বাংলাদেশ ব্যাংক অর্থচুরির ঘটনার পর নিজেকে সাইবার নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞ পরিচয় দিয়ে আলোচনায় উঠে আসে তানভীর জোহা।বাংলাদেশ ব্যাংকের রিসার্ভ চুরির পরে গনমাধ্যমে সাইবার বিশেষজ্ঞ পরিচয়ে মতামত দিয়ে আলোচনায় উঠে আসা এই "তানভীর জোহা" বর্তমানে নিঁখোজ আছেন।
.
এই প্রসঙ্গে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেনঃ- "তদন্তের স্বার্থে তাকে গ্রেফতার করা হতে পারে।তবে আমি নিশ্চিত নই".......।তানভীর জোহা নিঁখোজ প্রসঙ্গে বৃহস্পতিবার বিকেলে রাজধানীর ফার্মগেট কৃষিবিদ ইনস্টিটিউটে এক অনুষ্ঠান সভায় এ কথা বলেন তিনি।
.
এ প্রসঙ্গে তানভীর জোহার স্ত্রী ডা. কামরুন নাহার জানান যে মিস্টার জোহা সবসময় সত্য ও ন্যায়ের পথে থেকে দেশের জন্য কাজ করেন।প্রশাসন থেকে তার কাছে সহযোগিতা চাওয়া মাত্রই সে নিজের মধ্যের সব চেস্টা করেছে সাহায্য করার।
.
তিনি আরো জানান যে,বুধবার রাত ১২ টার দিকে তার সাথে জোহার সর্বশেষ কথা হয়।সিএনজি করে তার এক বন্ধুকে নিয়ে বাসায় ফিরছেন বলে জানান জোহা।ক্যান্টনমেন্ট এর পাশে থাকা অবস্থায় তাদের অবস্থান নিশ্চিত করেন জোহা।জোহার সাথে থাকা বন্ধুটির নাম ইয়ামির আহমেদ।তিনি রাত দেড়টার দিকে জোহার পরিবারকে জানান জোহা অপহৃত হয়েছেন।
.
এরপরই কলাবাগান থানায় যান জোহার অপহৃত হয়ার জন্য ডায়রী করতে।কিন্তু তারা জানান যেহেতু সর্বশেষ কচুক্ষেত এলাকা থেকে তিনি কথা বলেছিলেন সেহেতু কাফরুল থানায় ডায়রী করতে হবে।বৃহস্পতিবার সকালে জোহার চাচা মাহাবুব আলম সাধারন ডায়রী করতে কাফরুল থানায় যান।কাফরুল থানার পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে জানান সেটা ক্যান্টনমেন্ট এলাকায় পরেছে।পরে ক্যান্টনমেন্ট থানায় ডায়রি করতে যাওয়া হলে তারা জানান ঘটনাস্থল ভাষানটেক থানায় পরেছে।পরে ওই থানায় যোগাযোগ করলে তারা জানান ঘটনাস্থল তাদের থানার অন্তর্গত না।তাহলে প্রশ্ন হলো সেই এলাকা কোন থানার অন্তগর্ত? হতাশ হয়ে বাড়িতে ফিরলেন জোহার চাচা মাহবুব আলম।
.
জোহার শ্যালক মাহমুদ হাসান চৌধুরী বলেন, 'বুধবার রাত ১২টার দিকে জোহা তার বন্ধু ইয়ামির আহমেদকে ফোন করে সেনানিবাস এলাকায় যেতে বলেন। এরপর সেনানিবাসের পোস্ট অফিস এলাকায় তারা একটি অটোরিকশায় ওঠেন। সামান্য পথ না এগুতেই অটোরিকশাটি থেমে যায়। চালক জানায়, অটোরিকশায় যান্ত্রিক ত্রুটি দেখা দিয়েছে। এরপর চালক নেমে ত্রুটি শনাক্তের চেষ্টা শুরু করলে হঠাৎ দুইটি জিপ গাড়ি এসে অটোরিকশার পাশে দাঁড়ায়। গাড়ি থেকে নেমে পাঁচ-ছয়জন লোক জোহা ও ইয়ামিরকে অটোরিকশা থেকে টেনে-হিঁচড়ে বের করে এবং আলাদা গাড়িতে তুলে নেয়। এর আগে ইয়ামিরের চোখ-মুখ কালো কাপড়ে বেঁধে দেয়
তারা। গাড়ি চলতে শুরু করে। আনুমানিক ১০ থেকে ১৫ মিনিট পর গাড়ি থামিয়ে তাকে নামিয়ে দেওয়া হয়। কিছুদূর হাঁটার পর ইয়ামির বুঝতে পারেন সেটি মানিক মিয়া এভিনিউ। তখন তিনি জোহার পরিবারকে ফোন করে বিষয়টি জানান। জোহার স্ত্রী ডা. কামরুন নাহার বলেন, 'বুধবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে মোবাইল ফোনে জোহার সঙ্গে আমার কথা হয়। তখন সে বাসায় ফিরছিল। রাত সাড়ে ১২টা পর্যন্ত বাসায় না পৌঁছায় মোবাইল ফোনে আবার কল করি। তখন তার ফোন বন্ধ পাই।' জোহার পরিবারের সদস্যরা জানান, এ ঘটনার আগের দুই দিন ব্যস্ততার কারণে বাসায় ফেরেননি জোহা। বুধবার রাতে কলাবাগানের লেক সার্কাস এলাকার বশির উদ্দিন রোডের বাসায় তার ফেরার কথা ছিল.......
.
জানিনা জোহা আদৌ আর বাড়িতে ফিরতে পারবে কিনা।কিন্তু এভাবে আর কত?????
সর্বশেষ এডিট : ১৮ ই মার্চ, ২০১৬ সকাল ১১:৪৪