আমরা আগে ফুটবল খেলতাম (এখনো খেলি)। আজকের নতুন প্রজন্মও ফুটবল খেলে। তাদের মাধ্যমে দেশের ফুটবলের অনেক উন্নতি হচ্ছে। তবে আমাদের আর এই নতুন প্রজন্মের খেলোয়াড়দের মধ্যে পার্থক্য হলো আমরা খেলতাম মাঠে আর তারা খেলে মোবাইলের স্ক্রীনে। ডিজিটাল তো।
.
ইদানিং কালে তরুন প্রজন্মের মধ্যে আত্মহত্যার প্রবণতাটা খুব বেড়ে গেছে। কারণ তারা অধিকাংশ সময়েই বিভিন্ন কারণে হতাশায় ভোগে , পর্যাপ্ত বিনোদন পায় না। আমরা মীনা কার্টুন দেখে আর স্কুলের বেঞ্চে কলম মারামারি খেলে যে পরিমান বিনোদন পেতাম সেই বিনোদন কী নতুন প্রজন্ম ডরিমনের মত কার্টুন দেখে আর ক্ল্যাশ অব ক্ল্যান্স খেলে পায়? কখনোই না ।
.
বর্তমানে শহুরে নতুন প্রজন্মের বিনোদের মাধ্যম একটাই।তথ্য প্রযুক্তির অতিরিক্ত ব্যবহার ।
কেউ কোনে রেস্টুরেন্টে খেতে গেলো, সেই খাওয়ার ছবিও ফেসবুক - ইন্সট্রাগ্রামে আপলোড দিতে হবে। এটাই তাদের বিনোদন। বিনোদনটাকে তারা আপলোডে কনভার্ট করে পেলেছে।
.
ধরুন আপনার একজন বন্ধু আত্মহত্যা করেছে, কিন্তু আপনি জানতেনও না যে তার মনের ভেতর কী কষ্ট লুকিয়ে ছিল, কী কারণে সে আত্মহত্যা করতে পারে।
তাহলে জানতেনটা কী? বন্ধুর ফেসবুক পোস্টে কত লাইক আসে কিংবা বন্ধুর ফলোয়ার কতজন এসব?
.
অতি আধুনিকতার নামে আমরা আমাদের আত্নাটাকেই নষ্ট করে পেলছি। যাতে করে বাড়ছে আত্মহত্যার প্রবণতা।
আর যাদের মাথায় এখনো আত্মহত্যার ভূত চেপে আছে তাদের বলবো বন্ধু বানান, বন্ধুকে নিজের মনের কথা শেয়ার করুন ফেসবুকে কী করেন তা নয়। বিনোদন নিন, একটু প্রযুক্তির অতিরিক্ত ছোঁয়ার বাইরে এসে। আপনাকে আরো বেঁচে থাকতে হবে। মাশরাফি ভাইয়ার কলার উঁচু করে ক্যারিয়ারের শেষ সময়ে করা বল গুলো দেখবেন না? মুস্তাফিজের ৫০০ উইকেট দেখবেন না? মেসির ফুটবল জাদুতে বুঁদ হবেন না? অন্তত এই তিন "ম" এর জন্য হলেও আপনাকে বেঁচে থাকতে হবে।
.
দেখুন পৃথিবীটা কত সুন্দর । আরো কিছুদিন উপভোগ করুন পৃথিবীর সৌন্দর্য।
পৃথিবী নামক গ্রহটির প্রতিটি মানুষ ভালো থাকুক, থকুক দুধে ভাতে।
সবার জন্য ভালোবাসা।
সর্বশেষ এডিট : ১২ ই জুন, ২০১৬ রাত ১০:৩৭