ছবি : ইন্টারনেট
৯৯ টা কৃষ্ণচূড়া গাছ :
আমাদের এসএসসি ব্যাচের রিউনিয়ন উপলক্ষে ৯৯ টা কৃষ্ণচূড়া গাছ লাগানোর উদ্যাগ নিয়েছি। আমাদের থানার বিভিন্ন স্কুলের ছাত্র ছাত্রীদের সাথে নিয়ে তাদের স্কুলের আঙিনায় আমরা কিছু গাছ লাগাবো। সৌন্দর্যবর্ধন আর সেই সাথে তাদের গাছ লাগানোর প্রতি আগ্রহ সৃষ্টি আমাদের লক্ষ্য। কিছু গাছ লাগবো রাস্তার দুপাশে। আমাদের সাথে থাকবে আশেপাশের মানুষ , চায়ের দোকানদার , রিক্সাওয়ালা। আমরা ভেবে দেখলাম যখন গাছ গুলো যখন বড় হবে , গাছে গাছে যখন জ্বলবে লাল আগুন তখন দেখতে কেমন লাগবে ?
গাছ আর সবুজ নিয়ে ভাবতে ভাবতে কবীর সুমনের গানটা শেয়ার করলাম। পাড়ার ছোট্ট পার্ক - গানটা কবীর সুমন গেয়েছিলেন ঘুমোও বাউন্ডুলে অ্যালবাম এ ১৯৯৫ সালে।
এরপর কেটে গেছে বহুকাল। কাটা পড়ছে একেরপর এক গাছ। বিলীন হচ্ছে সবুজ।
তবুও এরই মাঝে আমরা খুঁজে ফিরি সবুজ , একটু খানি বাঁচার আশা , স্বপ্ন। নাছোড়বান্দা পাখির মত।
পাড়ার ছোট্ট পার্ক
রেলিং এ শুকোয় শাড়ী পাঁচিলে শুকোয় ঘুঁটে
ঘাস গুলো সব শুকিয়ে শুকিয়ে শেষ-মেশ গেছে উঠে
পাড়ার ছোট্ট পার্ক ঘাস নেই আছে ধুলো
ঘাসের অভাব পরোয়া করে না সবুজ বাচ্চা গুলো
বেঞ্চি গুলোর কাঠ রোদে পোড়ে জলে ভেজে
সমকাল এসে বসেছে সেখানে আহত প্রেমিক সেজে
লোহার গেট এর পাশে উনুন ধরায় কারা
রেলিং ঘেঁসেই সংসার করে ক জন বস্তু হারা
একটু দুরেই আছে ক্যাঁচক্যাঁচে টিপকল
পড়ন্ত বেলা বালতি কে বলে চল রে জল কে চল
এদিকে ওদিকে দেখো কিছু গাছ আছে বাকি
এই আকালেও আনাগোনা করে নাছোড়বান্দা পাখি!
পাড়ার ছোট্ট পার্ক ঘাস নেই আছে ধুলো
ঘাসের অভাব পরোয়া করে না সবুজ বাচ্চা গুলো।
বিবর্ণ গাছ গুলো ধুলোয় ধুসর পাতা
বেগতিক দেখে ক্লান্ত সময় গোটায় জামার হাতা
ল্যাম্প পোস্টএর বাল্ব গুলতির ঢিলে ভাঙ্গা
সেটাকে ঘিরে খেলছে মেয়েরা খেলছে কুমীর ডাঙ্গা
চোর চোর খেলা হলে ল্যাম্প পোস্ট হয় বুড়ি
ভাদ্দুরে রোদে বৃথাই হাঁকায় নিরুদ্দিষ্ট ঘড়ি
বিকেল বেলার রোদে বাচ্চার ভীড় বাড়ে
খেলতে খেলতে পড়ে যাওয়া ছেলে প্যান্ট এর ধুলো ঝাড়ে
বাস্তুহারার খুঁটি মেটায় খেলার স্বাদ
ঘাস উঠে যাওয়া ধুসর পার্ক এ শিশুর সাম্যবাদ
পাড়ার ছোট্ট পার্ক ঘাস নেই আছে ধুলো
ঘাসের অভাব পরোয়া করে না সবুজ বাচ্চা গুলো!
সর্বশেষ এডিট : ০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৫:০১