গতরাত থেকে একটা বাস চলতে দেয়নি,একটা ট্রেন চলতে দেয়নি,একটা লন্চ পর্যন্ত সদরঘাটে ভিড়তে দেয়নি,তারপরও এতো মানুষ????? ঢাকা আর তার আশে পাশের লোকজন দিয়েই এতো বড় সমাবেশ যে মতিঝিলের তিন দিকে যতো দূর চোখ যায় শুধু মানুষ আর মানুষ,তাইলে সারাদেশের মানুষ আসতে পারলে সমাবেশের আকার কেমন হতে পারতো??? এর সাথে শাহবাগের তুলনা করলে হাসিচাপতেও কষ্ট হয়! ঢাকা আর আশপাশের লোকজনের সমাবেশেই সমাবেশস্থল একদিকে কাকরাইল মোড় পর্যন্ত,উল্টোদিকে ইত্তেফাক মোড় ছাড়িয়ে,আর পূর্বদিকে দৈনিক বাংলা মোড় ছাড়িয়ে গিয়েছিল!
সরকারি হরতালের বদৌলতে হেঁটে এসেছে অধিকাংশ মানুষ,কেউ গাজীপুর,টঙ্গি,উত্তরা নারায়নগন্জ থেকে পর্যন্ত হেঁটে এসেছে! মাত্র ধানমন্ডি থেকে হাইটা যাইতেই আমার যে কষ্টটা হলো তাতে ঐ লোকগুলোর যে কত কষ্ট হয়েছে আল্লাহ মালুম!
আমি আজকেই প্রথম কোন রাজনৈতিক সমাবেশে গেলাম,যা দেখলাম সত্যিই ইম্প্রেস্ড! যদি ঢাকা আর তার আশে পাশের লোক দিয়ে সমাবেশেই এই অবস্থা হয় তাইলে সমগ্র দেশ থেকে মানুষ আসতে দিলে কি হতো? আমার মনে হয় শুধু এইজন্যই সরকারী হরতাল পালিত হয়েছে! যেখানে সাধারণ হরতালে ট্রেন আর লন্চ প্রায় অবাধে চলাচল করে,ঢাকায় লোকাল বাস আর লেগুনা চলে,সেখানে সরকারে আদেশে সবকিছু বন্ধ!!! ঢাকার মোড়ে মোড়ে ছাত্রলীগের ছ্যাঁচড়াদের উত্পাত তো ছিলোই!
আওয়ামীলীগ সরকার বাম আর সুশীলদের কথা শুনে চরম একটা ভুল করলো,এর মাশুল না দিয়ে আর উপায় নেই আওয়ামিলীগের! বামদের তো কোন ভোটই নেই,তার তুলনায় এইসব হুজুর আর তাদের প্রভাবে প্রভাবিত ধার্মিক মানুষদের ভোট হাজারগুন বেশি! এটা লীগের অনেক নেতাই ভালোভাবে জানে,জানে যে ২০০১ এর নির্বাচনের ভরাডুরির কারণটা কী ছিল! তাই প্রথমদিকে আলোচনা করার চেষ্টা করেছে,কিন্তু শেষে এসে বামদের কুমন্ত্রণায় এই হরতাল ডেকে আর ছাত্রলীগ জায়গায় জায়গায় বাঁধা দিয়ে সব নষ্ট করে দিলো! আওয়ামী সমর্থকদের মাথায় রাখা উচিত, এই বাম নাস্তিকরাই তাদেরর ভড়াডুবি ঘটাবে,যেমন জামাতের কারণে বিএনপির ভরাডুবি ঘটেছিল গত নির্বাচনে! এটা এখন না বুঝলেও অতি শিঘ্রি বুঝে যাবে আওয়ামিলীগ।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।


