
শব্দজট নিয়ে যারা খেলেন তাদের কাছে এটা একটা নেশার মত। সামনে দেখলে শুরু করতে ইচ্ছা হয়। আর একবার শুরু করলে শেষ না করা পর্যন্ত ভালো লাগে না। এমনও সময় গেছে গোসল খাওয়া বাদ দিয়ে শব্দজট খুলেছি। এখন কার হাতে অতো সময় ? শব্দজট খোলার মত আমার আরেকটি নেশা হচ্ছে শব্দজট বানানো। এটা বেশ মজার। একবার বানানোর মজা পেয়ে গেলে বারবার বানাতে ইচ্ছা করে। তবে সবই সময়ের উপর নির্ভর করে।
ব্লগার সোনাবীজ আর মরুভূমির জলদস্যু খুব আগ্রহ নিয়ে জট খোলেন সেই সাথে আছেন ব্লগার সাড়ে চুয়াত্তর। মরুভূমির জলদস্যু গত পর্বে কিছুটা বিরক্ত হয়ে গেছিলেন। কারণ শব্দজটটা ত্রুটিপূর্ণ ছিল। তাই শেষ পর্যন্ত সঠিক সমাধান আসেনি। আমি সেই কপি বানিয়ে ছিলাম সেটাও হারিয়ে ফেলেছি। পরে নিজেরই খারাপ লেগেছে। তবে জানি এবারো জলদস্যু প্রবল আগ্রহে ঝাঁপিয়ে পড়বেন জট খুলতে। সোনাবীজ বিকালে হেঁটে এসে ভাববেন।
ব্লগে কিছু না লিখে থাকতে পারিনা। আমি মূলত ব্লগে কবিতা লেখার চেষ্টা করতাম। । সেটা আপাতত বাদ। কবিতা লেখার মত সৃষ্টিশীল ভাবনা আমার মাথায় আসছে না। চিন্তার গভীরতার অভাব , নতুন শব্দ ধরা দেয় না , কল্পনা শক্তি বিকশিত হচ্ছে না। কবিতা লেখার মত সঠিক রসদ কাজে লাগাতে পারছি না।
এই ব্লগে কয়েকজন প্রিয় কবি আছেন। যাদের কবিতা নিয়মিত পড়তাম। তাদের অনেকেই নিয়মিত না। তবে প্রিয় কবিদের একজন সেলিম আনোয়ার ভাই নিয়মিত লিখে যাচ্ছে। উনি অতো লিখেন কিভাবে ভেবে অবাক হই। সোনাবীজ লিখছেন মাঝে মধ্যে। মন দিয়ে অনুধাবন করি। ইসিয়াক লিখছেন , তবে কেন জানি তাকে আগের মত পড়া হচ্ছে না। তবে উনি আমার পছন্দের একজন। ভালোবেসে ভোরের পাখি ডাকতাম। এই নামটা দিয়ে ছিলেন সম্ভবত শ্রদ্ধেয় ঠাকুর মাহমুদ। কবি আলমগীর ভাই , প্রতিদিন কবিতা লিখে ফেলছেন। পড়া হলেও মন্তব্য করা হয় না।
ভৃগু দা এই ব্লগে আমার গুরু টাইপ কবি। উনার একটা কবিতা আমার বাসার দরজায় প্রিন্ট করে সাঁটা ছিল। করোনার সময় বাড়ি চলে গেলাম। কবিতাটা হয়তো ওখানেই সাঁটা আছে। কবি জাহিদ অনিকের ফ্যান আমি। উনি আর লেখেন না। আহমেদ জী এস স্যারের একটা কবিতা ছিল , যেখানে আলম সাহেব মারা যান কিন্তু পৃথিবীর নিয়মে পৃথিবী চলে থাকে !
অদ্ভুত এক মায়া জন্মে ছিল কবিতার প্রতি। কেমন যেন ঘর লাগা বিষাদ।
প্রিয় ব্লগার নীল আকাশ আর বিজন দা আমার কবিতার কবিতার ভুলভাল , ভালো মন্দ পরামর্শ মূলক আলোচনা করতেন। তারাও আর আসেন না।
শিখা রহমান , মিথী মারজানের কবিতা ভালো লাগতো। ইনাদের কবিতা নিয়ে ভাবতাম। ইনারা কেউ আর লেখেন না। নতুন চিন্তাও মাথায় আসে না। শ্রদ্ধেয় খায়রুল আহসান "ঝরে পড়া তারার প্রতি" টাইপের কবিতা আর লেখেন না ! তাই ''আকাশের মায়া" অপূর্ণ থেকে যায়।
কবিরা ফিরে আসুন ! লিখুন। পড়ি। কিছু শিখি। ভাবনার দুয়ার খুলুক আমার। কবিতার অভিশাপে বিদ্ধ হচ্ছি প্রতিনিয়ত !
কবিদের ফিরে আসার আহবান নিয়ে আমার একটা কবিতার শেষের কয়েক লাইন লিখে দিলাম। কবিদের জন্য !
"এই শহরে একদিন সত্যিই আর কবিরা থাকবে না
থাকবে না স্বপ্ন , ছন্দ , কাব্য , কলা
জলাভাবে মরা কবিরা ছটফট করতে থাকবে
পুনর্জন্মের আশায় আর ভীষণ কবিতা বিদ্বেষীরা কবিতা
লিখতে বসবে একদিন।
কারণ কবিদের সমস্ত প্রার্থনা তো কবিতায় !"
সর্বশেষ এডিট : ২০ শে জুলাই, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:২১

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




