somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

!!! গণজাগরণ মঞ্চ !!!

২৭ শে মার্চ, ২০১৩ বিকাল ৫:০৩
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

!!!! গণ জাগরণ মঞ্চ !!!!

প্রশ্নঃ এদের কাজ কি ?
উত্তরঃ জাগরণ সৃষ্টি করে হতাশ করা ।

প্রশ্নের আলোকে ব্যাখ্যাঃ
৫ ফেব্রয়ারি কসাই কাদের
রাজাকারকে ফাঁসি না দেওয়ায় , কিবোর্ড ছেড়ে রাস্তায় নামে তরুণরা । তারুণ্যের উদ্দীপনায়
কনায় কানায় ভরা তারা ।
ফাঁসি না দিয়ে রাস্তা তারা ছাড়বে না । একে একে সব কয়টা রাজাকারকে ফাঁসি দেওয়া হবে তবে রাস্তা ছেড়ে দেওয়ায়
। তারুণ্যের শক্তি কত ! সেটা এদের না দেখলে হয়তো বিশ্ববাসী বিশ্বাস করত না ।
জানি , এদের তারুণ্যের জয় হবে । কারণ , যুগে যুগে জয়ী হয়েছে তরুণ সমাজ । জয়ই তরুণদেরই
প্রাপ্য । জয় হোক তারুণ্যের ।

আমি শাহবাগের কথা বলতে চাইছি না । কারণ শাহবাগকে আমি ২১" পর্দায় ছাড়া দেখি নাই । শাহবাগকে আমি মোবাইলের স্ক্রিনে ছাড়া পড়ি নাই । তাই হয়তো শাহবাগকে সঠিকভাবে চিনি না ।

কিন্তু যশোরে জাগরণ মঞ্চ । এটা তো তৈরী হয়েছে আমার চোখের সামনে । আমাদের মতো কতগুলো তরুণের প্রচেষ্টায় তৈরী হয়েছিল এই জাগরণ মঞ্চ । কত উত্তেজনা সে , কত স্বপ্ন বুকে নিয়ে চিত্রার
মোড়ে গলা ফাটিয়ে বলা জয় বাংলা । কত উত্তেজনা নিয়ে ব্যানার লেখা , পোষ্টার লেখা ।
হাতের লেখা খারাপ , তাতে কি ?
আমাকে লিখতে হবে । দেশের সব জেলায় নেমে পড়েছে রাজাকারের ফাঁসির দাবিতে আন্দোলনে ।
আর আমার যশোর পিছিয়ে থাকবে ? কখনই না ।রাজাকারকে তাড়িয়ে তবে ঘরে ফিরব ।

বাসায় না বলে চিত্রার মোড়ে চলে যাওয়া । যে ছেলে ঘরে ফিরতো সন্ধ্যার আগে সেই ছেলেকে তখন রাত ৮টার আগে বাসায় পাওয়া যেতো না ।
কি পেয়েছে এই ছেলেদের দলটি ? না পেয়েছে গন জাগরণ মঞ্চের ইমারানের মতো স্বীকৃতি !
না পেয়েছে তাদের পোষ্টার ব্যানার কেনার জন্য টাকা ! কিছুই পাইনি তারা । শুধুই নিজের তাগিদে দেশের প্রয়োজনে তারা এটা করেছে ।

একসময় তাদের ঠাই হলো জাগরণ মঞ্চ থেকে কিছুটা দূরে । তবুও তারা থেমে নেই , তাদের সাধ্যের
ভিতর এগিয়ে চলে কাজ । রাস্তায় তারা ফুল , পাতকাঠি , পাতা , তুলা দিয়ে আঁকায় শহীদ মিনার ,
বাংলার পতাকা , স্মৃতিসৌধ , সংসদ ভবন । আর চারপাশে থাকে রাজাকারদের ফাঁসির দাবিতে পোষ্টার ।

তবুও তারা যা চেয়েছিল সেটা কি পেয়েছে ?

*সারা দেশে যখন দিগন্ত টিভির সম্প্রচার বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে , যশোরের জাগরণ মঞ্চ সেটা করতে পারেনি ।

*সারাদেশে আহবান করা হলো ইসলামী ব্যাংক থেকে একাউন্ট ক্লোজ করতে । কত জন করেছিল এই যশোরে । যশোর জাগরণ মঞ্চে যারা ছিল তারা করেছিল তো ?

*সারাদেশে যখন "আমারদেশ পত্রিকা"য় আগুন দেওয়া হচ্ছে । তখন যশোরে "আমারদেশ পত্রিকা" তুলনামুলক বেশী বিক্রি হচ্ছে ।

*সারাদেশে যখন হরতালে জামাত শিবির কে প্রতিহত করা হচ্ছে তখন যশোরের জাগরণ মঞ্চের
লোকেরা বাড়ি বসে সরষে ইলিশ খাচ্ছে । তারপর হরতাল শেষে মঞ্চে এসে গান ধরছে ..."তীর হারা এই ঢেউ এর সাগর পাড়ি দেবোরে...."

