিবাসের জিওসির অফিসে মেজর জেনারেল খাদিম হোসেন রাজা ও মেজর জেনারেল রাও ফরমান আলী বৈঠকে বসেন। সেই বৈঠকে তাঁরা একমত হন, অপারেশনের লক্ষ হবে শেখ মুজিবুর রহমানের ‘ডিফ্যাক্টো’ শাসন উৎখাত এবং সরকারের কতৃত্ব পুনঃপ্রতিষ্ঠা করা। ওই বৈঠকেই জেনারেল রাও ফরমান আলী হালকা নীল কাগজের অফিসিয়াল প্যাডে একটি সাধারণ কাঠ পেন্সিল দিয়ে নতুন পরিকল্পনার প্রথম অংশ লিপিবদ্ধ করেন।দ্বিতীয় অংশটি লেখেন জেনারেল রাজা। তাতে অপারেশনের প্রয়োজনীয় সমর, সমর উপাদানের বন্টন এবং বিভিন্ন ব্রিগেট ও ইউনিটের কাজ ভাগ করে দেয়া হয়। ১৬ প্যারা সংবলিত ৫ পৃষ্ঠার এই প্রাথমিক পরিকল্পনার নাম দেয়া হয় “ অপারেশন সার্চলাইট।” পরিকল্পনাটিতে মূল তিনটি বিষয় ছিল যা নিন্মরূপঃ
১. নিয়মিত ইস্টবেঙ্গল রেজিমেন্টের সকল বাঙ্গালী সেনাকে নিরস্ত্র করা।
২. বাঙালির স্বাধিনতার আন্দোলনকে নেতৃত্বহীন করার উদ্যেশ্যে প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খানের সাথে বৈঠক রত অবস্থায় আওয়ামীলীগ নেতাদের গ্রেপ্তার করা।
৩. তালিকাভুক্ত আরো ১৬ জন প্রখ্যাত ব্যাক্তির বাড়িতে হানা দিয়ে তাঁদের গ্রেপ্তার করা।

২০ মার্চ বিকেলে ঢাকা ক্যান্টনমেন্টের ফ্লাগ স্টাফ হাউজে জেনারেল আব্দুল হামিদ খান ও লে. জেনারেল টিক্কা খানের সামনে হাতে লেখা পরিকল্পনাটি পড়া হয়।দুজনেই পরিকল্পনার প্রধান ধারাগুলো অনুমোদন করেন।কিন্তু জেনারেল হামিদ বাঙ্গালী সেনাদের নিরস্ত্র করা এবং পরে প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া পরিকল্পনা থেকে নির্ধারিত তারিখে প্রেসিডেন্টের সাথে বৈঠকরত আওওয়ামীলীগ নেতাদের গ্রেপ্তার করার বিষয়টি বাতিল করে দেন।


২৪ মার্চ সংশ্লিষ্ট সেনা কমান্ডারদের কাছে পরিকল্পনাটি প্রথম প্রকাশ করা হয়। ঢাকার বাইরের অবস্থানরত ব্রিগেড কমান্ডারদের সামরিক ব্যাবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেয়ার জন্য সে দিনই ঢাকা থেকে হেলিকপ্টারে করে জেনারেল ফরমান আলী যোশরে এবং জেনারেল খাদিম কুমিল্লায় যান। ফরমান আলী যোশরে ব্রিগেডিয়ার দুররানিকে দায়িত্ব বুঝিয়ে দিয়ে ঢাকায় ফিরে আসেন। আর খাদিম কুমিল্লায় ব্রিগেডিয়ার ইকবাল শফিককে দায়িত্ব বুঝিয়ে দিয়ে চলে যান চট্রগ্রামে।সেখানে লে. কর্নেল ফাতিমীর কাছে গোপনে নির্দেশটি পৌছে দেন এবং আওয়ামীলীগের ঘনিষ্ঠ সিনিয়র অফিসার মজুমদারকে কৌশলে ঢাকায় ফিরিয়ে আনেন। অন্য সিনিয়র সেনা কর্মকর্তারা ঢাকা থেকে বিমানে সিলেট, রংপুর ও রাজশাহী ক্যান্টনমেন্টে যান। ঢাকার ৫৭ ব্রিগেড ২৪ মার্চ থেকেই খুব গোপনে আঘাতের লক্ষবস্তু নির্ধারণের জন্য প্রাথমিক পর্যায়ের পর্যবেক্ষণের কাজ শুরু করে। এ কাজে তাঁরা বেসামরিক গাড়ি ও পোশাক ব্যাবহার করে। অপারেশন সার্চলাইট এর নির্দেশ ঢাকার বাইরে ও ভিতরে গ্যারিসনগুলোতে টেলিফোনের মাধ্যমে জানিয়ে দেয়া হয়েছিল এবং বার্তা প্রেরণের জন্য তাঁরা একটি ব্যাক্তিগত সাংকেতিক বার্তা তৈরি করেছিল। রাও ফরমান আলী তাঁর হত্যাযজ্ঞের নির্দেশ দিয়েছিলেন ইঙ্গরেজিতে এবং সেগুলি প্রথমে তিনি একটি টেপ রেকর্ডারে ধারণ করেন এবং পরে ডাইরীতে লিপিবদ্ধ করেন।

