somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ওপারে ভালো থেকো হিবা

২৮ শে অক্টোবর, ২০২৩ দুপুর ২:৩১
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :





ফিলিস্তিনের একজন স্বাধীনতাকামী জনপ্রিয় তরুণী ঔপন্যাসিক, কবি, শিক্ষাবিদ এবং মানবাধিকার কর্মী হিবা আবু নাদা। পুরো নাম হিবা কামাল সালেহ আবু নাদা। জন্ম ১৯৯১ সালের ২৪ জুন মক্কায়। ২০১৭ সালে সৃজনশীলতার জন্য তার উপন্যাস ‘অক্সিজেন ইজ নট ফর দ্য ডেড’ শারজাহ পুরস্কার লাভ করে। হিবা গাজার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি থেকে বায়োকেমিস্ট্রিতে স্নাতক ডিগ্রি লাভ করেন এবং আল আজহার বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ক্লিনিক্যাল নিউট্রিশনে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন। গাজার ওপর ইসরাইলি অবৈধ দখল উৎখাত, এতিমদের জীবনের মানোন্নয়ন, মানবাধিকার এবং ন্যায়বিচার ও সুশাসন প্রতিষ্ঠায় কাজ করেন।

গত ২১ অক্টোবর ইসরাইলের বিমান হামলায় গাজার খান ইউনুস শহরে নিজ বাড়িতে নিহত হন।

তাঁর প্রতিটি কবিতায় মাতৃভূমি ফিলিস্তিনের জন্য পরম মমত্ববোধ আর ভালোবাসা ফুটে উঠেছে।

গাজায় ইসরায়েলি বিমান হামলা শুরু হওয়ার পর তিনি লিখেছিলেন-

রকেটের তীব্র আলোর ঝলকানি ছাড়া গাজার রাত্রিতে এখন
নিকষ অন্ধকার,
বোমার শব্দ ছাড়া এই নগরীতে অন্য কোনো আওয়াজ নেই।
একমাত্র প্রার্থনার শান্তি ছাড়া এই সময়টা বড়ই দুঃসহ!
শহীদদের আলো ছাড়া বড়ই অন্ধকার এই শহর!
শুভ রাত্রি, হে আমার গাজা নগরী! শুভ রাত্রি!

নিহত হওয়ার আগে তিনি আরও কয়েকটি স্ট্যাটাস দিয়েছিলেন।

সর্বশেষ ২০ অক্টোবর মাতৃভূমি ফিলিস্তিনের দুঃসহ অবস্থা নিয়ে লেখা তাঁর শেষ স্ট্যাটাসটি তুলে ধরলাম-

نحن في غزة عند الله بين شهيد وشاهد على التحرير وكلنا ننتظر أين سنكون.. كلنا ننتظر اللهم وعدك الحق".

আমরা এই গাজা (নগরীতে) আল্লাহর সাথে (এই মাতৃভূমির জন্য) শহিদ ও মুক্তি আন্দোলনের সাক্ষীর মাঝে অবস্থান করছি। আমরা সবাই অপেক্ষা করছি; আমরা কোথায় থাকব? হে আল্লাহ! আমরা সবাই প্রতীক্ষায় আছি তোমার মহাসত্য প্রতিশ্রুতির।

(মূল আরবি থেকে অনূদিত)

-সম্রাট

সূত্র: ইন্টারনেট।
সর্বশেষ এডিট : ২৮ শে অক্টোবর, ২০২৩ দুপুর ২:৩৬
২১টি মন্তব্য ২০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ঠাকুরগাঁও সীমান্তে বিএসএফ এর গুলিতে কিশোর শ্রী জয়ন্ত নিহত: স্বর্ণা দাস হত্যার এক সপ্তাহ না পেরোতেই আবারও ভারতের পৈশাচিকতা!

লিখেছেন মিথমেকার, ০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ দুপুর ১২:৫১


ছবি: দৈনিক ইনকিলাব।

"ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার ধনতলা সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে জয়ন্ত কুমার (১৫) নামে এক কিশোর নিহত হয়েছে। এ সময় গুলিবিদ্ধ হয়েছেন জয়ন্তের বাবা মহাদেব চন্দ্র (৪৩) এবং প্রতিবেশী দরবার... ...বাকিটুকু পড়ুন

অন্দোলন কারীদের প্রতি হাসনাতের বৈষম্য - "৯ আর ১ দুইটাই ডিজিট, কিন্তু দুইটা তো সমান না। কারো কারো অবদান কারো কারো চেয়ে বেশি।"

লিখেছেন আহসানের ব্লগ, ০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ দুপুর ১:১৯


এই হাসনাত আব্দুল্লাহদের বাড়াবাড়িগুলা বেশ অনেক দিন ধরেই চোখে পড়তেসে। সব জায়গায় এমনকি সচিবালয়ে পর্যন্ত এদের একদম ভিআইপি এক্সেস। কেন? দেশের যে কোন জায়গায় পান থেকে চুন খসলেই সেখানে হাসনাতরা... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। বাংলাদেশকে পাঁচটি প্রদেশে ভাগ করার পরামর্শ

লিখেছেন শাহ আজিজ, ০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৪:০১

বাংলাদেশকে ন্যূনতম পাঁচটি প্রদেশে ভাগ করে একটি ফেডারেল কাঠামোর রাষ্ট্র করার পরামর্শ দিয়েছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয় এবং নৌপরিবহন উপদেষ্টা ড. এম সাখাওয়াত হোসেন।

বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের এক... ...বাকিটুকু পড়ুন

উৎসব মণ্ডল বেঁচে আছেন: সে সেনা তত্ত্বাবধানে চিকিৎসাধীন আছেন। (সাময়িক)

লিখেছেন মিথমেকার, ১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ রাত ১২:৩৩



খুলনায় ধর্ম অবমাননার অভিযোগে উন্মত্ত জনতার হা’মলায় আহত উৎসব মন্ডল সামরিক হাঁসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
উৎসব মন্ডল এর শারীরিক ও মানসিক অবস্থা বেশ ভালো। চিকিৎসকরা খুব আন্তরিকতার সাথে চিকিৎসা দিচ্ছেন।... ...বাকিটুকু পড়ুন

যে গল্পের শেষ নাই.....

লিখেছেন জুল ভার্ন, ১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ সকাল ৯:২৪

যে গল্পের শেষ নাই.....

পাসের সীটের যাত্রী সাথে আলাপচারিতায়- নাম জানার পর, জিজ্ঞেস করলাম- "বাড়ি কোথায়?"
ছেলেটি বলল- 'ঝালকাঠী, কীর্ত্তিপাশা গ্রাম।' কীর্ত্তিপাশা শুনেই বুকের ভিতরে উথাল পাথাল ঢেউ- এক কিশোরীর... ...বাকিটুকু পড়ুন

×