তবে সারাদেশের এবং শাহবাগের জাগরণ মঞ্চ সহ যশোর গণ জাগরণ মঞ্চের কিছু মিল আছে....

*জাগরণ মঞ্চে আন্দোলন শুরু হওয়ার ২ কি ৩ দিনের ভিতরেই খুজে পাওয়া গেছে ক্ষমতাসীন দলের লোকদের ।

*একই সাথে এরা মোমবাতি জ্বালিয়েছে , বেলুন উড়িয়েছে , গণস্বাক্ষর নিয়েছে ।

*একই সাথে এরা নিরবতা পালন করেছে । এবং কোন কনো মঞ্চে মা জাহানারা বেগমের পাশে নিহত
রাজিবের ছবি বসিয়েছে ।

*এবং ব্যার্থ আল্টিমেটাম দিয়ে সকল জাগরণ মঞ্চ হাস্যকর অহিংস আন্দোলন করেছে ।

যেদিন যশোরে আন্দোলন শুরু করেছিলাম , সেদিন একটা ব্যাংকের নিচে দাড়িয়ে একটা কাপড়ে রাজাকারের ফাঁসির
দাবিতে মানুষের স্বাক্ষর নিচ্ছিলাম । আমার থেকে বয়সে বড়রা এসে আমাদের উত্সাহ দিয়েছিল ।
আমাদের কোট টাই পরা এক ব্যাংকার আঙ্কেল বলে গেলো সেও আসবে সন্ধ্যার পর । কত ছোট
ছোট বাচ্চা এলো , কত বৃদ্ধ এলো ।

কি হলো শেষমেশ ! এক সময় মঞ্চ
চলে গেলো একটা নির্দিষ্ট দলের দখলে । এখন আর চিত্রার মোড় আটকানো থাকে না ।
মাঝে মাঝে সন্ধ্যার পর শোনা যায় জয় বাংলা । কিন্তু দাবি আদায় হলো কি !
৪টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

অধুনা পাল্টে যাওয়া গ্রাম বা মফঃস্বল আর ভ্যাবাচ্যাকা খাওয়া শহুরে মানুষ!!

লিখেছেন শেরজা তপন, ২৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৯:০০


দেশের দ্রব্যমুল্যের বাজারে আগুন। মধ্যবিত্তরা তো বটেই উচ্চবিত্তরা পর্যন্ত বাজারে গিয়ে আয়ের সাথে ব্যায়ের তাল মেলাতে হিমসিম খাচ্ছে- - একদিকে বাইরে সুর্য আগুনে উত্তাপ ছড়াচ্ছে অন্যদিকে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যমুল্য... ...বাকিটুকু পড়ুন

সাম্প্রতিক দুইটা বিষয় ভাইরাল হতে দেখলাম।

লিখেছেন মঞ্জুর চৌধুরী, ২৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৯:৪১

সাম্প্রতিক দুইটা বিষয় ভাইরাল হতে দেখলাম।
১. এফডিসিতে মারামারি
২. ঘরোয়া ক্রিকেটে নারী আম্পায়ারের আম্পায়ারিং নিয়ে বিতর্ক

১. বাংলা সিনেমাকে আমরা সাধারণ দর্শকরা এখন কার্টুনের মতন ট্রিট করি। মাহিয়া মাহির... ...বাকিটুকু পড়ুন

আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের (সা.) পক্ষ নিলে আল্লাহ হেদায়াত প্রদান করেন

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ৩০ শে এপ্রিল, ২০২৪ ভোর ৬:৪২



সূরা: ৩৯ যুমার, ২৩ নং আয়াতের অনুবাদ-
২৩। আল্লাহ নাযিল করেছেন উত্তম হাদিস, যা সুসমঞ্জস্য, পুন: পুন: আবৃত। এতে যারা তাদের রবকে ভয় করে তাদের শরির রোমাঞ্চিত হয়।অত:পর তাদের... ...বাকিটুকু পড়ুন

লুঙ্গিসুট

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ৩০ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:২৪



ছোটবেলায় হরেক রঙের খেলা খেলেছি। লাটিম,চেঙ্গু পান্টি, ঘুড়ি,মার্বেল,আরো কত কি। আমার মতো আপনারাও খেলেছেন এগুলো।রোদ ঝড় বৃষ্টি কোনো বাধাই মানতাম না। আগে খেলা তারপর সব কিছু।
ছোটবেলায়... ...বাকিটুকু পড়ুন

স্বর্ণাক্ষরে লিখে রাখার মত মুফতি তাকি উসমানী সাহেবের কিছু কথা

লিখেছেন নতুন নকিব, ৩০ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ২:২৫

স্বর্ণাক্ষরে লিখে রাখার মত মুফতি তাকি উসমানী সাহেবের কিছু কথা

ছবি কৃতজ্ঞতা: অন্তর্জাল।

একবার শাইখুল হাদিস মুফতি তাকি উসমানী দামাত বারাকাতুহুম সাহেবকে জিজ্ঞেস করা হল, জীবনের সারকথা কী? উত্তরে তিনি এমন... ...বাকিটুকু পড়ুন

×