কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপনের জন্য কেউ কি রইলো ?
________________স্বপ্নবাজ সৌরভ
যেদিন কবি মারা গেলেন
সেদিন সূর্যটা পূর্ব দিকেই উঠে ছিল
এবং বেলাশেষে হেলে পড়েছিল পশ্চিমে
বলতে গেলে নিয়মের কোন হেরফের ঘটেনি।
যেদিন কবি মারা গেলেন
সেদিন তেমন কোন শোকবার্তা নিয়ে কোন মিছিল আসেনি
তবে কিছু কবি এসেছিলেন
এদিক এদিক পায়চারি করে
ফিরে গিয়েছিলেন যে যার গন্তব্যে।
বেশ্যার দালালেরা দালালির টাকায়
সিগারেট ফুঁকতে দ্বিধাবোধ করেনি ।
না , বাজেনি কোন ফিউরালের সুর
তবে কিছু পাখিরা এসেছিলো শোকসুর নিয়ে
মাতম তুলেছিল খানিকটা , যে যার সাধ্যমত।
নাগরিক পাখি খ্যাত কাক-
কা কা করেছিল সমস্বরে।
যেদিন কবি মারা গেলেন
কবিকে সফেদ কাফনে মোড়ানো হলো
শোয়ানো হলো গুমোট কবরে
এতেও দ্বন্দ দেখা গেলো ,
কেউ বলল কবি ধর্মে ছিলেন না
কেউ বললো ধর্মে ছিলেন
কেউ কেউ আবার বললো -
কবি প্রার্থনারত থাকতেন কবিতায়।
কবির শেষ যাত্রা খুব একটা সুখকর হয়নি
সুখকর ছিলোনা তার পুরোটা জীবন
স্মৃতিচারণ ,অভিমান আর শোধের আগুনে জ্বলেছে শুধু , ভেতরে ভেতরে।
এই শহরে গাছ কাটা হলে কবি মন খারাপ করেছে খুব
পুকুর বোঁজালে বুক ভারী করেছে কষ্টে
কবি কিছু বলেনি , কবিরা কিছু বলেও না
শুধু প্রার্থনারত হয় কবিতায়।
কবি যেদিন মারা গেলেন
কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপনের জন্য কেউ কি রইলো ?
গুটি কয়েক ছন্নছড়া অক্ষর আর শব্দগুলো
বাক্যে হয়ে মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছিল শুধু ।
দিশেহারা , ছন্নছাড়া অগোছালো
যতসব অক্ষর , শব্দ , বাক্যের সেই নিদারুন সন্নিবেশে
জন্ম নেয় একেকটা কবিতা।
লিপিবদ্ধ হয় কবির কলমে , মগজে, মননে
তারায় কৃতজ্ঞ থাকে আজীবন, প্রতিশোধ নেয়
মূলতঃ কবি নয় প্রতিশোধ নেয় কবিতারা !
সর্বশেষ এডিট : ২০ শে জুন, ২০২৩ রাত ৩:১৬