তারপর পিতামাতার সেই "মেয়ে সুখে থাকবে" গোঁড়ামির শিকার মেয়েটি বহুদিনের প্রেমিককে ছেড়ে দিয়ে বিয়ের পিড়িতে বসে অচেনা বরের কনে হয়ে। বাসর রাত নামে যে রোমাঞ্চের কথা সে ভেবে এসেছে তার বদলে সে দেখতে পায় মঞ্চস্থ হচ্ছে একটা ধর্ষণ চিত্রের। বাবা মায়ের মুখের দিকে তাকিয়ে এই কষ্ট সহ্য করার জন্যে কিন্তু বাহবা পায়না কেউ, কারন অতীত সম্পর্কের কাহিনী অনেকেরই অজানা!
নিজের প্রেমিকাকে অন্য পুরুষের বাসরে কল্পনা করা কঠিন। যতো যাই হোক সেই রাতে প্রেমিকার মনে চরম স্বামীভক্তিই দেখা দেবে। নববধুর খামচে ধরা বিছানাটাই শুধু নজরে পড়বে কুমারিত্ব হরনের নেশায় ব্যস্ত সেই বরের, গড়িয়ে পড়া কয়েক ফোটা জল তার অদেখাই থেকে যাবে। নববধুর চোখের সেই জলেই গোপনে ভেসে যাবে পুরোনো প্রেমিক আর তার সব স্মৃতি। আরেকটু জোরে বরকে আকড়ে ধরে পাকাপোক্ত করে নেবে নতুন আশ্রয়। পরের দিন থেকে আরেকটা নতুন সংসার, নতুন বাবা-মা সামলে রাখার দায়িত্বটাও সে ভালোভাবেই বুঝে নেবে। বরের গায়ে প্রতিটা খামচির দাগ বরকে নতুন আনন্দে মাতাল করে তুললেও পুরোনো প্রেমিকের শরীরে তখন চকচকে ব্লেডের আচড় স্থায়ী হচ্ছে সযতনে।
"তুমি" আর "আমি" মিলেই আমরা হওয়া যায়। কিন্তু বাংলা ব্যাকারণ বলে "তুমি", "আমি", "সে" মিলে "আমরা হয়"। প্রেমিকাটা তখনই বুঝে যায় এখানে তৃতীয় পক্ষের ভুমিকা কেন এতটা গুরুত্বপূর্ণ।
আচ্ছা প্রেমিকটা কি মরে যাবে? নাকি সম্পুর্ন বিপরীত এক সত্বার মানুষ হয়ে কাটিয়ে দেবে যতদিন পারা যায়?
ভালো থাকুক প্রাক্তন প্রেমিকা, সুখী হোক নতুন বর।
সর্বশেষ এডিট : ০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৪:০১