লিখিত আকারে তৈরি অপারেশিন সার্চ লাইট পরিকল্পনাটি ছিল মূলত পাঁচ ভাগে বিভক্ত। এর মধ্যে অপারেশনাল অনুক্রমে চারটি ধারা ছিল।



ধারাঃ ১১

(ক) আঘাত হানার সময়; এক প্লাটুন সেনা নিয়ে মুজিবের বাড়িতে হানা রাত ১ টা, টেলিফোন এক্সচেঞ্জ বিকল রাত ১২ টা ৫৫ মিনিট, বিশ্ববিদ্যালয় কর্ডন করার জন্য নির্ধারিত সেনাদের যাত্রা রাত ১ টা ৫ মিনিট, রাজারবাগ পুলিশ সদরদপ্তর ও কাছাকাছি অন্যান্য থানার জন্য নির্ধারিত সেনাদের যাত্রা রাত ১ টা ৫ মিনিট, মিসেস আনোয়ারা বেগমের বাড়ি-রোড নং ২৯ এবং বাড়ির নং ১৪৮-রোড নং ২৯, সান্ধ আইন জারি করতে হবে রাত ১১ টায় সাইরেন বাজিয়ে এবং লাউড স্পিকারের মাধ্যমে।

(খ) দিনের বেলা (২৬ মার্চ) ধানমন্ডির সন্দেহজনক প্রতিটি বাড়ি এবং পুরান ঢাকার হিন্দুদের বাড়িতে অনুসন্ধান, সব ছাপাখানা বন্ধ করে দেওয়া, একই সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়, কলেজ, টিএন্ডটি, ফিজিক্যাল ট্রেনিং ইন্সটিটিউট, ও টেকনিক্যাল ইন্সটিটিউটের সাইকোস্টাইল মেশিন বাজেয়াপ্ত করা এবং অন্য নেতাদের গ্রেপ্তার করার পরিকল্পনা।



ধারাঃ ১৩

শেখ মুজিব, সৈয়দ নজরুল ইসলাম, তাজউদ্দীন আহমদ, এম এ জি ওসমানী, সিরাজুল আলম খান, এম এ মান্নান, আতাউর রহমান, অধ্যাপক মুজাফফর, অলি আহাদ, মতিয়া চৌধুরী, ব্যারিস্টার মৌদুদ, ফয়জুল হক, তোফায়েল আহমদ, এন এ সিদ্দিকি, রউফ, আব্দুল কুদ্দুছ মাখন সহ অন্য ছাত্রনেতাদের অবস্থান সম্পর্কে জানা।

অন্যদিকে পরিকল্পনায় কৌশলগত দিক সম্পর্কে যা ছিলঃ

(ক) ১. শেখ মুজিবের বাড়ি ভেঙ্গে ঢুকতে হবে এবং উপস্থিত সবাইকে গ্রেপ্তার করতে হবে।
২. বিশ্ববিদ্যালয়ের গুরুত্বপূর্ণ হলগুলো ঘেরাও করতে হবে।
৩. টেলিফোন এক্সচেঞ্জ অচল করতে হবে।
৪. যে বাড়িতে অস্ত্রশস্ত্র জমা হয়েছে সেগুলোকে বিচ্ছিন্ন করতে হবে।

(খ) টেলিফোন এক্সচেঞ্জ অচল করে দেয়ার আগ পর্যন্ত ক্যান্টনমেন্ট এলাকায় সেনাদের কোনো কার্যক্রম চলবেনা।

(গ) অপারেশনের রাতে দশটার পর কাউকে ক্যান্টনমেন্ট এলাকার বাইরে যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হবেনা।

(ঘ) যে কোনো অযুহাতেই হোক শহরের ভেতর অবস্থানরত সেনাদের প্রেসিডেন্ট হাউজ, গভর্নর হাউজ, এম এন এ হোস্টেল এলাকা সহ রেডিও-টিভি এবং টেলিফোন এক্সচেঞ্জ প্রাঙ্গণে সমাবেশ ঘটাতে হবে।

