কোন গবেষণা প্রতিষ্ঠানে আগে কখনো কাজ করেনি কান্তা। বেশ নতুন একটা অভিজ্ঞতা।
যেমন আজ ছিল প্রশ্ন -উত্তর নিয়ে ডামি একটা টেস্ট। মানে নিজেরাই প্রশ্ন করবে, আর নিজেরাই উত্তর দিবে। এটা করতে গিয়ে অনেক ক্ষেত্রে প্রশ্ন না বুঝতে পারলে , সেটা আরও ক্লিয়ার হওয়া যায়।
তো আজ সেই রকম একটা সেশনই হয়েছে।
কিন্তু একটু পর পর ফয়সাল ভাই এর ফোন বেজে ওঠে আর তিনি সেটা নিয়ে রুমের বাইরে চলে যান। এতে করে ক্লাস বিরক্ত হচ্ছে। এটা সবার চেহারা দেখেই বুঝা যাচ্ছে কিন্তু কেউ কিছু বলছে না।
অবশেষে ট্রেইনার জাফর ভাইই জিজ্ঞাস করলেন, ফয়সাল ভাই কোন সমস্যা?
না বস-ফয়সাল ভাই এর নির্বিকার উত্তর । তার জন্য যে সবার সমস্যা হচ্ছে সেদিকে তার কোন ভ্রুক্ষেপই নাই!
ঠিক আছে , ফোন বন্ধ রাখেন আর এক ঘণ্টা, এর পরই তো লাঞ্চ আওয়ার ।জাফর ভাই বললেন।
আচ্ছা, বললেন ফয়সাল ভাই।
এই সেশনটা শেষ হওয়ার পর ঘড়ি দেখে সময় দিলেন জাফর ভাই। বলেন ২ টার মধ্যে সবাই যেন চলে আসেন।
কান্তা বনানী আপা সবাই মিলে ক্যান্টিনে গেলেন। কিন্তু লম্বা লাইন।
দুপুর ২টার পর আবার ট্রেনিং শুরু হলো।
তবে এবার ক্লাস শুরুর আগে জাফর ভাই একটা কথা বললেন যাতে অনেকেই অসন্তুষ্টি প্রকাশ করলো বিকেলের ট্রি ব্রেকে।
জাফর ভাই বললেন, “ আমাদের গবেষণার ফাণ্ডে একটু সমস্যা হয়েছে। তাই আগামীকাল থেকে আপনাদের আর ফ্রি লাঞ্চ এবং বিকালের নাস্তা দেওয়া যাচ্ছে না বলে আমরা দুঃখিত”। সবাই চুপচাপ এর ওর দিকে তাকালো। কেউ কিছু মন্তব্য করলো না।
ট্রেনিং শুরু হলো আবার ।
কিন্তু বিকালের চা এর ব্রেকে ছেলেরা সবাই নানা রকম মন্তব্য করলো, “ এটা আবার কেমন কথা! ট্রেনিং এর মাঝখানে ফান্ড শেষ!” বললো জামাল ভাই। অন্যরাও তাল মেলালো। কিন্তু কান্তার যেহেতু এটাই প্রথম কোন মাঠ কর্মীর কাজের অভিজ্ঞতা তাই সে চুপ করে শুনে গেলো।
কোন মন্তব্য করলো না। দেখা যাক আর কি কি হয়! এটাও একটা শেখার ধাপ ।
সর্বশেষ এডিট : ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১:৫৬