(ঙ) মুজিবের বাড়িতে অপারেশন চালানোর জন্য বেসামরিক গাড়ি ব্যাবহার করা যেতে পারে।


পৃথিবীর ইতিহাসে কুখ্যাত এক জেনোসাইডের নাম 'অপারেশন সার্চলাইট! অত্যন্ত সুনিপনভাবে- ঠাণ্ডা মাথায় পাক সামরিক নেতারা এর পরিকল্পনা করেছিল।এবং এর জন্য তাঁদের বিন্দুমাত্র অনুশোচনা সেদিনও যেমন ছিলনা এমনি আজও নেই। বরং সেদিন জুলফিকার আলী ভুট্টো ঢাকার ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেলে থেকে অভিযান প্রত্যক্ষ করেন। পরদিন ঢাকা ত্যাগের প্রাক্কালে ভূট্রো সেনাবাহিনীর পূর্ব রাতের কাজের ভূয়সী প্রশংসা করে মন্তব্য করেন, ‘আল্লাহকে অশেষ ধন্যবাদ যে পাকিস্তানকে রক্ষা করা গেছে।’ ইয়াহিয়া খানসহ সামরিক কর্মকর্তাদের সকলে অভিযানের প্রশংসা করেন। এমনকি পরবর্তী ৫ আগস্ট পাকিস্তান সরকার যে ‘শ্বেতপত্র’ প্রকাশ করে তাতে ২৫ মার্চ সামরিক অভিযানকে ‘অত্যাবশ্যকীয়’ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়।

তৎকালীন বিভিন্ন আন্তর্জাতিক পত্রিকা থেকে অনুমান করা যায়, এই অপারেশনে প্রায় ১ লক্ষ্য হত্যা করা হয়।
"According to New York Times (3/28/71) 10,000 people were killed; New York Times (3/29/71) 5,000-7,000 people were killed in Dhaka; The Sydney Morning Herald (3/29/71) 10,000 – 100,000 were killed;New York Times (4/1/71) 35,000 were killed in Dhaka during Operation Searchlight."



তথ্য সূত্রঃ
১. ‘ম্যাসাকার’ মার্কিন সাংবাদিক ও লেখক রবার্ট পেইন।
২. ‘উইটনেস টু সারেন্ডার’ সিদ্দিক সালিক।
৩. বাংলা উইকিপিডিয়া।
৪. দৈনিক জঙ্কন্ঠ।
সর্বশেষ এডিট : ২৬ শে মার্চ, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৩৭
৩টি মন্তব্য ৩টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

সভ্য জাপানীদের তিমি শিকার!!

লিখেছেন শেরজা তপন, ১৭ ই মে, ২০২৪ রাত ৯:০৫

~ স্পার্ম হোয়েল
প্রথমে আমরা এই নীল গ্রহের অন্যতম বৃহৎ স্তন্যপায়ী প্রাণীটির এই ভিডিওটা একটু দেখে আসি;
হাম্পব্যাক হোয়েল'স
ধারনা করা হয় যে, বিগত শতাব্দীতে সারা পৃথিবীতে মানুষ প্রায় ৩ মিলিয়ন... ...বাকিটুকু পড়ুন

রূপকথা নয়, জীবনের গল্প বলো

লিখেছেন রূপক বিধৌত সাধু, ১৭ ই মে, ২০২৪ রাত ১০:৩২


রূপকথার কাহিনী শুনেছি অনেক,
সেসবে এখন আর কৌতূহল নাই;
জীবন কণ্টকশয্যা- কেড়েছে আবেগ;
ভাই শত্রু, শত্রু এখন আপন ভাই।
ফুলবন জ্বলেপুড়ে হয়ে গেছে ছাই,
সুনীল আকাশে সহসা জমেছে মেঘ-
বৃষ্টি হয়ে নামবে সে; এও টের... ...বাকিটুকু পড়ুন

যে ভ্রমণটি ইতিহাস হয়ে আছে

লিখেছেন কাছের-মানুষ, ১৮ ই মে, ২০২৪ রাত ১:০৮

ঘটনাটি বেশ পুরনো। কোরিয়া থেকে পড়াশুনা শেষ করে দেশে ফিরেছি খুব বেশী দিন হয়নি! আমি অবিবাহিত থেকে উজ্জীবিত (বিবাহিত) হয়েছি সবে, দেশে থিতু হবার চেষ্টা করছি। হঠাৎ মুঠোফোনটা বেশ কিছুক্ষণ... ...বাকিটুকু পড়ুন

আবারও রাফসান দা ছোট ভাই প্রসঙ্গ।

লিখেছেন মঞ্জুর চৌধুরী, ১৮ ই মে, ২০২৪ ভোর ৬:২৬

আবারও রাফসান দা ছোট ভাই প্রসঙ্গ।
প্রথমত বলে দেই, না আমি তার ভক্ত, না ফলোয়ার, না মুরিদ, না হেটার। দেশি ফুড রিভিউয়ারদের ঘোড়ার আন্ডা রিভিউ দেখতে ভাল লাগেনা। তারপরে যখন... ...বাকিটুকু পড়ুন

মসজিদ না কী মার্কেট!

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ১৮ ই মে, ২০২৪ সকাল ১০:৩৯

চলুন প্রথমেই মেশকাত শরীফের একটা হাদীস শুনি৷

আবু উমামাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, ইহুদীদের একজন বুদ্ধিজীবী রাসুল দ. -কে জিজ্ঞেস করলেন, কোন জায়গা সবচেয়ে উত্তম? রাসুল দ. নীরব রইলেন। বললেন,... ...বাকিটুকু পড়ুন

×